আপনি কয়জন সিরিয়াল কিলারকে চেনেন? এই জগতের ইতিহাসে ভয়ংকরতম খুনির সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে? ‘সানজাক-ই উসমান আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলেছে। তাকে দেখতে হলে আমাদের উঁকি দিতে হবে আটশো বছর আগের পৃথিবীতে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিজ খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী। মাত্র কুড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিণত হলো সারা পৃথিবী। প্রথমে চীন, তারপর তুর্কিস্তান আর খোরাসান হয়ে মোঙ্গলঝড় ধেয়ে এলো ককেশাস, আনাতোলিয়া দিয়ে রাশিয়া আর হিন্দুস্তানের দিকে। মরে সাফ হয়ে গেল কোটি কোটি মানুষ। মোঙ্গলদের হাত থেকে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ইরান তুর্কিস্তান থেকে আনাতোলিয়ার দিকে রওনা দিলো কিছু মানুষ। তারপর কী হলো? কী করে তারা গড়ে তুলল বিশাল এক সালতানাত? মোঙ্গলদের হাত থেকে কারা বাঁচালো মক্কা-মদিনাকে? এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটা একই সঙ্গে ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। আজকের পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।
নবিজির জীবনী আমাদের কাছে উন্মুক্ত বই। সেখান থেকে পৃষ্ঠা উলটিয়ে যা ইচ্ছে আমরা পড়তে পারি, শিখতে পারি। প্রতিটি অধ্যায় মণি-মুক্তোয় ভরপুর। পৃথিবীর সকল সেলিব্রেটি অন্তত কিছু না কিছু ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ বলে গোপন করে। কিন্তু দেখুন না আমাদের নবিজিকে; সবকিছুই তিনি উন্মুক্ত করেছেন উম্মতের জন্য। নবিজির বহির্জীবন নিয়ে বলেছেন সাহাবিগণ, ঘরের জীবন নিয়ে বলেছেন উম্মুল মুমিনিন। তাঁরা নবিজির জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করেছেন এবং সেগুলো দুনিয়াবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের বাবা-মা কিংবা শিক্ষকের চেয়েও নবিজিকে বেশি জানি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের চেয়েও নবিজিকে বেশি উপলব্ধি করতে পারি এবং ভালোবাসি। আমাদের ধ্যান-জ্ঞান এবং আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ‘উসওয়াতুন হাসানা’ প্রিয় নবিজি। ‘মাআল মুস্তফা’ গ্রন্থে আমরা নবিজিকে আরেকবার জীবনের সাথে মিলিয়ে নেবো, তাঁর জীবন থেকে পাথেয় কুড়িয়ে নেবো ইনশাআল্লাহ।
জীবনের কতগুলো বসন্ত পার হয়ে গেছে, ম্লান হয়ে গেছে কতশত কাকডাকা ভোর। আবছা স্মৃতির মতো, জীবন আস্তে আস্তে আচ্ছন্ন হয় ধূসরতায়। সময়ের সরল সংখ্যা কমে আসছে ধীরে ধীরে। সব পাখি নীড়ে ফেরে। সব নদী ফিরে যায় মোহনায়। তবু কিছু মানুষ, ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে, ফিরে আসতে চায় না। মোহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে তারা ছুটতে পারে না আদিগন্ত অনন্তের পথে। তবু ফিরতে হবে। বেলা ফুরাবার আগে, ঠিক ঠিক চিনে নিতে হবে পথ। সন্ধ্যের ঘনঘোর আঁধারের অতলতায় ডুবে যাবার আগে, জীবন তরিটিকে ভেড়াতে হবে কূলে। রাতেরও শেষ আছে। ক্লান্তিরও আছে অবসান। জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে, নতুন করে একবার, শুধু একবার জ্বলে উঠতে হবে। নিজেকে আরেকবার ঝালিয়ে নিতে আজ তবে ডুব দেওয়া যাক...
