'ড্রেসডেন ফাইসের স্রষ্টা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত জিম বুচার ১৯৭১ সালে আমেরিকার মিসৌরিতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে অসুখের সময় তার বোন তাকে দ্য লর্ড অব দি রিং এবং দ্য। 'হান সোলো অ্যাডভেঞ্চার্স উপন্যাস দুটো পড়তে দেয় সময় কাটানোর জন্য। সেই থেকে ফ্যান্টাসি আর সায়েন্সফিকশনের প্রতি আগ্রহ জন্মে তার। টিনএজ বয়সেই নিজের প্রথম উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি, ঠিক করেছিলেন লেখক হবেন। দীর্ঘদিন প্রচলিত ধারার ফ্যান্টাসি লেখা লিখে প্রকাশকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে লিখে ফেলেন হ্যারি ড্রেসডেন নামক এক জাদুকরের কাহিনী নিয়ে ড্রেসডেন ফাইন্স সিরিজের প্রথম বইটি। আধুনিককালের শিকাগো শহরের পটভূমিতে লেখা বইটি দারুণ জনপ্রিয়তাই শুধু পায়নি, সেই সঙ্গে জিম বুচারকে দিয়েছে প্রবল জনপ্রিয়তা।
প্রতিশােধের রং কি? এটা কি লাল, নাকি নীল না আগুনরঙা? প্রখ্যাত রহস্যরােমাঞ্চ লেখক ওবায়েদ রহমানের একমাত্র ছেলে ইশতিয়াক রহমান অফিস থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। তার অন্তধানের এক সপ্তাহ পর দোরগােড়ায় হাজির হয়। রহস্যময় এক ভিডিও ও একটি কাটা আঙুল! ভিডিওতে কী জানি বিড়বিড় করে যায় হেলমেটধারি উন্মাদ এক লােক। ডাক পড়ে সেচ্ছানির্বাসনে থাকা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স অফিসার আলী রেজা বখতিয়ারের, সাথে ইশতিয়াকের দুই বন্ধু ইফতি ও রােমেল। তারা তিনজন মিলে কী পারবে উন্মাদটাকে থামাতে? ইশতিয়াককে ঘরে ফিরিয়ে আনতে?
একটা ছেলে। থ্যালাসেমিয়ার রোগী। মা-কে নিয়ে খুব কষ্টের জীবন তার। আর তার বাবা? থাক, তার বাবার কথা আর না-ই বা বললাম। একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। প্রচণ্ড মেধাবী। আকস্মিকভাবে জড়িয়ে পড়লেন অদ্ভুত এবং রহস্যময়, একইসাথে হাস্যকর এক কেসে। তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল সাপ। একজন ছাপোষা মানুষ। টাইপিস্ট। অফিসের সবাই তাকে নিয়ে মজা করে। কোনদিনও অফিস টাইমে কাজ শেষ করতে পারেন না। প্রায় প্রতিদিনই ওভারটাইম করেন। তার একমাত্র শখ, মানুষকে নিয়ে সাইকোলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট করা! এই তিনটি গল্প একসময় মিলে গেল এক বিন্দুতে, শেষের দিকে এসে গল্পের প্রধান চরিত্র এবং পাঠক উভয়েই বুঝতে পারলেন এতক্ষণ ধরে তিনি যা ভাবছিলেন ঘটনা আসলে মোটেও তা নয়! কাহিনী সম্পূর্ণ ভিন্ন!
