‘আরবি রস’ একটি মজার বই। আরবি সাহিত্যে কত অসাধারণ রস। লুকিয়ে আছে তার সাথে বাঙলাভাষী পাঠককে পরিচিত করার প্রয়াস । আরবি সাহিত্য শুধু নয়, আরবি ভাষাটাও খুবই মজার৷ এই মজাটা । আয়ত্তে আনার কিছু কলকজা এই বইয়ের গল্প থেকে পাওয়া যাবে । ‘আরবি রস’ সবার জন্যে। এই রস আস্বাদনের জন্যে আরবি ভাষা জানা। কিংবা আরবি ভাষার শিক্ষার্থী হওয়া আবশ্যক নয়৷ ‘আরবি রস’-এর। হাঁড়ি সবার জন্যে উন্মুক্ত৷ এ কথাও স্মর্তব্য, সবার উপযােগী করে । রচিত হলেও এটি কোনাে চটুল কৌতুকগ্রন্থ নয়। ভাষা-সাহিত্যের বিচিত্র-বর্ণাঢ্য স্বাদ উপভােগে অভ্যস্ত বা আগ্রহী পাঠকবৃন্দ ‘আরবি। রস’-এর সাথে বেশ সুন্দর সময় কাটাতে সক্ষম হবেন।
জ্ঞানের রাজ্যে ডুব দেবার এক নিরন্তর অভিযান, এক অদম্য জীবনের গল্প। কখনো কেবল একটি হাদিসের জন্য তারা ছুটে গিয়েছেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে, কখনো-বা রাতের পর রাত কাটিয়ে দিয়েছেন কোনো একটি আয়াতের নিগূঢ় অর্থ উদ্ভাবনে। তারা ছিলেন প্রাণবন্ত। সদা উৎফুল্ল। তাদের রাতগুলো ছিল ইবাদতময়। দিনগুলো কর্মমুখর। কুরআনের সাথে তাদের যেন গভীর এক মিতালি। নিঃসন্দেহে তারা সুন্নাহর অতন্দ্র প্রহরী। সত্যের এক প্রকৃত বন্ধু। মিথ্যার ঘোরতম শত্রু। তারা আমাদের মহান ইমাম। আমাদের পূর্বসূরি। সেই মানুষগুলো, যারা আলোকিত করে গেছেন আঁধারকালো পথ; দেখিয়েছেন সহজ-সরল পন্থা। আমাদের জন্য জ্ঞানরাজ্যের সকল দ্বার উন্মুক্ত করে যাওয়া সেই মহান মানুষগুলোর জীবনী আমরা মলাটবদ্ধ করেছি ‘ইমাম সিরিজ’-এ।
ক্ষণিকের এ দুনিয়ায় সুখী হবার জন্য কতই না তোড়জোড় আমাদের! সুখের খোঁজে আমরা ঠিক যেন যন্ত্রের মতো ছুটে চলি সারাদিন সারাবেলা। বিলাসবহুল বাড়ি, দৃষ্টিনন্দন গাড়ি আর অফুরান অর্থকড়ি—সত্যিই কি আমাদের জীবনে সুখ এনে দিতে পারে? না, কখনোই নয়। দুনিয়া কখনো পরম সুখপ্রাপ্তির স্থান নয়। আসল সুখের ঠিকানা একমাত্র জান্নাত। কেবল সেখানে গেলেই ঘুচে যাবে সব অভাব-অনটন, দূর হবে সকল দুঃখ-কষ্ট আর না-পাওয়ার বেদনা। কী আছে সেই জান্নাতে? কেন জান্নাত এত বেশি আকাঙ্ক্ষিত? কীভাবে যাওয়া যাবে সেখানে? কারা যেতে পারবে? কারা পারবে না?—এসব নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন ‘ওপারেতে সর্বসুখ’ বইটি।
শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম হাফিজাহুল্লাহ কর্তৃক লিখিত আয-যামান আল -কাদ্বিম ঠিক এমন একটি বই। অন্ধকারে ডুবে থাকা একদল মানুষের আলোর জগতে ফিরে আসার কাহিনীগুলোকে তিনি গল্পে রূপ দান করেছেন। সেই অন্ধকার গহ্বরে কীভাবে পৌঁছালো আলোর রশ্মি, কীভাবে পাথরের মতো পাষাণ হৃদয়ে হিদায়াতের ফল্গুধারা নেমে এলো, কোন জিনিসটি আলো হয়ে এসে ভরে দিয়ে গেছে মনের