ঘুটঘুটে অন্ধকার! সেই অন্ধকার গ্রাস করে আছে সবকিছু। এমন সময় কোথা থেকে যেন ছুটে আসে এক উষ্ণ আলােক রশ্মি। সেই আলাের পরশে নিমিষেই মিলিয়ে যায় অন্ধকার রাত। প্রভাতী কিরণের মতােই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এই আলােক রশ্মি। যাত্রা হয় এক নতুন দিনের, নতুন সময়ের। এমনই আবহে সত্য ও পবিত্র পথের সন্ধানে দুঃসাহসিক অভিযাত্রার গল্প নিয়ে এগিয়ে যায় সাজিদ-আর অবিশ্বাসের দেয়ালে গেঁথে যায় বিশ্বাসের। কথামালা। ভেঙে পড়ে অবিশ্বাসের দেয়াল। নির্মিত হয় সত্যের ইমারত। সত্য আর শুভ্রতার সেই গল্পে আপনিও একজন অংশীদার. ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২ বইয়ের সূচিপত্রঃ’ কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?- ১৫ A Reply to Christian Missionary- ২৫ ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?- ৪০ কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য- ৫১ বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড—ঘটনার পেছনের ঘটনা- ৬৩ স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প- ৮০ রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে- ৯২ জান্নাতেও মদ?- ১১৩ গল্পে জল্পে ডারউইনিজম- ১২৫ কুরআন কেন আরবী ভাষায়- ১৩৬ সূর্য যাবে ডুবে- ১৫৩ সমুদ্রবিজ্ঞান- ১৬৪ লেট দেয়ার বি লাইট- ১৭৯ কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা- ১৯৮ নিউটনের ঈশ্বর- ২১৫ পরমাণুর চেয়েও ছোট- ২২৫ লেখক-পরিচিতি- ২৩৫ বইয়ের কিছু কথাঃ কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে? অনেকদিন পর শাহবাগে হঠাৎ নীলু দা’র সাথে দেখা। প্রথমে খেয়াল করিনি। পেছন থেকে এসে আমার মাথায় টোকা দিয়ে বললেন, কী খবর কবি সাহেব?’ পেছন ফিরতেই দেখি হাতে একগাদা বই নিয়ে নীলু দা দাঁড়িয়ে আছেন। চোখে মোটা ফ্রেমের কালো চশমা লাগিয়েছেন বলে দেখতে একদম স্কুল মাস্টারের মতো লাগছে। খয়েরি রঙের টি-শার্ট গায়ে। আমি খুবই অপ্রস্তুত ছিলাম। বললাম, আরে দাদাভাই যে! কেমন আছ? ‘ভালো। তুই কেমন?’ ‘ভালো।’ কুশলাদি বিনিময় করতে করতে আমরা একটি ফাঁকা স্থানে এসে দাঁড়ালাম। নীলু দা জিজ্ঞেস করল, ‘সাজিদ কোথায়?’ এই মুহূর্তে সাজিদ কোথায় তা আমিও জানি না। একটু আগেও সে আমার সাথে ছিল। আমি মোবাইলে টাকা রিচার্জ করে এসে দেখি সে উধাও। কখন থেকে ফোন করেই যাচ্ছি! যদিও জানি, সে আমার ফোন ওঠাবে না, তবুও ব্যর্থ চেষ্টা করে যাওয়া আরকি! কতক্ষণই বা এরকম কাঠফাঁটা রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়? নীলু দা’র প্রশ্নের জবাবে বললাম, ‘আছে হয়তো এদিকে কোথাও।’…
স্বনামধন্য লেখক আরিফ আজাদ একজন আলাের ফেরিওয়ালা। বিশ্বাসের দর্শন দিয়ে লেখালেখির জগতে পা রাখা এই লেখক এবার হাজির হয়েছেন জীবনের কিছু গল্প নিয়ে। জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গল্পগুলােকে লেখক তুলে এনেছেন তার শৈল্পিক রং-তুলিতে। আলাে থেকে স্ফুরিত হওয়া সেই অসাধারণ গল্পগুলাে যেমন জীবনের কথা বলে, তেমনই জীবনে রেখে যায় বিশ্বাসী মূল্যবােধের গভীর এক ছাপ। জীবন যেখানে যেমন নিরেট গল্পের একটি বই। তবে কেবল গল্পের বই বলে একে মূল্যায়নের সুযােগ নেই। