বাতিঘর (হার্ডকভার) - পারিবারিক বন্ধন এবং পারস্পারিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কিত, ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে, সংকীর্ণ ও দাসত্বমূলক মনোভাব পরিহার করে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টিতে জীবনঘনিষ্ঠ চিন্তাধারার সহযোগী বই। জীবনের একটি বড়ো প্রকল্পের নাম পরিবার; যার অন্যতম প্রধান চরিত্র নারী। ধারণা করা হয়, পরিবারের সামগ্রিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যরে অনেকাংশই নারী সদস্যদের ভূমিকার ওপর নির্ভরশীল। তাদের কাঁধে চাপানো থাকে সবার মন জোগানোর দায়িত্বটাও। তাই নারীকে হতে হয় বিচক্ষণ ও নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত। অপরিহার্য হয়ে পড়ে পরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কোন্নয়নের; আপন সঙ্গী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদের সঙ্গে বোঝাপড়ার, পরস্পরের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও খুঁটিনাটি বিষয়ে সমঝোতার। কিন্তু কীভাবে? এর সমাধান খোঁজা হয়েছে অর্ধশত বছরের তীক্ষ্ম অভিজ্ঞতা থেকে; পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রায় পরিশ্রান্ত চোখের ক্লান্ত চাহনি থেকে। পারিবারিক বন্ধন এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কিত এই ভাবনাগুলো প্রত্যেকের মনোজগৎকেই আলোড়িত করবে। ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে প্রত্যেকেই সচেতন হবে। সংকীর্ণ ও দাসত্বমূলক মনোভাব পরিহার করে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টিতে জনপ্রিয় লেখিকা মাসুদা সুলতানা রুমির জীবনঘনিষ্ঠ চিন্তাধারা সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ। পথ চলা শুরু হোক সেই অনন্ত ভালোবাসার পথে…
১৯৩৫ সাল। সমগ্র ইউরােপ জুড়ে চলছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দামামা। এমন অস্থির সময়ে মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলে পিয়েরাে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজেকে আবিষ্কার করে অনাথ আশ্রমে। সেখানেও বেশি দিন থাকা হয় না তার। যে ফুপিকে জন্মের পর কখনও দেখেনি, সেই মহিলাই তাকে নিয়ে যাবার জন্য চিঠি পাঠায় আশ্রমে। প্যারিস ছেড়ে অস্ট্রিয়ায় এক পাহাড়ের উপরে অদ্ভুত বাড়ি হয় তার নতুন ঠিকানা। যেনতেন বাড়ি নয়, স্বয়ং হিটলার থাকে ওখানে! হিটলারের সান্নিধ্যে দ্রুতই বদলে যেতে শুরু করে নিরীহ পিয়েরাের জীবন। পরিচিত হয় জীবনের নতুন কিছু দিকের সাথে-যেখানে পদে পদে খেলা করে। ভয়, বিশ্বাসঘাতকতা এবং অভেদ্য অন্ধকার। ছােট্ট পিয়েরাে কি পারবে এমন। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নিজেকে ঠিক রাখতে? সাড়া বিশ্বে পাঠকের চিত্ত জয় করা উপন্যাস দ্য বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামাস বইয়ের লেখক জন বয়েনের দ্য বয় অ্যাট দ্য টপ অব দ্য মাউন্টেইন-এ পাঠককে আবারাে স্বাগতম।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমেরিকার মিশিগানে জন্ম হলেও ড্যানিয়েল সিলভা বেড়ে উঠেছেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর মাস্টার্স সম্পন্ন করলেও ঢুকে পড়েন সাংবাদিকতায়, সেই সুবাদে দীর্ঘ দিন কেটেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। বেশ কয়েক বছর সিএনএন-এ কাজ করেছেন তিনি, সেই সময়ই তার প্রথম উপন্যাস দ্য আনলাইকলি স্পাই বের হলে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় ফলে সিএনএন ছেড়ে মনোনিবেশ করেন লেখালেখিতে। কিন্তু তার সৃষ্ট গ্যাব্রিয়েল আলোনকে নিয়ে জীবনের মোড় ঘুরে যায়। একে একে নয়টি বই লিখতে হয় গ্যাব্রিয়েল আলোনকে নিয়ে । দ্য কনফেসর তার অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস। সাম্প্রতিক কালের সবচাইতে নিখুঁত এবং দক্ষ আমেরিকান স্পাই নভেলিস্ট ড্যানিয়েল সিলভাকে জন লেকার এবং গ্রাহাম গ্রিনের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মোট ২৫ টি ভাষায় সিলভার উপন্যাস অনুবাদিত হয়েছে আর সব কটিই পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। বর্তমান তিনি স্ত্রী জেমি গ্যাঞ্জেলের সাথে ওয়াশিংটনে বাস করেছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন পরবর্তী গ্যাব্রিয়েল আলোন সিরিজের । গ্যাব্রিয়েল আলোন দ্বৈতজীবন যাপন করে। তার রয়েছে বিতর্কিত আর যন্ত্রণাদায়ক এক অতীত। