কাহিনী সংক্ষেপ রহস্যের রানি খ্যাত আগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় রহস্য লেখিকাদের মাঝে একজন। নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস-সবখানেই রয়েছে তার সদর্প পদচারণা। এরকুল পোয়ারো এবং মিস মার্পল নামের বিশ্বখ্যাত দুটি চরিত্রের জন্মদাত্রী তিনি। আমেরিকান পিতার ঔরসে ও ব্রিটিশ মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার। ইংল্যান্ডের টর্কুই নামক স্থানে, ১৮৯০ সনের ১৫ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল ছিলেন, তবে ধনী ছিলেন না কখনো। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একা-একা পড়তে শেখেন তিনি। ১৯১৪ সনে কর্নেল আর্চিবল্ড ক্রিস্টির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আগাথা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার পর, তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ম্যাক ম্যালোওয়ানকে...১৯৩০ সনে। ১৯৭১ সনে ভূষিত হন ব্রিটিশ সরকারের ডেম কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অভ ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে। কিন্তু এই বছর থেকেই আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে তার শরীর। অবশেষে ১৯৭৬ সনের ১২ জানুয়ারি, বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যবরণ করেন তিনি। তার লিখিত বিখ্যাত বই থেকে তিনটি বই নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আগাথা ক্রিস্টি সমগ্রের ১ম খণ্ড। বইগুলো হলো: অ্যাপয়েন্টমেন্ট উইথ ডেথ দ্য বিগ ফোর পোয়ারো ইনভেস্টিগেটস
আগাথা ক্রিস্টি সমগ্র ২ দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস (অনু. মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ): সাহায্যের আবেদন শুনে ফ্রান্সে ছুট লাগালেন পোয়ারো। কিন্তু তিনি পৌঁছতে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেছে অনেক, খুন হয়ে গেছেন আর মক্কেল; তার লাশ পড়ে আছে গলফ কোর্সের অগভীর এক কবরে। কিন্তু মানুষটার পরনে কেন তার ছেলের ওভারকোট? সেই কোটের পকেটে থাকা চিঠিটা কার? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার আগেই, আরেকটা সমস্যায় পড়লেন পোয়ারো... ...হুবহু একই রকম আরেকটা লাশ আবিষ্কৃত হয়েছে যে! দ্য থ্রি অ্যাক্ট ট্রাজেডি (অনু. মারুফ হোসেন): আনন্দঘন এক ডিনার পার্টিতে এসে মারা গেলেন একজন যাজক! তেরোজন অভ্যাগত এসেছেন বিশিষ্ট অভিনেতার বাড়িতে। বিশেষ এই সন্ধ্যা অশুভ হয়ে দেখা দিল শান্ত স্বভাবের যাজক, স্টিফেন ব্যাবিংটনের জীবনে। ককটেল কিন্তু মার্টিনির গ্লাসটা পরীক্ষায় পাঠিয়ে জানা গেল-বিষের ছিটেফোঁটাও নেই এখানে... ...ঠিক যেমনটা আন্দাজ করেছিলেন পোয়োরা। তারচেয়ে বড় ব্যাপার, খুনের পেছনে আপাতদৃষ্টিতে নেই কোনো মোটিভ। তাহলে কার হাতে...এবং কেন খুন হতে হলো যাজককে? দ্য হলো (অনু. মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ): লুসি অ্যাঙ্গকাটেলের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লাঞ্চে এলেন এরকুল পোয়ারো। বিখ্যাত গোয়েন্দাকে খোঁচাবার জন সুইমিং পুলের পাশে নকল হত্যাকাণ্ড ঘটাল তার অতিথিরা। কিন্তু আফসোস, একদম বাস্তবে পরিণত হলো সেই নাটক। রক্ত মিশে যাচ্ছে পানিতে, এমন সময় শেষ শব্দটি উচ্চারণ করল জন ক্রিস্টো: হেনরিয়েটা। প্রেমের জালের এক জটিল জটলায় ফেঁসে গেলেন পোয়ারো। মনে হচ্ছে, এই নাটকের সব কুশীলবই সন্দেহভাজন, এবং প্রত্যেকে শিকার প্রেমের যাতনার!