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে লেখক তার পাঠকদের জন্য রেখে গিয়েছেন চিন্তার কিছু খােরাক। পাঠকের ভাবুক মন যদি সেগুলােয় নিবিষ্ট হয়, আমরা আশা করতে পারি, গল্পের পাশাপাশি তারা জীবনের কিছু উপকারী পাঠ কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হবে। লেখক আরিফ আজাদ তার লেখনীশক্তির মুন্সিয়ানায়। গল্পগুলােকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। এ কারণে প্রতিটি গল্পই হয়ে উঠেছে সুখপাঠের এক বিশাল আধার। এ বইতে পাঠকসমাজ নতুন এক আরিফ আজাদকে আবিষ্কার করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে বলতে হচ্ছে, লেখক নিজস্ব বানান ও ভাষারীতি অনুসরণ করে থাকেন। ফলে বহুল ব্যবহৃত কিছু শব্দের অচেনা রূপ দেখে তারা বিভ্রান্ত হবেন না—এই কামনা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য আর সুন্দরের পথে অবিচল রাখুন। আমিন।
এই পৃথিবীতে যারা আমাদের সবচেয়ে আপনজন, যাদের ঋণ কোনভাবেই শোধ করা সম্ভব না তাঁরা হলেন আমাদের মা ও বাবা। সর্বাবস্থায় প্রতিটি সন্তানের উচিত তাদের সেবা করা। মা-বাবার অবাধ্যতার ফলাফল, তাদের বাধ্যগত থাকার পুরষ্কার, তাদের প্রতি আমাদের ব্যবহার কীরূপ হওয়া উচিত সে সব কিছু নিয়ে চমৎকার কিছু গল্পের সংকলন এই বইটি। সূচিপত্রঃ জীবন থেকে নেওয়া* মায়ের চিঠি- ১৭ সালেম- ২১ বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসুন- ৩১ এই ঋণ শোধ হবার নয়- ৩৩ উপহার- ৩৭ মায়ের চোখে পৃথিবী- ৪১ ত্যাগ ও বিনিময়- ৪৫ তবুও সৌভাগ্যবান- ৪৯ রেস্টুরেন্টে একদিন- ৫৫ মায়ের মিথ্যে বলা- ৫৭ অবহেলা- ৬১ অনুশোচনার গল্প: হারিয়ে ফেলার পরে- ৬৩ লোভের তাড়না- ৬৯ অনুশোচনার গল্প: রক্তাক্ত আলেক্সেন্ড্রিয়া- ৭৫ মাকে পাওয়ার মামলা- ৮১ আত্মত্যাগ- ৮৫ উপলব্ধির গল্প: আর কি পাবো তারে!- ৮৭ কিছু স্মৃতি, কিছু শূন্যতা- ৯১ পুরস্কার- ৯৫ স্বঃপ্ন, দুঃস্বপ্ন- ৯৭ আনুগত্যের গল্প: সঠিক পথের দিশা- ১০৩ মায়ের অভিশাপ- ১০৫ এক বৃদ্ধার ইসলামগ্রহণ- ১০৭ শোচনীয় পরিণতি- ১০৯ ফযল বিন ইয়াহ্ইয়া- ১১১ ইবনু তাইমিয়া (আ.) এর চিঠি- ১১৩ ধনী লোকের মানহানি- ১১৫ সেতুবন্ধন- ১১৯ অশুভ পরিণাম- ১২৩ আনুগত্যের গল্প: মৃত্যু থেকে রক্ষা- ১২৯ অবাধ্যতা- ১৩১ উপলব্ধির গল্প: অবুঝ শিশুর ভাবনা- ১৩৫ বাবা-মায়ের স্মৃতি- ১৩৭ সিলাহ রেহমি- ১৪৩ সহানুভূতির সত্য রূপ- ১৪৯ কুর’আন ও হাদিস থেকে নেওয়া ইবরাহীম (আ) এর নম্রতা- ১৫৫ জুরাইজের ঘটনা- ১৫৭ ‘উমার (র:) এর কান্না- ১৬১ পাথর অপসারণ- ১৬৫ বাবা-মায়ের দু’আ- ১৬৭ উত্তম আচরণ ও সম্মান- ১৭০ অমুসলিম পিতা-মাতার সাথে আচরণ- ১৭১ দীর্ঘায়ু ও সম্পদ লাভ- ১৭৩ এক ইয়েমেনীর ঘটনা- ১৭৪ মায়ের চিঠি প্রিয় খোকা, বেশ কিছুদিন ধরে তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। ঘুরেফিরে কেবল পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলোই চোখের সামনে ভেসে উঠছে বার বার। তখন সময়টা ছিল বিয়ের প্রায় বছর দেড়েক পর। একজন নারী তার জীবনে সবচেয়ে প্রিয় যে সংবাদ পেতে পারে, সেই সংবাদ আমিও পেয়েছিলাম। তুমি জানো, কী ছিল সেই সংবাদ—যা আমাকে জীবনের পরম আনন্দে ভাসিয়েছিল? সেটা ছিল তোমার অস্তিত্বের সংবাদ। আমাকে বলা হয়েছিল, আমার গর্ভে তুমি এসেছ। বাবা আমার, আমি তোমাকে কোনোভাবেই সেই মুহূর্তের কথা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার গর্ভে তোমার অস্তিত্বের সংবাদ যে আমাকে কী রকম আনন্দের প্লাবনে ভাসিয়েছে—সেটা তুমি কোনোদিনও বুঝবে না। তারপর অনেকগুলো সপ্তাহ কেটে গেল। আমার শরীরে আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসতে লাগল। শরীরের এই পরিবর্তনের সাথে সাথে আমি ভয়ও পাচ্ছিলাম। কারণ, আমি যা-ই খেতাম তা-ই বমি হয়ে যেত। প্রচণ্ড দুর্বলতা এসে আমার শরীরে ভর করতে লাগল। তুমি বড় হওয়ার সাথে সাথে আমার শরীরও দিন দিন বড় হতে লাগল….