কিছু আগমন শোনায় ধ্বংসের সিম্ফোনি। ফক্স বোনদের সাথে মৃতদের যোগাযোগের অদ্ভূত ক্ষমতার কথা জানে কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু এই ক্ষমতার পেছনে সত্যিটা আসলে কী? টাকমাথাওয়ালা এক লোক যার প্রিয় কাজ ঘুমিয়ে থাকা প্রাণী দেখা, তার কাছে পাওয়া গেলো অদ্ভূত এক বই। সেখানে এক ধরণের রিচুয়ালের কথা রয়েছে, যেই রিচুয়াল পালন করলে পাওয়া যাবে স্পিরিচুয়াল ওয়াক নামক অদ্ভূত এক ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা কি পেয়েছিলো সাইফুদ্দিন? তার অফিস কলিগের মেয়ে নিখোঁজ যুথিকে খুঁজতে মরিয়া রাফায়েল। যে কোন সময় ঘটিয়ে ফেলতে পারে দূর্ঘটনা। ভাগ্যক্রমে নিখোঁজ মেয়েটাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব নিলো সাইফুদ্দিন। মাথায় ঠেকানো পিস্তল, সময় মাত্র সাত দিন। যুথি কি তাহলে খুন হয়ে গেছে? যদি হয়ে থাকে কে খুন করলো যুথিকে? ভিন্ন এক জগতের যাত্রার সুতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের আশপাশের পরিচিত পৃথিবীতে। আর সামনে অপেক্ষা করছে বিপদ! ভীষণ বিপদ!
মিরপুরের পরিত্যাক্ত এক বাড়িতে টিভি রিপোর্টার নাফিস কী এমন খুঁজে পেল, যা তার বিশ্বাসের সব ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে? সবার অলক্ষ্যে কোন অশুভ নরখাদক হানা দিচ্ছে ব্যস্ত নগরী ঢাকায়? কেন? ওদিকে ময়মনসিংহে পা রাখতেই রফিক শিকদারের মনে জেগেছে অজস্র প্রশ্ন। অদ্ভুত সব রহস্য দেখা দিচ্ছে তার চারপাশে। অতীত-বর্তমানের কোন যোগসূত্র তাকে টেনে এনেছে এখানে, তার দাদার মাজারে? তবে কি তার জীবনে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সব এক সুতোয় গাথা? তিন অদ্ভুত ভাই হাবিল-নাবিল-কাবিলই বা কী চায়? হেম্মেজের রহস্যময় আচরণ বারবার সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে। সব বিপত্তি পেড়িয়ে মায়াবাঘ এর আক্রমণের জবাব খুঁজতে রফিক ছুটে গেল খুলনায়। ওদিকে রাজশাহীতে নদীর তীরে একের পর এক উধাও হচ্ছে মানুষ। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণীরা। সত্যকলামের ‘অপ্রাকৃত’ বিভাগেও জমা হয়েছে ময়মনসিংহের বন-পাহাড়ে ঘটে যাওয়া এক নারকীয় তাণ্ডবের ঘটনা।
হার্ট প্রতিস্থাপনের পর নিজের বোটে অবসর সময় কাটাচ্ছিলেন সাবেক এফবিআই এজেন্ট টেরি ম্যাকেলেব। একদিন একজন মহিলা বোটে এলো বোনের হত্যা রহস্য সমাধানের কেস নিয়ে। খুন হওয়ার পর মহিলার বোনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ম্যাকেলেবের দেহে। বাধ্য হয়েই ম্যাকেলেবকে কেসটা নিতে হল। কেস সমাধানে নেমে ম্যাকেলেব আবিষ্কার করল অদ্ভুত ভয়ঙ্কর এক খুনি বেছে বেছে মানুষ খুন করছে লস অ্যাঞ্জেলস শহরের বুকে। খুনিকে ধরার মত কোনো ক্লু নেই ম্যাকেলেবের হাতে। এছাড়াও কেস সমাধানের পথে ওকে মুখোমুখি হতে হল প্রশাসনিক বাধা-বিপত্তির। এত কিছু সামলে ম্যাকেলেব কি পারবে এই উন্মাদ খুনিকে ধরতে নাকি বিলীন হয়ে যাবে অন্ধকার জগতে?
