‘যে জীবন মরীচিকা’ বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ কালের ঘূর্ণাবর্তে সবকিছুর পালাবদল ঘটছে। পরিবর্তন আসছে জীবনের রূপ ও রঙে। সময়ের। পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন চিন্তা এসে গ্রাস করছে। পুরােনো চিন্তার জগৎ। এভাবেই চলছে। গ্রহণ-বর্জনের নিরন্তর চক্র। কালের এই চক্রে সবকিছুতে পরিবর্তনের ছোঁয়া। লাগলেও একমাত্র ইসলাম-ই চৌদ্দশত বছর ধরে। চিন্তা-চেতনা ও জ্ঞান বিকাশের অরিকত ও পবিপর্ণ ধারায় রয়েছে বিরাজমান। মানবজাতির জন্য নির্দেশিকা হিসেবে নাযিল হওয়া ইসলামের বাতাসমূহের রয়েছে সমসাময়িক ও আগামী জীবনের। উপযােগিতা। ইসলামের সুমহান সেই বার্তাগুলােই বিশ্বাসী মানুষষের দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। ‘সমকালীন প্রকাশনের পথচলা।
শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম হাফিজাহুল্লাহ কর্তৃক লিখিত আয-যামান আল -কাদ্বিম ঠিক এমন একটি বই। অন্ধকারে ডুবে থাকা একদল মানুষের আলোর জগতে ফিরে আসার কাহিনীগুলোকে তিনি গল্পে রূপ দান করেছেন। সেই অন্ধকার গহ্বরে কীভাবে পৌঁছালো আলোর রশ্মি, কীভাবে পাথরের মতো পাষাণ হৃদয়ে হিদায়াতের ফল্গুধারা নেমে এলো, কোন জিনিসটি আলো হয়ে এসে ভরে দিয়ে গেছে মনের উঠোন—পরিবর্তনের পেছনে এমনসব নিয়ামকগুলো নিয়ে তিনি গল্প সাজিয়েছেন। এই গল্পগুলোতে কখনো তিনি পাঠকদের কাঁদিয়েছেন, কখনো ভাবিয়েছেন। মনের সামনে ঝুলতে থাকা অন্ধকার পর্দা সরাতে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন কিছু চরিত্রের। সেই চরিত্রগুলো প্রতিনিধিত্ব করেছে আমার, আপনার এবং আমাদের। আমাদের ভুলে থাকা মন, বিস্মৃত অন্তরকে জাগিয়ে তুলতে লেখক চেষ্টা করেছেন গল্পগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা আর কাহিনীর সন্নিবেশ করতে এবং লেখক তার কাজে যথেষ্টই সফল হয়েছেন, আলহামদু লিল্লাহ। লেখকের এই বই আরব বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় এবং বহুল পঠিত একটি গল্পগ্রন্থ।
আমাদের যাপিত জীবনে ইসলামি মূল্যবোধের উপস্থিতি ঠিক কত খানি? প্রাত্যহিক জীবনে ঠিক কতটুকু আমরা আমাদের মৃত্যু আর পরকাল নিয়ে ভাবি? অথচ এসবকে ঘিরেই আমাদের নিত্য দিনের কার্যকলাপ প্রভাবিত হয়। হৃদয়ে আল্লাহভীতি তৈরি হয়। আমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেবে, পরকালের কথা মনে গেঁথে দেবে জীবন-ঘনিষ্ঠ এমন কিছু বাস্তব ঘটনার গল্প নিয়েই ‘অশ্রুজলে লেখা’ বইটির আয়োজন। এতটুকু দৃঢ়তার সাথেই বলা যায়—যেকোনো পাঠকের হৃদয়কেই বইটির সার্বিক বিষয়বস্তু দারুণভাবে স্পর্শ করবে। শুধু তা-ই নয়, জীবনে চলার পথেও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।