মায়ান, নস্ট্রাডামুস, জোসেফ স্মিথ, জ্যোতিষবিদ্যা, ট্যারো কার্ড, হস্তরেখা পঠন... বর্তমানের লাখো মানুষের বিশ্বাস, তাদের এবং এসবের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই ভবিষ্যতের চিত্র। আলহামদুলিল্লাহ, আপনার হাতে যে বইটি আছে, দ্য ফরবিডেন প্রফেসিস, একটি অন্যরকম বই। ইতিহাসের এ-পাতা থেকে ও-পাতায় নিয়ে যাবে আপনাকে বইটি; বিখ্যাত সব ভবিষ্যদ্বক্তাকে দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। বস্তুনিষ্ঠ শর্তের আলোকে পর্যালোচনা করবে তাদের দাবি। আপনারা নিজেরাই দেখতে পাবেন, এদের মাঝেও একজন অনন্য ব্যক্তি আছেন, যাঁর সঙ্গে আর কারও তুলনাই চলে না! ১৪০০ বছর আগে করা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী যেমন অতীতে সত্য প্রমাণিত হয়েছে, তেমনি বর্তমানও নেই তার প্রভাব মুক্ত। শুধু তাই না, কেয়ামত তথা মহাপ্রলয়ের আগে আরও কী কী হবে, সে সম্পর্কেও মানবজাতিকে জানিয়ে গেছেন তিনি। আসুন, প্রিয় পাঠক, দেখে নিই ভবিষ্যবচনের জন্য যদি কারও দ্বারস্থ হতেই হয়, তাহলে কার বচন থেকে সেই জ্ঞান অর্জন করা উচিত।
নিউ ইয়র্ক টাইমস #১ বেস্টসেলার জেমস রলিন্সের অসাধারণ কিছু ছোটগল্প ও একেবারে নতুন একটি নভেলা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। সব মিলিয়ে মোট বারোটি গল্প পাচ্ছেন জেমস রলিন্সের এই বইতে। আনরেস্ট্রিকটেড অ্যাক্সেসের মূল আকর্ষণ সান ডগস গল্পটি। সনোরা মরুভূমিতে হেঁটে বেড়াবার সময়, আচমকা শোনা একটা গুলির শব্দ মারাত্মক বিপদের দিকে ঠেলে দিল টাকার ও কেইনকে। অ্যারিজোনার স্থানীয় গোত্রগুলোর লুকিয়ে রাখা এক সত্য, যা প্রকাশিত হলে বদলে যাবে ভবিষ্যৎ-হুমকির মুখে ফেলে দিল দুই আত্মার বন্ধু, কেইনের সঙ্গে টাকারের সম্পর্ককে। অন্য গল্পগুলোর মাঝে আছে: দ্য পিট, যার কেন্দ্রে আছে অপহৃত এক কুকুর, যাকে মেরে-পিটে নামিয়ে দেয়া হয়েছে কুকুর-যুদ্ধের রিঙে; আছে ট্যাগার, যে গল্পের মাধ্যমে জেমস রলিন্সের লেখা ফ্যান্টাসির স্বাদ পাবেন প্রিয় পাঠক। সেই সঙ্গে সিগমা ফোর্সের গল্প: দ্য মিডনাইট ওয়াচ, দ্য স্কেলেটন কী, ট্র্যাকার, কোয়ালস্কি'স ইন লাভ তো থাকছেই। আর থাকছে দি অর্ডার অভ দ্য স্যাঙ্গুইনস সিরিজের দুটো গল্প: ব্লাড ব্রাদার্স এবং সিটি অভ স্ক্রিমস। রলিন্সের ভক্ত হলে, অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য, ইতিহাস, আর বিজ্ঞানের মিশেলে লেখা গল্পের সংকলন, আনরেস্ট্রিকটেড অ্যাক্সেস হাতে না নিয়ে উপায় নেই।
ব্যাখ্যার অতীত এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লন্ডন মিউজিয়াম। নড়ে-চড়ে বসল বিশ্বের বেশ কয়েকটি গোপন সংগঠন। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হলো লেডি কারা কেনসিংটন, সুন্দরী এবং বিদূষী ড. সাফিয়া আল-মায়াজ এবং নামকরা প্রত্নতাত্ত্বিক ওমাহা ডান। প্রবেশ করল এমন এক শহরে, যা কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু ওদের পিছু পিছু ধেয়ে এসেছে অন্যান্যরা। ওদের উদ্দেশ্য—সারা দুনিয়া জড়ে বয়ে আনবে বিশৃঙ্খলা। সেই সাথে আরব মরুভূমির বিপদ তো আছেই। সবার লক্ষ্যই এক—এমন এক ক্ষমতাকে খুঁজে বের করা যেটা দুনিয়াকে পরিণত করতে পারবে স্বর্গে অথবা ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে! কে জিতবে শেষ পর্যন্ত?