উঠোন—পরিবর্তনের পেছনে এমনসব নিয়ামকগুলো নিয়ে তিনি গল্প সাজিয়েছেন। এই গল্পগুলোতে কখনো তিনি পাঠকদের কাঁদিয়েছেন, কখনো ভাবিয়েছেন। মনের সামনে ঝুলতে থাকা অন্ধকার পর্দা সরাতে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন কিছু চরিত্রের। সেই চরিত্রগুলো প্রতিনিধিত্ব করেছে আমার, আপনার এবং আমাদের। আমাদের ভুলে থাকা মন, বিস্মৃত অন্তরকে জাগিয়ে তুলতে লেখক চেষ্টা করেছেন গল্পগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা আর কাহিনীর সন্নিবেশ করতে এবং লেখক তার কাজে যথেষ্টই সফল হয়েছেন, আলহামদু লিল্লাহ। লেখকের এই বই আরব বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় এবং বহুল পঠিত একটি গল্পগ্রন্থ।
ঐশী আলোয় উদ্ভাসিত যে-জীবন, কতই না উত্তম সেই জীবনের গল্প। নববী আদর্শে উজ্জ্বল যাদের পদরেখা, কতই না মহিমান্বিত সেই জীবনধারা। সেই জীবন এমন এক অঙ্কিত ছবির মতো, যেখানে রঙতুলিতে আঁকা হয় মহান রবের সান্নিধ্য লাভের পথ। সেই পথ মুখরিত হয়ে আছে কুরআনের সুর-তাল-লহরিতে। আলোকিত হয়ে আছে এমন এক অপার্থিব আলোয়, যে-আলো প্রথম ঝলমল করে উঠেছিল নির্জন, নিস্তব্ধ হেরার অন্ধকারে। এরপর, সেই আলোর বিচ্ছুরণে যাদের জীবন রাঙিয়ে উঠেছিল, তারাই আমাদের মহান পূর্বসূরি। আমাদের উত্তম পূর্বপুরুষ। আমাদের সালাফ। তাদের যাপিত জীবনের প্রতিচ্ছবির নাম ‘সালাফদের জীবনকথা’।
‘মেঘ কেটে যায়’ বইয়ের কিছুকথাঃ মেঘগুলো কেমন যেন! দলবেঁধে এসে ছেঁয়ে ফেলে আকাশটাকে। মেঘের আড়ালে ফিকে হয়ে যায় আকশের নীল। মেঘেরা তৈরি করে এক বিদঘুটে পরিবেশ। নীল আকাশ ছেঁয়ে যায় এক গুমোট আবহাওয়ায়। থমথমে। নীরব। নিস্তব্ধ। হঠাৎ কোথা থেকে যেন এক টুকরো আলোক রশ্মি এসে মূহুর্তেই পাল্টে দেয় সব। কেটে যায় মেঘ। ফিকে হয়ে যাওয়া নীল ফিরে পায় তার রঙ। আলোতে আলোতে আবার ভরে উঠে আকাশ। আমাদের হৃদয়টাও নীল আকাশের মতোন। আর, সন্দেহগুলো হলো কালো মেঘের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবিগুলো যখন হৃদয়ের আকাশে এসে জমাট বাঁধতে শুরু করে, তখন হৃদয়ের পরিবেশ হয়ে ওঠে অশান্ত। তাতে ভর করে অবিশ্বাস। সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দোটানায় ভাসতে থাকা হৃদয়, আস্তে আস্তে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।এরপর? এরপর একদিন তাতে এক টুকরো আলো এসে পড়ে আর মূহুর্তেই কেটে যায় হৃদয়ের সকল অন্ধকার। সেই আলোতে পরিশুদ্ধ হয়ে আমাদের হৃদয় আবার বিশ্বাসের পথে চলতে শুরু করে। সকল সন্দেহ, অবিশ্বাস আর জড়তার বন্ধন ছিন্ন করে হৃদয়ের গহীন থেকে কেবল বিশ্বাসের সুর প্রতিধ্বনিত হয়।হৃদয়ের মেঘ কেটে যাওয়ার সেই উপাখ্যান দিয়েই সাজানো হয়েছে ‘মেঘ কেটে যায়’।