টুলু বড় হয়ে যে কাজগুলো করবে বলে ঠিক করে রেখেছিল, নীরা মামী তার সবগুলো করেছেন। পাহাড়ে গিয়েছেন, সমুদ্রে গিয়েছেন, প্লেন থেকে লাফ দিয়েছেন, কারাতে শিখেছেন, সিনেমায় অ্যাক্টিং করেছেন, আন্দোলন করেছেন, পুলিশের মার খেয়েছেন, জেলে গিয়েছেন। সোজা কথায় বলা যায় এমন কোনো কাজ নাই যেটা নীরা মামী করেন নাই।
মুক্তিযুদ্ধ : কিশাের উপন্যাসমালা নবীন প্রজন্মের হাতে ভুলে দেওয়া হচ্ছে সেই অবিশ্মরণীয় দিনগুলাের হৃৎপন্দন তাদের মধ্যে সঞ্চারের লক্ষ্যে। নবীন প্রবংশের লেখক, একাত্তর যাদের স্মৃতিতে নেহায়েতই বাল্যের অস্পষ্ট অভিঘাতের মতাে জেগে রয়েছে, যুদ্ধদিনে ফিরে গিয়েছেন অন্তরের উদগ্র তাগিদ থেকে এবং রচনা করেছেন কিশাের যােদ্ধার অনুপম কাহিনী। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সবচেয়ে স্মরণীয় উপন্যাস 'রেড ব্যাজ অব কারেজ' রচনা করেছিলেন। স্টিফেন ক্রেন, যুদ্ধের কোন প্রত্যক্ষ স্মৃতি যার ছিল না। বাঙালির বীর গাথা নিশ্চিতই সঞ্চারিত হবে আগামীদিনের নাগরিকদের মধ্যে, সেই প্রত্যয়ের স্বাক্ষর বহন করছে। সেজান মাহমুদের বই। একাত্তরের এই কাহিনীর হাত ধরে কিশাের পাঠকরা পৌছে যাবে মুক্তিযুদ্ধের ভেতরে, দূর অতীত আবার হয়ে উঠবে সজীব বাস্তব এবং শুধু তথ্য হিসেবে জানা নয়, হৃদয়-মন দিয়ে তারা বুঝতে পারবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের স্বরূপ।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক কিশাের নানাভাবে অবদান রেখেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি অস্ত্র হাতে নিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। বীরত্বের সাথে। তাদের মধ্যে সেলিম আকবর, শহিদুল ইসলাম লাল অন্যতম সেরতের কতিস্বরূপ তারা। বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন একটি গ্রামের অতি সাধারণ কিশাের লালু যুদ্ধে জড়ালেন, কীভাবে। | অসীম সাহসে গুড়িয়ে দিলেন শত্রুসেনাদের ক্যাম্প! | সেসব ভয়াবহ জীবনালেখ্য নিয়ে লেখা বীর বিচ্ছ। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে টাঙ্গাইলে অস্ত্র জমা নিতে গিয়ে চমকে উঠেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। প্রায় শেখ রাসেলের সমবয়সী, রাসেলের সমউচ্চতার একটি কিশাের মুক্তিযােদ্ধা! বঙ্গবন্ধু আনন্দে-আবেগে কোলে নিয়ে আদর করলেন তাকে। চুমু খেলেন! বিয়াল্লিশ বছর আগের | সেসব কথা এই গ্রন্থে তুলে ধরেছেন সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল।