একজন মানুষের হাত ধরে পাল্টে গেল পৃথিবীর ইতিহাস। মোড় নিল বিশ্ব রাজনীতি। সভ্যতা পেল নতুন এক মাত্রা। সেই মানুষের হাত ধরে পৃথিবীতে আবার নেমে এলো হিদায়াতের ফল্গুধারা। মানুষটার নাম মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। একজন মানুষ এসে পৃথিবীকে এমনভাবে নাড়িয়ে দিয়েছেন—এমন ঘটনা পৃথিবীতে আর দুটো নেই। মানবতার মুক্তির দূত এই মহামানবের জীবনী লেখক এমন ঢঙে উপস্থাপন করেছেন, পড়তে গিয়ে পাঠকের মনে হবে যেন তারা চোখের সামনেই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখতে পাচ্ছেন। বইটির নামও রেখেছেন সেভাবে—মুহাম্মাদ : কাআন্নাকা তারাহু। তার অন্যতম সেরা কাজ এই ‘মুহাম্মাদ : কাআন্নাকা তারাহু’। আমরা বইটির নাম রেখেছি—নবীজি। বইটিতে নবীজির জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। নবীজির নাম, বংশ, জন্মভূমি, শৈশব, নবুওয়াত, ধর্ম, ঐশীগ্রন্থ, সত্যবাদিতা, ধৈর্য, মহানুভবতার মতো তার আরো অনেক মানবিক গুনাবলী সম্পর্কে এই বই থেকে জানা যায়।
রামাদান এতই মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি মাস যে, এই মাসে জান্নাতের সবগুলো দরজা উন্মুক্ত রাখা হয় এবং জাহান্নামের সবগুলো দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই মাসেই রয়েছে লাইলাতুল ক্বদেরর ন্যায় বরকতময় রজনী যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রামাদানের প্রতিটি দিন ও রাতে আল্লাহর কাছে বান্দার দুআ কবুল হয় এবং অগণিত বান্দা জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে। অথচ কত-ই না দুর্ভাগা আমরা যে, উপযুক্ত দিক-নির্দেশনার অভাবে আমাদের অনেকেই মূল্যবান এই মাসটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি না। ফলে আমরা ব্যর্থ হই রামাদানের অমূল্য-সব নিয়ামতপ্রাপ্তি থেকে। মূল্যবান এই গ্রন্থখানি রামাদানে সিয়াম পালনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা সমৃদ্ধ। এই গ্রন্থে অপেক্ষাকৃত কার্যকরী বহু আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীসের মাধ্যমে রামাদানের বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে নির্ভুল দিক-নির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠকগণ যেন তাদের রামাদানকে উত্তমরূপে কাজে লাগাতে পারেন সে-উদ্দেশ্যেই সমকালীন প্রকাশনের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।