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর হত্যারহস্য উদঘাটনে নামতেই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে সাপ। ভ্যাটিকানের বহু পুরনো আর গোপন এক সিক্রেট ফাঁস হয়ে যায়; শুরু হয় নতুন এক ষড়যন্ত্রের। মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে যান স্বয়ং মহামান্য পোপ। এক ভয়ঙ্কর খুনি পিছু নেয় তার। তারপর? আমেরিকার জনপ্রিয় স্পাই নভেলিস্ট ড্যানিয়েল সিলভার টান টান উত্তেজনার এই থৃলারটি পাঠককে ভিন্নধর্মী স্বাদ দেবে।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা বর্তমানে সময়ের আলোচিত ও বহুল বিক্রিত উপন্যাস দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন টাট্রু’র লেখক স্টিগ লারসন উত্তর সুইডেনের ফাস্টরবোথেন এলাকায় ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়াকালীন ইভা গ্যাব্রিয়েলসনের সাথে তার পরিচয় ঘটে, সেই সম্পর্ক টিকে ছিলো ২০০৪ সালে লারসনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মিলিটারি সার্ভিস শেষ করে যাযা্বরের মতো বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন, এরপর কর্মজীবনে ফিনান্সিয়াল ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক হিসেবে। এজন্যে কর্পোরেট জগতের অনেকের বিরাগভাজনও ছিলেন। বেশ কয়েক বার তার প্রাণনাশর হুমকি দেয়া হয়। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হলেও তার এই রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। মৃত্যুর পরই জানা যায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে ৩ টি থৃলার উপন্যাস লিখে গেছেন। মিলেনিয়াম সিরিজ হিসেবে পরিচিতি িএই তিনিটি উপন্যাসের প্রথমটি দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন টাট্রু-প্রকাশ হয় লেখকের মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর পর ২০০৮ সালে। সারা ইউরোপে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলে পরের বছর এ্রর ইংরেজি অনুবাদ যখন প্রকাশিত হয় তখন সেটা পরিণত হয় ইন্টারন্যাশনাল সেনসেশনে । এখন পর্যন্ত ৪০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হওয়া এই উপন্যাসটি এ সময়ে বিশ্ব সাহিত্যের আলোচিত একটি নাম। মোট ৪২ টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে লারসনের এই অসাধারণ থৃলারটি। সালান্ডার ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছে-জড়িয়ে পড়েছে হত্যার অভিযোগে। ঠিক এমন সময় এগিয়ে আসে তার পুরনো বন্ধু ব্লমকোভিস্ট। ঘটনার গভীরে যেতেই বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব কাহিনী আর বিপজ্জনক সব চরিত্র। সালান্ডারের জীবন হুমকির মুখে। শেষ পর্যন্ত যা ঘটে তা একেবারেই লোমহর্ষক। স্টিগ লারসনের মিলেনিয়াম সিরিজের এই দ্বিতীয় উপন্যাসটি আগের মতোই টান টান উত্তেজনার। সাম্প্রতিক সময়ের সেনসেশন এই উপন্যাসটি অবশ্যই পাঠ্য।
অজ্ঞাত এক সিরিয়াল কিলার একের পর এক তরুণীকে বীভৎসভাবে হত্যা ক’রে চলেছে। দিশেহারা এফবিআই সেই খুনির পরিচয় জানতে তাদের এক এজেন্টকে পাঠায় নয়টি নরহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মানুষখেকো ডক্টর হ্যানিবাল লেকটারের কাছে। দূর্বোধ্য আর ধূর্ত লেকটার তার অসাধারণ মেধার সাহায্যে সেই খুনিকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করবে নাকি চরিতার্থ করবে নিজের উদ্দেশ্য-সেই প্রশ্নের উত্তর পাঠক খুঁজে পাবেন কিছুদিন আগে নির্বাচিত হওয়া শতাব্দীর সেরা এই থৃলারে।
চেতন ভগতের এই ভিন্নধর্মী উপন্যাসটি ভারতে রেকর্ড সংখ্যক ৮০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে। তিন যুবকের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা-ক্রিকেট, গণিত আর ব্যবসা। সেই সাথে যোগ হয় প্রেম আর রাজনীতি। জটিলতার মধ্যে পড়ে যায় সম্পর্কগুলো। অসাধারণ এই উপন্যাসটি খুব শীঘ্রই চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে।