হুকড - হাউ টু বিল্ড হ্যাবিট ফর্মিং প্রোডাক্টস: কীভাবে সফল কোম্পানিগুলো এমন সব পণ্য বা সেবা নির্মাণ করে যা মানুষজন ছাড়তেই পারে না? কেন কিছু কিছু পণ্য আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পায় আবার কিছু পণ্যের ব্যাপারে কেউই অবগত থাকে না? কীভাবে আমরা পণ্যের সাথে নিজের জীবনকে জড়িয়ে ফেলি? কীভাবে সেই পণ্য হয়ে ওঠে আমাদের অভ্যাসের অংশ? যেভাবে প্রযুক্তি আমাদের নানা বাঁধনে জড়িয়ে ফেলে তার কি কোনও নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে? নির ইয়াল এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হুক মডেল ব্যাখ্যার মাধ্যমে। হুক মডেল মূলত চার ধাপের একটি প্রক্রিয়া যা নিজ নিজ পণ্যে প্রয়োগ করেছে অসংখ্য সফল কোম্পানি। এই মডেল অনুসরণ করেই বদলে দেয়া হয়েছে কোটি কোটি মানুষের অভ্যাস, জীবন আচরণ। হুক মডেলে ক্রমাগত চক্র সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বারবার একটি পণ্যের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। তখন ব্যয়বহুল বিজ্ঞাপন কিংবা শক্তিশালী মার্কেটিংয়ের কোনও দরকার পড়ে না।
নুহ আলাইহিস সালাম তাদের সুন্দর করে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। বললেন-‘দেখ, আল্লাহ কাকে নবি করে পাঠাবেন-এটা তাঁর ইচ্ছা। কেউ চাইলে নিজে নিজে নবি হতে পারে না। কিছু সাধারণ মানুষ আমার কথা শোনে। আল্লাহর কথা মানে। তাঁরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা। অথচ তোমরা তাঁদের গরিব বলে বিদ্রুপ করো। জেনে রেখ, আল্লাহর কাছে ধন-সম্পদের কোনো দাম নেই। তোমরা যদি আল্লাহর কথা না শোনো, তবে তোমাদের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা কোনো কাজে আসবে না। আল্লাহর আজাব এসে পড়লে কেউ তোমাদের বাঁচাতে পারবে না।’ নুহ আলাহিস সালাম আরও বললেন-‘আর তোমরা যে বলছো বাপ-দাদাদের কথা... বাপ-দাদাদের আমল থেকে কোনো কিছু চালু থাকলেই কি তা ঠিক হয়ে যায়? বাপ-দাদারা ভুল করলে তোমরাও কি ভুল করবে? দিনের পর জেনে-বুঝে একই ভুল করে যাবে? এটা কি কোনো যুক্তির কথা হলো?’ নুহ আলাইহিস সালামের কথা শুনে তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তারা আর কথা খুঁজে পেল না। আর পাবেই-বা কী করে, তাদের সব যুক্তিই যে ভুল!
জোছনা কি কখনো ফুল হতে পারে? ফুলটা দেখতে কেমন? এই ফুলের সুবাসই বা কীভাবে নিতে হয়? ‘জোছনাফুল’ সেই রহস্যের সুলুক সন্ধানে নামবে আপনার সাথে। বইটা আপনাকে শুধু জোছনারাতের আসরে বসিয়ে রাখবে না; চন্দ্র-সূর্যকেও টেনে নিয়ে আসবে জীবনের পাঠশালায়। আপনি হবেন সেই পাঠশালার অংশীজন। সমুদ্রের পাড়ে কুড়াবে ভাবনার ঝিনুক, ঝিনুক থেকে বের করে আনবে বিশ্বাসের মুক্তো, আপনি সেই মুক্তোয় গাঁথবেন ভালোবাসার মাল্য। ‘জোছনাফুল’-এর বাগানে ফুটেছে আরও অনেক ফুল, এসেছে আরও অনেক ভ্রমর, গেয়েছে আরও অনেক পাখি। ফুল-পাখিদের এই কোলাহলে জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়ায় কিছু চঞ্চল মৌমাছিও। সুন্দরের পরাগে ফুল ফোটানো, অসুন্দরের গায়ে হুল ফোঁটানো সেইসব মৌমাছিদের সাথেও জমবে আপনার নিবিড় আলাপন।
অল্প কথায় অনেক অর্থ প্রকাশ এক বিশেষ গুণ। মুসা আল হাফিজ অনন্য এই গুণটিই রপ্ত করেছেন। বিষগোলাপের বন এক ভিন্নধর্মী দার্শনিক চিন্তাভাবনার মৌলিক রচনা। একটি শব্দ কিংবা একটি বাক্য আপনাকে দিনমান ভাবনার রাজ্যে সফর করাবে।
