স্বর্ণ সন্ধানী ওয়েসাইডে এসে হাজির হলো ওরা। সেখান থেকে ডেডউড। উদ্দেশ্য—স্বর্ণসন্ধান। ভবঘুরে এক আউট-লয়ের বন্ধুত্ব হয়ে গেল ডেভ মুরের সঙ্গে। ডেভ মুর ভালবেসে ফেলেছে নিঃসঙ্গ লরাকে। লরা জানে সোনার খনির সন্ধান। সেজন্যই কি ওকে প্রয়োজন জিম হগম্যানের? ফাঁদ পাতল হগম্যান; ধরা পড়ল লরা। ভয়ঙ্কর বিপদে অজান্তেই জড়িয়ে গেল দুঃসাহসী দুই বন্ধু। ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে যাচ্ছে ডেভ মুর বিনাদোষে। সশস্ত্র লোকগুলোকে ঠেকানোর চেষ্টা করল ডেভ মুরের বন্ধু। পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়াল দুর্ধর্ষ ওয়াইল্ড বিল হিকক। তারপর? মীমাংসা ফোর্ট স্ট্যামবার্গের অবস্থান টেরিটরির সবচেয়ে বিপজ্জনক আইনহীন খনি-শহর সাউথ পাস সিটির পাশে, যেখানে আছে অসংখ্য মাথা গরম নিষ্ঠুর মাইনার, নীচ জুয়াড়ী আর সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী। এবং বাইরে, আক্রমণের সুযোগের অপেক্ষায় আছে ক্ষুব্ধ ইণ্ডিয়ানরা। ফোর্টে জমা করা সোনা রাখতে ভয় পাচ্ছে ক্যাপ্টেন জনসন, কারণ সে জানে, যে কোনও মুহূর্তে খোদ পোস্টেই রেইড হতে পারে, নিমেষের মধ্যে লুঠ হয়ে যেতে পারে লক্ষ টাকার সোনা। ওদিকে সোনা সাপ্লাই নিয়ে যাওয়া কোনও স্টেজই গন্তব্যে পৌছতে পারছে না, লুঠ হচ্ছে পথে। চারপাশে বিশ্বাসঘাতকতা, হীন চক্রান্ত আর সঙ্কীর্ণ স্বার্থসিদ্ধির মরিয়া চেষ্টা… এই অবস্থায় এখানে আগমন জন হেভেনের। একটাই ওর উদ্দেশ্য যেভাবেই হোক আর্মির মান রাখতে হবে…
ধাওয়া দুই চিরশত্র মার্শাল জো মিলার্ড আর ব্যাংক ডাকাত বিগ জিম ম্যাকেনলি। অবশেষে পরস্পরের দেখা পেল ওরা। শোডাউন হলো, তবে ওদের মধ্যে নয়। ব্যাংক ডাকাতি ঠেকাবার আর কেউ নেই, অপকারী মেয়রের উপকার করতে চুটল জো মিলার্ড। সঙ্গী হলো কে? বোঝা গেল ব্যাংক নয়, ট্রেন ডাকাতি হতে যাচ্ছে। পনেরো-ষোলো জন নৃশংস আউট-লর সাথে লড়তে হবে। মিলার্ড কি পারবে একা? মৃত্যু উপত্যকা মুখোমুখি হয়ে আবারও অনুভব করল জিম কার্সন, বার্ড কেলটন আসলে পুরানো আমলের জলদস্যুদের মতই বেপরোয়া, উদ্ধত এবং দুর্বিনীত এক সত্যিকারের স্বয়ংসম্পূর্ণ পুরুষ। উপত্যকার র্যাঞ্চারদের রাসলিং করে ফতুর করে দিচ্ছে সে। সাধারণ মানুষ জিম কার্সন। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়া যে ওর স্বভাববিরুদ্ধ। রুখে দাঁড়াতেই হলো ওকে। খুনে ক্যানিয়ন খুঁজে বের করতে হবে খুনে ক্যানিয়ন। ওখানে আস্তানা গেড়েছে ভয়ঙ্কর দস্যু বেন স্টার্ক এবং তার দলবল। খুনে ক্যানিয়ন খুঁজতে গিয়ে জীবিত ফেরে না কেউ। দুর্ধর্ষ ইউ এস ডেপুটি মার্শাল রন জনসনকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠাতে চাইতেই স্রেফ জানিয়ে দিল মরার শখ নেই তার। জেল থেকে কৌশলে পালাল রক বেনন। সীমান্তের কাছাকাছি বেন স্টার্কের সঙ্গে দেখা হলো বেননের। কী হবে এখন?