এই পাঁচটি বছরে প্রতিবারই প্রকৃতিতে ফাগুন এসেছে, বসন্তও এসেছে— জানো তো? ফাগুন মাসেই জন্মেছিলাম কিনা, তাই ফাগুনকে ভুলতে পারি না। শুধু সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষটির দেখা পাইনি— একটি বারের জন্যও না; মনেও করেনি সে। —এভাবে বলো না, প্লিজ! —তা ঠিক, এভাবে বলে আর কী লাভ? কিন্তু খুব মিস করি, জানো? বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললে, ‘আজও মনে আছে তোমার?’ —থাকবে না কেন? আমি তো কিছু ভুলতে চাইনি। চাইলে হয়তো ভুলে যেতাম।
এটি কাজী জহিরুল ইসলামের ২৫তম কবিতা বই। কবি যখন লেখেন, ‘আগুন দেখি না, শুধু দেখি তার ছায়া।/ছায়ার ক্ষমতা যে পেয়েছে টের/ কায়ার দহনে তার পোড়ে না কিছুই, না সুখ না দুঃখ।/ সে এক দৃষ্টি-বেহায়া। তখন পাঠকের চমকে উঠবারই কথা। অল্প কিছু শব্দ, কি যেন শুনিয়ে গেল খুব গোপনে, কোথায় যেন নিয়ে গেল। ছায়াই কি সব, এই ইহকাল? এ কোন দৃষ্টি-বেহায়া? এই গ্রন্থে আছে পরিণত চিন্তার স্ফুরণ। ছোটো ছোটো কথা কিন্তু ধারণ করে আছে সুবিশাল এক একটি ভাবনা। গ্রন্থটিতে সন্নিবেশিত ১০০টি কবিতা মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার এক সুবৃহৎ ক্যানভাস। কবি বলেন, ‘বুকের তাপে উঠছে বেড়ে সাপ/অন্ধকারের রূপ দেখেছি/কোন সাহসে গিলবে আমায় অস্বীকারের পাপ?’।