"গ্রামের সাধারণ ছেলে মুনির ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসেছিল একবুক স্বপ্ন নিয়ে। সৌভাগ্যক্রমে হলেও জায়গা পেয়ে যায়। আর এই হল জীবনটাই কিভাবে যেন সাদাসিধে, আবেগী তরুণটার সবকিছু বদলে দিলো। উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলে পার্থকে হলে রুমমেট হিসেবে পেল সে, যে কি না স্বভাবে একদমই তার বিপরীত। সাহসী, জেদি ছেলেটার মনের ভেতর কী যেন একটা ক্ষোভ আছে। আছে অভিমান। এছাড়াও আছে, অন্ধকার এক দিক। যে অন্ধকার মনের গোপন কথাটা মুনির জানার চেষ্টা করেও তল পায় না। একদিন মুনির ঠিকই জানতে পারে সে সত্য। ভয়ানক সত্যটার মুখোমুখি হয়ে সে ভাবে, এভাবে সব না জানলেও হতো। সব সত্য না জানলেও বোধহয় ক্ষতি নেই। কিছু সত্য অন্ধকারেই থাকা উচিত। কিন্তু, ছাত্র বয়সের সে অন্ধকার অতীত যে এতবছর পরেও মুনিরকে তাড়া করবে, তা সে জানতো না। সব জেনেও মুনির নিশ্চুপ থাকে। সব প্রশ্নের উত্তর জেনেও হিসেব মেলে না, পুরনো রহস্য ফিরে আসে বর্তমানে। হয়তো সব কথা সবাইকে বলা যায় না। বলা হয় না..."
একজন মানুষকে কি দেখে বোঝা যায় যে সে আসলে কে? মানুষের ওপরটা দেখে কি তার ভেতরের রূপটা জানা যায়? মানবমনের ফাঁকফোকড়ে লুকিয়ে থাকে কতশত ব্যাখ্যাতীত অনুভূতি, ত্রুটিবিচ্যুতি আর জটিলতা। আচ্ছা ইতিহাসও কি মানুষের মতো নয়? নিজের ফাঁকফোকড়ে যে ইতিহাস কতশত ব্যাখ্যাতীত ঘটনা লুকিয়ে রেখেছে তা আমরা একটু নজর দিলেই হয়তো দেখতে পাই। আমরা কি আদৌ জানতে পারি যে আসলে কী ঘটেছিলো? বা আমাদের কি জানানো হয়? বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণ এসে উঠলো এক পুরোনো বাড়িতে। রাত হলেই পাশের জনশূন্য ঘর থেকে ভেসে আসে রহস্যময় হাসির শব্দ। এই কাহিনির সাথে রাজা অশোকেরই বা কী সম্পর্ক? কিংবা আরেকজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কেন দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে যেতে? আমাদের দৃশ্যমান জগতই কি সব? নাকি অন্তরালে আছে আরো ভিন্ন কোনো ভুবন? ধীরেধীরে যখন উন্মোচিত হয় সব সত্য, তখন জাপ্টে ধরে আরো রহস্য। সবই কি আসলে ভ্রম? এই মানবজীবনের মতো? পাঠক তা আবিষ্কার করবে এই দুই মলাটের পাতায় পাতায়। অলৌকিক আর অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুবনে আপনাদের স্বাগতম।
একের পর এক রোগী অপারেশন থিয়েটারে কোমায় আক্রান্ত হচ্ছে। সুজান হুইলার হাসপাতালে তার প্রথম কর্মদিবসেই জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে। কিন্তু অদৃশ্য একদল লোক তার জীবননাশের জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ কাজ থেকে তাকে বিরত রাখতে চায় তারা। অদম্য সুজান যখন সেই রহস্য উদঘাটনে সফল হলো তখন দেখা গেলো তার নিজের জীবনটাই বিপন্ন হতে বসেছে। কিন্তু অন্য আরেকজন শেষ মুহূর্তে সমস্ত হিসেব নিকেশ পাল্টে দেয়। মেডিকেল থৃলারের জনক রবিন কুকের এই উপন্যাসটি বর্তমানে একটি ক্লাসিক হিসেবে স্বীকৃত।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর দেখা হয়ে যায় পুরনো বন্ধুদের, দুই বন্ধু নৃতাত্ত্বিক মারুফ এবং পত্রিকার ফিচার এডিটর রুমি কথা প্রসঙ্গে জানতে পারে তাদেরই আরেক বন্ধু পেশা হিসেবে নিয়েছে ভেন্ট্রিলোকুইজম। কৌতূহলী হয়ে সেটার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওরা জড়িয়ে পড়ে দারুণ রহস্যময় এক অনুসন্ধানে, বেরিয়ে আসে ভয়ংকর আর শিউরে উঠবার মত সব সত্য, সাধারণ মানুষকে কখনোই জানতে দেয়া হয় না এমন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক সম্প্রদায়ের কথা। যার পদে পদে ওদের জন্য ওৎ পেতে আছে মৃত্যুগামী বিপদ, অভাবনীয় বিস্ময়, জড়িত আছে ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের জীবন, এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র । ভেন্ট্রিলোকুইস্ট শুধু একটি উপন্যাসই নয়, পাঠকদের জন্য ইতিহাস, স্থাপত্য, গণিত, ধর্মতত্ত্ব আর বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব যাত্রা।
