রুদ্র সীমান্ত কিঙ বিগ স্পেন্সার, রাজার মতই চাল চলন। তার কথাই আইন। ছেলের উস্কানিতে পাহাড়ের ছোট র্যাঞ্চারদের উৎখাত করার সিদ্ধান্ত নিল। খুন হলো বিল গ্রেহাম। আগুন জ্বলল। খাবার কেনা বন্ধ করে দেয়া হলো। মাইক মরগ্যান নেতৃত্ব দিচ্ছে পাহাড়ীদের। দুর্ধর্ষ পিস্তলবাজ সে-কিন্তু মাত্র কয়েকজন লোক নিয়ে কিঙ সাম্রাজ্যের এত লোকের বিরুদ্ধে কী করতে পারবে? শুরু হলো সংগ্রাম। শয়তানের চক্র পাঁচ বছর পর স্ত্রী ফর্কসে ফিরেছে বব। উদ্দেশ্য, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করবে। কিন্তু শহরে পৌছতে না পৌছতেই উত্তেজনার আঁচ পেল ও। কথা নেই বার্তা নেই সেলুনে গ্রেপ্তার করা হলো ওকে। ওর বন্ধু গ্লেন আর হার্শেলকে নাকি খোঁজা হচ্ছে খুনের দায়ে। রুখে দাঁড়াল বব। বিনা বিচারে খুন হতে দেবে না বন্ধুদের। শর্ত ছয় বছর পর চকটো বেণ্ডে ফের দেখা হলো এদের আত্মবিশ্বাসী টগবগে দুই যুবক, কর্নেল স্টুয়ার্টের অধীন সাবেক ক্যাপ্টেন। একসময় পাশাপাশি চলেছে ওরা, পাড়ি দিয়েছে বহু বিপদসংকুল পথ, অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতই। কিন্তু এখন… পরস্পরকে খুন করতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে হাতে।
খুনে মার্শাল শিপরকের মার্শাল টেড মার্শ। টাউন কাউন্সিলের বিচারে ওর চাকরি গেল। ওদের অভিযোগ-মার্শ একজন খুনে মার্শাল আউটলদের সে ধরে আনে বটে, কিন্তু বেশিরভাগই আসে লাশ, ঘোড়ার পিঠে উপুড় হয়ে। এক দুর্ধর্ষ আউটলর মোকাবিলা করতে শিরক ছেড়ে টেক্সাস রওনা হলো মার্শ। এখন আর ব্যাজের আড়াল নেই। সুযোগ বুঝে চারদিক থেকে ঝাপিয়ে পড়ল ওর ওপর দুর্বৃত্তের দল। নিঃসঙ্গ অশ্বারোহী ছলে, বলে, কৌশলে অসহায় মাইনারদের কাছ থেকে কার্বন ক্যানিয়ন ছিনিয়ে নিতে চাইছে অর্থলোভী বড়লোক মাইনার জিম ডার্বি। সাহায্যে এগিয়ে এল এক স্ট্রেঞ্জার। কিন্তু একা একজন কী করবে? ডার্বি ওদের শায়েস্তা করার জন্যে ভাড়া করল এক অসৎ ইউ. এস. মার্শাল আর তার ছয় ডেপুটিকে। খুন হয়ে গেল একজন মাইনার। এবার কী ঘটবে? ক্ষ্যাপা তিনজন পুরানো বন্ধু বাড় হ্যাডলের পাওনা টাকা পৌঁছে দিতে নিউ মেক্সিকোর সার্কেল এইচ র্যাঞ্চ পথে রওনা হলো রনি ড্যাশার। টের পেল র্যাঞ্চার আর তার মেয়েকে নিজের র্যাঞ্চেই গৃহবন্দি করে রেখেছে নিষ্ঠুর আউটলর একটা দল। বন্ধুকে বাঁচানোর কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে ওদের নিয়ে দুর্গম পাহাড়ে পালাল রনি। সামনে অ্যাপাচি পিছনে ওদের খুন করা। প্রতিজ্ঞা নিয়ে ধাওয়া করছে আউটের দল। এর মধ্যে নামল তুষার ঝড়। কী করবে রনি?