জালালুদ্দীন রুমির দর্শনের ভিত্তি হচ্ছে, সকল সৃষ্টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং সকল অস্তিত্বের মূল হলো ‘প্রেম’। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষের জীবনের লক্ষ্য হলো আল্লাহ এবং সকল সৃষ্টির সঙ্গে আমাদের একত্ব উপলব্ধি করা। যাযাবর স্বভাবের দরবেশ ও আধ্যত্মিক শিক্ষক শামস তাবরিজীর সঙ্গে রুমির প্রেমময় সম্পর্ক তাঁর জীবনে রূপান্তর ঘটিয়ে তাঁর আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছে এবং তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে প্রেমের আনন্দ ও বিচ্ছেদের যন্ত্রণার ওপর অত্যন্ত চমৎকার অন্তর্ভেদী কবিতা রচনা করতে। তিনি প্রেমকে বিশ্বের প্রচণ্ড শক্তি ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের চাবিকাঠি হিসেবে দেখেছেন। তাঁর কাছে প্রেম কেবল একটি অনুভব নয়, বরং সচেতনতার অবস্থা, আনন্দ ও বিষাদসহ সবকিছুর কাছে আমরা উন্মুক্ত। তিনি বলেছেন, “আমি আল্লাহর কাছে এত কিছু শিখেছি যে, আমি নিজের বাইরে আর কিছু সন্ধান করি না। সবকিছু আমার মাঝে, মহাবিশ্ব আমার মাঝে।”