ব্যালকনি থেকে আছড়ে পড়ে মারা গেলেন রিয়েল স্টেট মােঘল ম্যাথু স্টার। খুন নাকি আত্মহত্যা—প্রশ্নটার জবাব পাওয়ার আগেই ঘটতে শুরু করল একের পর এক নাটকীয় ঘটনা। তদন্তের দায়িত্ব পড়ল ডেটেক্টিভ নিকি হিটের ওপর। পেছনে ছায়ার মত লেগে রইল বিখ্যাত সাংবাদিক জেমসন রুক। পুরােদমে তদন্ত এগিয়ে যেতে থাকে। পরিপূর্ণ পুলিশওয়ার্ক বলতে যা বােঝায়, তাই করে চলল ডিটেক্টিভ হিট। ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকল সত্য আর মিথ্যের ফারাক। পার্সন অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে চিহ্নিত মানুষগুলাে মিথ্যে বলছে কেন? ম্যাথু স্টারের প্রকৃত পরিচয় কি? ব্যবসায়িক কারণে খুন হয়ে গেলেন, নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ আছে? পার্সন অব ইন্টারেস্টদের সাথে ভিক্টিমের সম্পর্ক কি ছিল? এক্ষেত্রেও প্রশ্নগুলাের উত্তর পাওয়ার আগেই ডিটেক্টিভ হিট এবং জার্নালিস্ট রুকের সম্পর্কে এল নাটকীয় পরিবর্তন। সত্য অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রেইড চলছে, চলছে একের পর এক ইন্টারভিউ, হাতকড়া উঠছে একের পর এক অপরাধীর হাতে, বাতাসে শিস কাটছে বুলেট, কিন্তু প্রমাণ জুটছে না। নাগালের বাইরেই রয়ে যাচ্ছে খুনি। নিকি হিট কি পারবে সত্যিকারের খুনিকে ধরতে?
এক রাতে আমেরিকার সুপৃমকোর্টের দু’জন বিচারক খুন হলে তদন্ত কাজ শুরু হয়। আইনের এক ছাত্রি নিতান্তই কৌতুহল আর একাডেমিক কারণে জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনায়। তার পিছু নেয় ভয়ঙ্কর এক খুনি। নিজের জীবন বিপন্ন দেখে আত্মগোপনে চলে যায় সে। আরো অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। কিন্তু শেষে পাঠক যা জানতে পারবে তা একেবারেই ভিন্ন একটি ঘটনা।
ব্যাপারটা কাকতাল বা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। এই ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো আমেরিকা থেকে আফ্রিকা হয়ে সুদূর বাংলাদেশ পর্যন্ত। আর এই জালে ফেঁসে গেল আটপৌড়ে এক বাঙালি যুবক। বাধ্য হয়ে পা বাড়াতে হলো অসম্ভবের পথে। শ্বাপদসংকুল দুর্গম জঙ্গলে প্রাণটা হাতে নিয়ে শুরু হল পথচলা। অচেনা দেশ, অজানা জনপদে চারপাশে কেউ নেই যার কাছ থেকে মিলতে পারে বিন্দুমাত্র সাহায্য, সহানুভূতি। শত্রুপুরীতে একেবারেই একা। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বলির পাঠা হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। আন্তর্জাতিক এই চক্রের হাতের পুতুল হয়েই কি তাকে অংশ নিতে হবে ইতিহাসের জঘন্যতম প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে? প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর তপ্ত নিশ্বাস অনুভব করছে ঘাড়ের উপর। সীমাহীন লালসা, ক্ষমতা দখলের তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর বিশ্বাসঘাতকতার কুৎসিত রূপটাও প্রত্যক্ষ করতে হল খুব কাছে থেকে। অক্টোপাসের মতো চারদিক থেকে জড়িয়ে থাকা চক্রান্তের হাত থেকে মুক্তির কোনো পথই কি খোলা নেই!
