এক ধনীর পুত্র ও তার পিতার ভৃত্যের ছেলের অবিস্মরণীয় বন্ধুত্বের গল্প দ্য কাইট রানার, যে গল্পের পটভূমি এমন এক দেশ যা ধ্বংস হতে বসেছে! গল্পটি পঠনের শক্তির, বিশ্বাসঘাতকতার মূল্যের, পরিত্রাণের সম্ভাবনার। সেই সঙ্গে দ্য কাইট রানার আলোকপাত করে পুত্রের ওপর পিতার প্রভাবের ব্যাপারেও: তাদের ভালোবাসার, তাদের মিথ্যা-কথনের, তাদের বলীর। আফগানিস্তানের বিগত তিরিশ বছরের ইতিহাসকে সামনে রেখে খালেদ হোসাইনি এঁকেছেন পরিবার, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের এক অবিস্মরণীয় চিত্র। টানা দুটো বছর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার লিস্টে থাকা বইটি শুধুমাত্র আমেরিকাতেই বিক্রি হয়েছে সাত মিলিয়ন কপির চাইতে বেশি। পাঠক ও সমালোচক, সবার কাছে সমাদৃত বইটি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছেও ভালো লাগবে।
এই পৃথিবীতে অনেক মানুষই এসেছে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে। আর কিছু মানুষ এসেছে ইতিহাসকে বদলে দিতে। সেই কিছু মানুষের একজন বখতিয়ার খলজি। অথচ তার সম্পর্কে কতটুকুই বা লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়? যা লেখা আছে, তাও বখতিয়ারের মৃত্যুর অর্ধশতাব্দী পরে তারই এক সহযোদ্ধার কাছে থেকে শুনে। বৃদ্ধ সেই সহযোদ্ধার বর্ণিত ইতিহাস লিখে রেখে গেছেন পারস্য দেশীয় ইতিহাসবিদ, মিনহাজ-ই-সিরাজ, তার ‘ত্ববাকত-ই-নাসিরী’ গ্রন্থে। স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতি এবং শ্রুতিনির্ভর ইতিহাসে থাকে অসামঞ্জস্য, থাকে ভুল। থাকে অনিচ্ছাকৃত বর্জন কিংবা প¶পাতদুষ্ট অতিরঞ্জন। থাকে লেখকের ব্যক্তিগত মতামত ও ধর্মীয় মতবাদের প্রতিফলন। আর সেই কারণেই ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের কাছে বখতিয়ার হয়ে উঠেছে এক অন্যতম বিতর্কিত চরিত্রের নাম। প¶ে ও বিপ¶ে হয়েছে প্রচুর বিতর্ক। হয়েছে অনেক চুলচেরা বিশ্লেষণ। আমি ইতিহাসবিদ কিংবা গবেষক নই। সেই সব বিতর্ক ও বিশ্লেষণের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই আমার। আমি খোঁজার চেষ্টা করেছি সেই উচ্চাভিলাষী বখতিয়ারকে, যে প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় আফগানি¯—ান থেকে এসে তৎকালীন মগধ ও গৌড়ের অধিপতি হয়েছিল। আমি দেখার চেষ্টা করেছি সেই অদম্য অশ্বারোহীকে, যে বাংলা ও বিহারে ধূমকেতুর মতো উদয় হয়েছিল, আবার উল্কার মতোই হারিয়ে গিয়েছিল। আমি বোঝার চেষ্টা করেছি একজন মানুষ বখতিয়ারকে, যার জীবনের সুখ দুঃখ, হাসি কান্না, প্রেম ভালোবাসার কথা কেউ বলেনি। ব্যক্তি বখতিয়ারের বর্ণাঢ্য সেই জীবনকে ধরতে গিয়ে, আমাকে বুঝতে হয়েছে তৎকালীন ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট। পড়তে হয়েছে প্রথতযশা সব লেখকদের প্রচুর বইপত্র। কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ একটা নির্ঘণ্ট পরিশিষ্টে যুক্ত করা হলো। সব শেষে বলি, আমি কোনো ইতিহাস লিখিনি। ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে উপন্যাস লিখেছি। তবে চেষ্টা করেছি, ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রাখার। চেষ্টা করেছি, বর্ণিত সকল ঐতিহাসিক চরিত্রের প্রতি নির্মোহ ও নিরপেক্ষ থাকার। কতটুকু সার্থক হয়েছি, সে বিচারের ভার রইল বিদগ্ধ পাঠকের উপর।
বইটিতে ইরানের সংস্কৃতির একটা সম্মখ ধারণা পাওয়া যাবে। দীর্ঘদিন ইরানে কাজ করার সুবাদে লেখক ইরানের যাপিত জীবনের খুটিনাটি খুব কাছ থেকে খেয়াল করেছেন।বইটিতে ইরানের সংস্কৃতির একটা সম্মখ ধারণা পাওয়া যাবে। দীর্ঘদিন ইরানে কাজ করার সুবাদে লেখক ইরানের যাপিত জীবনের খুটিনাটি খুব কাছ থেকে খেয়াল করেছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক কিশাের নানাভাবে অবদান রেখেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি অস্ত্র হাতে নিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। বীরত্বের সাথে। তাদের মধ্যে সেলিম আকবর, শহিদুল ইসলাম লাল অন্যতম সেরতের কতিস্বরূপ তারা। বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন একটি গ্রামের অতি সাধারণ কিশাের লালু যুদ্ধে জড়ালেন, কীভাবে। | অসীম সাহসে গুড়িয়ে দিলেন শত্রুসেনাদের ক্যাম্প! | সেসব ভয়াবহ জীবনালেখ্য নিয়ে লেখা বীর বিচ্ছ। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে টাঙ্গাইলে অস্ত্র জমা নিতে গিয়ে চমকে উঠেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। প্রায় শেখ রাসেলের সমবয়সী, রাসেলের সমউচ্চতার একটি কিশাের মুক্তিযােদ্ধা! বঙ্গবন্ধু আনন্দে-আবেগে কোলে নিয়ে আদর করলেন তাকে। চুমু খেলেন! বিয়াল্লিশ বছর আগের | সেসব কথা এই গ্রন্থে তুলে ধরেছেন সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল।