দুই দশকের কর্মজীবনে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, এমনকি সৌভাগ্য হয়েছে এই মানুষগুলোর জীবনে ঘটে যাওয়া নানারকম টানাপোড়ার গল্প ও অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরে। বিভিন্ন সময়ে পড়াশুনা, প্রকৃতি এবং নিজের মধ্যে খোঁজ করে জানতে চেয়েছি মানুষের মনের মধ্যে খেলে বেড়ানো ইতিবাচক ও নেতিবাচক ভাবনাগুলো কেমন হয়। বিপুল তথ্য ভান্ডারে জানা অজানা সন্ধানের মাঝে একটা সিদ্ধান্তেই আসতে পেরেছি , সফলতা হলো একটি আপেক্ষিক চিন্তামাত্র, এর কোন স্ট্যান্ডার্ড লাইন নেই। যা এখনো অবধি অসংজ্ঞায়িত। মূলত, বইটি লিখবার অন্তর্নিহিত অভিসন্ধি হলো যারা তথাকথিত সাফল্যের ছকে বাধাঁনো কয়েকটা গাইডলাইনে এগিয়ে নিতে চায় জীবন আমার বইটি তাদের জন্য নয়, সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে যারা শুধু আত্মার প্রশান্তির পেছনে ছোটার ইচ্ছাশক্তি হৃদয়ে ধারণ করে রয়েছে সকল বয়সী সৃষ্টির সেরা জীব বইটি কেবল তাদের জন্যই।
সমাজের উঁচু স্তরের প্রভাবশালী কিছু মানুষ একে একে মারা যাচ্ছে। দূর্ঘটনা, হত্যা না কি অন্য কোনো রহস্য? মৃত্যুর কারণ জানতে পেরে ফরেনসিক ইনচার্জ আদনান বিস্মিত। হোমিসাইডের ক্যাপ্টেন কায়সার জীবনে প্রথমবার টের পেল ভয় কাকে বলে। চোখের সামনে আততায়ী অদৃশ্য হয়ে গেল। মৃত্যুর নীল ছোবল এরপর কার দিকে ধেঁয়ে আসবে, সেটাও অজানা। সত্য? না কি পুরোটাই গুজব? প্রাচীন কুসংস্কার যখন ঘুরে ফিরে আসে তদন্তে, তখন থমকে যেতেই হয়। রাজনীতি, লৌকিক বিশ্বাস আর নেশার রাজ্যের অন্তরালে লুকিয়ে আছে কোন সত্য? কোন অতীতের সুরে গর্জে প্রতিশোধের হুঙ্কার? অন্ধকার ট্রিলজি, ক্ষ্যাপা, নিশাচরের পর বাপ্পী খান-এর লেখা ‘হিমঘুম’ পড়ে পাঠক বিস্মিত হবেন আরেকবার।