ক্রাইম রিপাের্টার জন ম্যাকেভয়ের কাজ আবর্তিত হয় মৃত্যুকে ঘিরে। কিন্তু তার পুলিশ অফিসার যমজ ভাই যখন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তখন অবসাদ থেকে মুক্তি পাবার জন্যই ভাইয়ের মৃত্যু আর পুলিশ অফিসারদের আত্মহত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে সে। অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর একটি সত্য আবিস্কৃত হয়-তার ভাইয়ের মৃত্যুর ধরণের সাথে বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যার ঘটনার মিল রয়েছে-সবগুলাে কেসেই সুইসাইড নােট হিসেবে এডগার অ্যালান পােয়ের কবিতার পংক্তি লেখা! তাহলে কি কোন এক সিরিয়াল কিলার বেছে বেছে পুলিশ অফিসারদের খুন করে যাচ্ছে? খুনির শিকারে পরিণত না হলে এ রকম একটি রহস্যের সমাধান বদলে দিতে পারে তার সাংবাদিক জীবনকে। কিন্তু কাজটা মােটেও সহজ নয়। ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে থাকে এক ভয়ঙ্কর অন্ধকারের গল্প। ‘কনেলি তার গ্লারে আসল সারপ্রাইজটা সমাপ্তির আগপর্যন্ত জামার আস্তিনের নীচে লুকিয়ে রাখেন। ‘আগ্রহােদ্দীপক একটি প্রােটাগনিস্ট...কনেলি শুধুমাত্র পােয়েট-এর গল্পটা বলেননি, তিনি লিখেছেনও বেশ কাব্যিকভাবে।
১৯৩৫ সাল। সমগ্র ইউরােপ জুড়ে চলছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দামামা। এমন অস্থির সময়ে মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলে পিয়েরাে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজেকে আবিষ্কার করে অনাথ আশ্রমে। সেখানেও বেশি দিন থাকা হয় না তার। যে ফুপিকে জন্মের পর কখনও দেখেনি, সেই মহিলাই তাকে নিয়ে যাবার জন্য চিঠি পাঠায় আশ্রমে। প্যারিস ছেড়ে অস্ট্রিয়ায় এক পাহাড়ের উপরে অদ্ভুত বাড়ি হয় তার নতুন ঠিকানা। যেনতেন বাড়ি নয়, স্বয়ং হিটলার থাকে ওখানে! হিটলারের সান্নিধ্যে দ্রুতই বদলে যেতে শুরু করে নিরীহ পিয়েরাের জীবন। পরিচিত হয় জীবনের নতুন কিছু দিকের সাথে-যেখানে পদে পদে খেলা করে। ভয়, বিশ্বাসঘাতকতা এবং অভেদ্য অন্ধকার। ছােট্ট পিয়েরাে কি পারবে এমন। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নিজেকে ঠিক রাখতে? সাড়া বিশ্বে পাঠকের চিত্ত জয় করা উপন্যাস দ্য বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামাস বইয়ের লেখক জন বয়েনের দ্য বয় অ্যাট দ্য টপ অব দ্য মাউন্টেইন-এ পাঠককে আবারাে স্বাগতম।