ভূমিকা ছোট থাকতে আমরা সবাই কমিক্স পড়েছি। ছেলেমানুষী কার্টুন চরিত্র থেকে শুরু করে গুরুতর চিরায়ত সাহিত্যর কমিক্স কিছুই বাকী ছিল না। মনে আছে জুল ভার্নের 2000 leagues under the sea এর কমিক্সটি যখন দেখেছিলাম তখন সেই চরিত্রগুলো এবং সেই রহস্যময় জলযান সবকিছুই আমার সামনে নূতন জগত খুলে দিয়েছিল। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে আমি খুব অর্থাভাবে ছিলাম,নিজের খরচ চালানোর জন্য পত্রিকায় কার্টুন এঁকেছি, সাথে সাথে কমিক স্ট্রিপ এঁকেছি। 'মহাকাশে মহাত্রাশ' নামে আমার একটা সায়েন্স ফিকশন আসলে আমার একটা কমিক স্ট্রিপের কাহিনী। আজকাল সারা পৃথিবীতে সাহিত্য এবং চিত্রশিল্পের এই সমন্বিত রূপটি একটি নূতন রূপ নিতে যাচ্ছে। এখন শুধু কমবয়সী শিশু কিশোরদের কার্টুন-কমিক্স হয় না, রীতিমত বড় মানুষের জন্য গ্রাফিক্স নভেল নামে এই নূতন মাধ্যমটি শিকড় গেড়ে বসতে শুরু করেছে। আমাদের বাংলাদেশেও তার আয়োজন শুরু হয়েছে। কিছু তরুণ শিল্পী আমার রুহান রুহান নামের সায়েন্স ফিকশনটিকে এই গ্রাফিক্স নভেলে রূপ দিতে যাচ্ছে জেনে আমি খুব আগ্রহ নিয়ে সেটি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল
পৃথিবীতে বেঁচে থাকলে আল্লাহর পক্ষ থকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা আসে। আসে বিপদ-আপদ। যত কঠিন বিপদই আসুক না কেন, আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে। অনেকে আছে, বিপদ-আপদ এলে অস্থির হয়ে যায়। ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। অনেকে বলা শুরু করে-‘হে আল্লাহ! কেন আমাদের এই বিপদ এলো? কেন আমাদের ওপরই এমন মুসিবত এলো?’ কেউ কেউ বলতে থাকে-‘আল্লাহ কি বিপদ দেওয়ার মতো আর কাউকে খুঁজে পেল না? আমি কী এমন পাপ করেছি যে আমার ওপরই বিপদ এলো?’ আইয়ুব আলাইহিস সালাম আল্লাহর নবি ছিলেন। তিনি কোনো গুনাহ করেননি, পাপ করেননি। কিন্তু তবুও আল্লাহ তাঁকে বিপদ-আপদ দিয়ে পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষায় তিনি পাশ করেছেন। তাই তো আল্লাহ তাঁর মর্যাদা অনেক অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য বিপদ-আপদ এলে আমরা বেশি বেশি আল্লাহকে ডাকব। তাঁর কাছে ক্ষমা চাইব। দুআ করব, যেন তিনি আমাদের বিপদ-আপদ দূর করে দেন। আমাদের রোগ ভালো করে দেন।
পৃথিবীতে মুসলমানরাই কেবল এমন এক জাতি, যারা শ্রম ও প্রচেষ্টার সাথে একটা আধ্যাত্মিক স্পিরিট নিয়ে পথ চলে। তারা সকল শক্তির ওপর শক্তিমান এক আল্লাহর ওপর ভরসা করে। একজন মুসলমান কল্যাণকর সবকিছু অর্জনের নিমিত্তে সাধ্যমতো সার্বিক প্রচেষ্টা চালাবে, আর ফলাফলের জন্য আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করবে, তাঁর প্রতি আস্থা রাখবে। বিশ্বাস রাখবে-আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন, ফলাফল তা-ই হবে। আর তাতেই রয়েছে চূড়ান্ত কল্যাণ। বাহ্যিক দৃষ্টিতে তা দৃশ্যমান কল্যাণ না-ও হতে পারে। তাওয়াক্কুল অবলম্বনকারী কখনো হতাশ হয় না, স্বপ্নভঙ্গে মুষড়ে পড়ে না। বিপদ-মুসিবতে, যুদ্ধ-সংকটে ঘাবড়ে যায় না। যেকোনো দুর্বিপাক-দুর্যোগে আল্লাহ তায়ালার ওপর দৃঢ় আস্থা রাখে। ঘোর অন্ধকারে প্রত্যাশা করে উজ্জ্বল সুবহে সাদিকের। জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নে সে আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করে না। তাওয়াক্কুল এমন এক প্রতিষেধক, যা মুমিন-জীবনকে হীনম্মন্যতা থেকে মুক্ত রাখে।
The present book, Science of Da’wah (علم الدعوة), is a new dimension of thought process which has not been mentioned in the Islamic literature. However, the highest Allah Rabbul ‘Alamin has introduced the matter of Da’wah (Invitation) in a scientific way in verse 125 of Nahal. In this verse, the philosophical terms Wisdom (Hikmah – حكمة), Sermonizing (المواعظ) and Argument (جادل) are connected in a logical fashion. Therefore, in the present book the wisdom tringle, wisdom process tringle, Da’wah methodology, structure of a Da’wah organization, the decision-making process of a Da’wah organization, perspectives of the sermon, sermonizing technique, the science of argument, appearance and approach of arguer (Daa’ee), and few selected topics of argument that are usually Daa’ee faces during Islamic Da’wah works are explained.