পিতার সন্তান থেকে সন্তানের পিতা হয়েছি। সন্তান হিসেবে আমাকে নিয়ে পিতামাতার পেরেশানী উপলব্ধি করতে পারি আজ মধ্যবয়সে এসে পৌঁছে। মা-বার বুকের ভেতরটা পড়তে পারছি কলিজার টুকরো মেয়েদের দিকে তাকালেই। একটা বিশ্বাসী জীবনবোধের মধ্য দিয়ে বড়ো হয়েছি। আমার জীবনবোধে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এবং তার প্রিয় রাসূলুল্লাহ সা.-এর উপস্থিতি। এমন এক বিশ্বাসের দেয়াল ছুঁয়ে আজ এখানে এসে পৌঁছেছি, যেখানে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে কমপ্লিট সলিউশন প্যাকেজ রয়েছে। একজন প্রফেশনাল ব্যাংকার হিসেবে আমার জগতটা হিসাব ও কারবার নিয়ে। সেই অভ্যাসেই কিনা, আমি প্রতিনিয়ত আমার সন্তানদের নিয়ে হিসাব করি, ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। সেই ভাবনাগুলোই কলমের ছোঁয়াতে কাগজে সংরক্ষণ করেছিলাম। একজন বাংলাদেশী মুসলিম পিতার প্যারেন্টিং ভাবনা। এই ভাবনাগুলো ছাপার অক্ষরে হাজারো পিতামাতার কাছে পৌঁছবে ‘প্যারেন্টিংঃ সন্তান প্রতিপালনে সফল হওয়ার উপায়’ বইয়ের মাধ্যমে।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সবাই যে খালি অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছিলো এমন নয়। চল্লিশ হাজার রাজাকার, আল-বদর ছাড়া বাকি সাড়ে সাত কোটি মানুষই কোন না কোনভাবে অংশ নিয়েছিলো বাংলাদেশ স্বাধীন করতে। গ্রামের মহিলারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়ে, থাকার জায়গা দিয়ে সাহায্য করেছে। তোমাদের মতো কিশোররাও পাকিস্তানি বাহিনী আর রাজাকার বাহিনী সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে। এমনকি সেই সময়ের ফুটবল খেলোয়াড়রাও নেমেছিলেন যুদ্ধে। সেই যুদ্ধ মাঠের যুদ্ধ। কিন্তু খেলার মাঠে আবার কিভাবে যুদ্ধ হয়? কিভাবে তৈরি হয়েছিলো স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল? কেনই বা তৈরি হয়েছিলো? আর কিভাবে তারা ফুটবল খেলে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিলেন? এই ঐতিহাসিক গল্পটি সেটা নিয়েই।