এক ধনীর পুত্র ও তার পিতার ভৃত্যের ছেলের অবিস্মরণীয় বন্ধুত্বের গল্প দ্য কাইট রানার, যে গল্পের পটভূমি এমন এক দেশ যা ধ্বংস হতে বসেছে! গল্পটি পঠনের শক্তির, বিশ্বাসঘাতকতার মূল্যের, পরিত্রাণের সম্ভাবনার। সেই সঙ্গে দ্য কাইট রানার আলোকপাত করে পুত্রের ওপর পিতার প্রভাবের ব্যাপারেও: তাদের ভালোবাসার, তাদের মিথ্যা-কথনের, তাদের বলীর। আফগানিস্তানের বিগত তিরিশ বছরের ইতিহাসকে সামনে রেখে খালেদ হোসাইনি এঁকেছেন পরিবার, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের এক অবিস্মরণীয় চিত্র। টানা দুটো বছর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার লিস্টে থাকা বইটি শুধুমাত্র আমেরিকাতেই বিক্রি হয়েছে সাত মিলিয়ন কপির চাইতে বেশি। পাঠক ও সমালোচক, সবার কাছে সমাদৃত বইটি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছেও ভালো লাগবে।
রহস্যের রানি আগাথা ক্রিস্টির ৩টি বই পাবেন অনুমোদিত এই অনুবাদে: ১. দ্য পেল হর্স দ্য পেল হর্স সরাইখানার রহস্যময় ঘটনাগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে মার্ক ইস্টারব্রুককে। সব কিছুর শুরু কীভাবে, তা জানে যুবক; কিন্তু কোথায়, তা যে জানা নেই। এসবের শুরু কি ফাদার গরম্যানের নৃশংস হত্যার মাধ্যমে? নাকি হত্যাকারীর বেচারা ফাদারের পোশাক ছিঁড়ে কিছু একটা খোঁজার সময়? মৃত্যূর ঠিক আগে আরেক মরণাপন্ন মহিলাকে দেখতে যাবার মাধ্যমে ফাদার সব কিছুর সূত্রপাত ঘটাননি তো? যেখানে শুরু হোক না কেন, মার্ক অচিরেই আফসোস করতে করতে ভাববে: এসবে না জড়ালেই ভালো হতো! ২. দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইল যুদ্ধে আহত, সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন হেস্টিংস স্টাইলসে পা রাখল বন্ধুর আমন্ত্রণে। দেখা হলো বন্ধু জনের সৎ-মা, মিসেস ইঙ্গেলথর্পের সঙ্গে। শান্ত সমাহিত গ্রাম্য পরিবেশে যে বিষাক্ত আবহ ভর করছে, তা শুরুতেই টের পেল হেস্টিং। ওর সন্দেহ সত্য বলে প্রমাণিত হলো তখন, যখন বিষপানে মারা গেলেন মিসেস ইঙ্গেলথর্প! সেই হত্যা-রহস্য সমাধানে আগমন হলো প্রখ্যাত গোয়েন্দা, এরকুল পোয়ারোর! ৩. টুওয়ার্ডস জিরো সমুদ্রের ঠিক পাশের পাহাড়ের শীর্ষে, নিজ বাড়িতে খুন হলেন এক বৃদ্ধা... সেই মৃত্যুর সঙ্গে নিজেকে শেষ করে দেবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা, এক স্কুলছাত্রীর নামে চুরির অপবাধ আর বিখ্যাত টেনিস খেলোয়াড়ের প্রেম-জীবনের সম্পর্ক থাকতে পারে কি? হয়তো সবাই বলবেন, পারে না। কিন্তু আছে। কীভাবে আছে, টুওয়ার্ডস জিরো তারই গল্প।
কে এই দেবতা পাংগু, যিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই সৃষ্টি করেছেন স্বর্গ ও পৃথিবী? দেবী নুওয়া না চাইলে, ধরণী কি পেত মানুষের দেখা? কেন আজো বানর-রাজা সন-ওয়েকংকে দেখা যায় চীনের বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে? সমৃদ্ধ চৈনিক লেখন-শৈলীর জন্ম হলো কীভাবে? চাঁদের দিকে তাকালে কেন দেখতে পাওয়া যায় জেড খরগোশের অবয়ব? চৈনিক পুরাণ, চীনা-সভ্যতার মতোই, বহু প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যুগে যুগে যোগ হয়েছে অগণিত কিংবদন্তি, মুখরোচক গল্পে বুঁদ হয়েছে মানুষ। প্রিয় পাঠক, আসুন, চৈনিক পুরাণের মজাদার আখ্যানে আমরাও করি অবগাহন।