রহস্যের রানি আগাথা ক্রিস্টির ৩টি বই পাবেন অনুমোদিত এই অনুবাদে: ১. দ্য পেল হর্স দ্য পেল হর্স সরাইখানার রহস্যময় ঘটনাগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে মার্ক ইস্টারব্রুককে। সব কিছুর শুরু কীভাবে, তা জানে যুবক; কিন্তু কোথায়, তা যে জানা নেই। এসবের শুরু কি ফাদার গরম্যানের নৃশংস হত্যার মাধ্যমে? নাকি হত্যাকারীর বেচারা ফাদারের পোশাক ছিঁড়ে কিছু একটা খোঁজার সময়? মৃত্যূর ঠিক আগে আরেক মরণাপন্ন মহিলাকে দেখতে যাবার মাধ্যমে ফাদার সব কিছুর সূত্রপাত ঘটাননি তো? যেখানে শুরু হোক না কেন, মার্ক অচিরেই আফসোস করতে করতে ভাববে: এসবে না জড়ালেই ভালো হতো! ২. দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইল যুদ্ধে আহত, সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন হেস্টিংস স্টাইলসে পা রাখল বন্ধুর আমন্ত্রণে। দেখা হলো বন্ধু জনের সৎ-মা, মিসেস ইঙ্গেলথর্পের সঙ্গে। শান্ত সমাহিত গ্রাম্য পরিবেশে যে বিষাক্ত আবহ ভর করছে, তা শুরুতেই টের পেল হেস্টিং। ওর সন্দেহ সত্য বলে প্রমাণিত হলো তখন, যখন বিষপানে মারা গেলেন মিসেস ইঙ্গেলথর্প! সেই হত্যা-রহস্য সমাধানে আগমন হলো প্রখ্যাত গোয়েন্দা, এরকুল পোয়ারোর! ৩. টুওয়ার্ডস জিরো সমুদ্রের ঠিক পাশের পাহাড়ের শীর্ষে, নিজ বাড়িতে খুন হলেন এক বৃদ্ধা... সেই মৃত্যুর সঙ্গে নিজেকে শেষ করে দেবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা, এক স্কুলছাত্রীর নামে চুরির অপবাধ আর বিখ্যাত টেনিস খেলোয়াড়ের প্রেম-জীবনের সম্পর্ক থাকতে পারে কি? হয়তো সবাই বলবেন, পারে না। কিন্তু আছে। কীভাবে আছে, টুওয়ার্ডস জিরো তারই গল্প।
দ্য সিক্রেট অ্যাডভার্সারি টমি আর টাপেন্স, যুবক আর যুবতী, পয়সাকড়িতে টান পড়ায় সিদ্ধান্ত নিলো: ব্যাবসায় নামবে। তবে সেই ব্যাবসা যে খুবই বিপজ্জনক তা প্রতিষ্ঠানের নাম থেকেই বোঝা যায়: ইয়াং অ্যাডভেঞ্চারার্স লিমিটেড। কাজের খোঁজে দেওয়া বিজ্ঞাপনে ওরা বলেছে: যাবে যে কোনোখানে, করবে যেকোনো কাজ। কিন্তু প্রথমেই যে রহস্যময় মি. হুইটিংটনের খপ্পরে পড়ে জানটা খোয়াবার উপক্রম হবে, তা কি কখনও কল্পনাও করেছিল? দ্য ম্যান ইন দ্য ব্রাউন স্যুট সুন্দরী, যুবতী অ্যান বেডিংফিল্ড লন্ডনে এসেছে উত্তেজনার খোঁজে। কিন্তু উত্তেজনাই যে ওকে খুঁজে নেবে, তা তো ওর জানা ছিল না! অদ্ভুত-দর্শন আর একই রকম অদ্ভুত গন্ধধারী এক লোক ভূগর্ভস্থ প্লাটফর্মে পড়ে, রেল লাইনের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা পড়ে। পুলিসের ফয়সালা: দুর্ঘটনাক্রমে মৃত্যু। কিন্তু লাশটাকে পরখ করে পালিয়ে যাওয়া বাদামি স্যুট পরা লোকটার ব্যাখ্যা কী দেবে তারা? মাত্র একটা দুর্বোধ্য সূত্র হাতে নিয়ে খুনির পেছনে লাগল অ্যান; জান গেলে যাক, কিন্তু অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি সে করাবেই! দ্য সিক্রেট অভ চিমনিস ইংল্যান্ডের এক গ্রাম্য বাড়িতে একটা পার্সেলই তো দিতে হবে, এ আর এমন কী? এই ভেবেই কাজটা হাতে নিয়েছিল অ্যান্থনি কেড। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপের বেরিয়ে আসা যে অবশ্যম্ভাবী, তা কে না জানে? বন্ধুর হয়ে এই একটা কাজ করতে গিয়ে নিজেকে সে আবিষ্কার করল আন্তর্জাতিক এক ষড়যন্ত্রের ঠিক মধ্যখানে। অনেক দূরের দেশ, হার্জোস্লোভাকিয়ায় নতুন করে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করে থামবে না সেই ষড়যন্ত্রকারী। হাতে হাত মেলাল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড আর ফরাসি সুরেত। কিন্তু তারপরেও সুরাহা হলো কই? অবশেষে, চিমনিস-এ, মানে গ্রাম্য সেই বাড়িতে ঘটা হত্যাকাণ্ডের ফলে পর্দা উঠল অভাবনীয় এক রহস্যের ওপর থেকে।
চলুন পাঠক, কিছু সময়ের জন্য গোয়েন্দা হয়ে যাই। কী ধরনের কেস চাই? খুন, চুরি-ডাকাতি, প্রতারণা, নাকি নিছক গুপ্তধন সন্ধানের রহস্য? আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে ছ’টি জটিল, দুর্বোধ্য, মাথা-ঘোরানো রহস্য। সবই রয়েছে আমাদের হাতে। আর সেগুলো সমাধানের জন্যে আপনাকে সাহায্য করবে বিশ্বসেরা দুজন গোয়েন্দা – শার্লক হোমস ও মিস মার্পল। তা হলে আর দেরি কেন, চলুন, তাঁদের সঙ্গে ঢুঁ মেরে আসি অপরাধ জগতের আনাচে-কানাচে।