ছোটো থেকেই বড়ো ভাই কেইনের গুণমুগ্ধ উইল ক্লেইন। নিউ জার্সির এক মফস্বল শহরে বাবা-মা, বোন আর ভাইকে নিয়ে ভালোই সময় কাটছিল তার। কিন্তু সব হিসেব-নিকেশ বদলে যায় এক রাতে। উইলের ভালোবাসার মেয়েটা নৃশংসভাবে খুন হয় নিজ বাসার বেইজমেন্টে। প্রধান সন্দেহভাজন উইলের ভাই। পালিয়ে যায় কেইন, সব প্রমাণও তার বিরুদ্ধে। হাসিখুশি পরিবারটা আর হাসিখুশি থাকে না। ঘটনাটা পাল্টে দেয় প্রত্যেকের জীবনের গতিপথ। এক পর্যায়ে তারা ধরেই নেয় যে চিরতরে হারাতে হয়েছে কেইনকে। এগারো বছর পরের ঘটনা। উইল প্রমাণ পায় তার ভাই বেঁচে আছে। শুধু তাই নয়, এতদিন ধরে সে যা বিশ্বাস করে এসেছে, সব বদলে যেতে থাকে একের পর এক। বাধ্য হয় সে সত্যের পিছু নিতে। কিন্তু জীবন তার জন্যে যা সাজিয়ে রেখেছে, তা কল্পনাকেও হার মানাবে। পাঠক, আপনাকে স্বাগতম শ্বাসরুদ্ধকর এক সত্যের অনুসন্ধানে।
১৯৩৫ সাল। সমগ্র ইউরােপ জুড়ে চলছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দামামা। এমন অস্থির সময়ে মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলে পিয়েরাে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজেকে আবিষ্কার করে অনাথ আশ্রমে। সেখানেও বেশি দিন থাকা হয় না তার। যে ফুপিকে জন্মের পর কখনও দেখেনি, সেই মহিলাই তাকে নিয়ে যাবার জন্য চিঠি পাঠায় আশ্রমে। প্যারিস ছেড়ে অস্ট্রিয়ায় এক পাহাড়ের উপরে অদ্ভুত বাড়ি হয় তার নতুন ঠিকানা। যেনতেন বাড়ি নয়, স্বয়ং হিটলার থাকে ওখানে! হিটলারের সান্নিধ্যে দ্রুতই বদলে যেতে শুরু করে নিরীহ পিয়েরাের জীবন। পরিচিত হয় জীবনের নতুন কিছু দিকের সাথে-যেখানে পদে পদে খেলা করে। ভয়, বিশ্বাসঘাতকতা এবং অভেদ্য অন্ধকার। ছােট্ট পিয়েরাে কি পারবে এমন। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নিজেকে ঠিক রাখতে? সাড়া বিশ্বে পাঠকের চিত্ত জয় করা উপন্যাস দ্য বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামাস বইয়ের লেখক জন বয়েনের দ্য বয় অ্যাট দ্য টপ অব দ্য মাউন্টেইন-এ পাঠককে আবারাে স্বাগতম।
অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন। বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১ বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকালাম। ৩:০১। শুক্রবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তাপমাত্রা-ছাব্বিশ ডিগ্রি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কিন্তু কী যেন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে ঘড়িটায়। একটু বাঁকা হয়ে। আছে , আর টেবিলের একদম কিনারার কাছে চলে এসেছে ওটা। কয়েক সেকেন্ড লাগলো কারণটা বুঝতে। ঘড়ির ঠিক পেছনটাতে একটা ছোট্ট সাদা থাবা দেখতে পেলাম। আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। আর্চি। কমলা আর সাদার মিশেলে তুষারের বলের মত লাগে ওকে। এখন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর থাবাটা বাড়িয়ে দিল ঘড়ির দিকে। “ফেলবি না!” চিল্লিয়ে উঠলাম। তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বাসায় আগমন ঘটেছে আর্চির। তখন থেকে তিনটা ওয়াইন গ্লাস, দুটো ছবির ফ্রেম, ইনগ্রিডের পছন্দের কফি মগ আর একটা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্স ভেঙেছে ও কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর্চি, এরপর আবার থাবা বাড়িয়ে দিল সামনে। “খবরদার, আর্চি!” অনুবাদক পরিচিতিঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। খৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার । নিক পিরোগের থ্রি: এএম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। এপর থ্রি: টেন এএম, খ্রি: টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি: থার্টিফোর এএম, কিয়েগো হিগাশিনোর বহুল আলোচিত গৃলার-উপন্যাস দ্য ডিভোশন। অব সাসপেক্ট এক্স এবং দ্য বয় ইন দি 'স্ট্রাইপড পাজামাস তার অন্যতম জনপ্রিয় অনুবাদ কর্ম। নিখোঁজকাব্য তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার।