২০১৫-র শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরােধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানাে হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন। এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলাের মুখ দেখতে পায় ‘ইসলামবিরােধীদের জবাব—Response To Anti-Islam' (www. response-to-anti-islam.com)। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযােগআপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। এই সাইটের জন্য তৈরি করা হয়েছে Android এবং iOS অ্যাপ। ফলে যে কেউ খুব সহজেই নিজ মােবাইল ফোনে অ্যাপগুলাে ডাউনলােড করে লেখাগুলাে পড়ে ফেলতে পারেন। ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলাের একটি সংকলন হচ্ছে জবাব। ওয়েবসাইট ও অ্যাপের পাশাপাশি বইয়ের মাধ্যমেও বিশ্বাসের কথাগুলাে ছড়িয়ে দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। জবাবঅনেক লেখকের সমন্বিত চেষ্টার ফল। প্রথিতযশা অনেক লেখককে চিন্তাশীল, ভাবনাজাগানিয়া, গবেষণাধর্মী লেখায় সমৃদ্ধ এই সংকলন। নাস্তিক্যবাদ-বিরােধী কাজগুলােতে জবাব নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ একটা সংযােজন হতে যাচ্ছে বলেই আমার বিশ্বাস। মানুষকে ঈমানের পথে ডাকতে যেসব মানুষ নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সবার জন্য অপরিসীম দুআ আর ভালােবাসা। জবাব বইতে যেসব লেখকদের লেখা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের জন্যও অফুরান ভালােবাসা। অনেক অনেক ভালােবাসা বইটির সংকলক মুশফিকুর রহমান মিনার ভাইয়ের জন্যও। আল্লাহ যেন কাজটাকে কবুল করেন, আমিন।
আমাদের সবুজ উপত্যকায় মাঝে মাঝে কুয়াশার মতো ঘন হয়ে নেমে আসে সর্বগ্রাসী এক অদ্ভুত অন্ধকার। সেই অন্ধকার ঝেঁকে বসে আমাদের নীলাভ আকাশে। হৃদয়-প্রকৃতিজুড়ে শুরু হয় এক মহা দুর্যোগ। মায়ের গর্ভ হতে বিশ্বাসের যে অঙ্কুর আমরা বুকে ধারণ করে বেড়ে উঠি, দুর্যোগের ঘনঘটায় সেই অঙ্কুর টালমাটাল হয়ে ওঠে। এরপর, মাঝে মাঝে কেউ আলো হাতে আবির্ভূত হয়। ডুবে যাওয়া নগরীতে এক টুকরো আলো এসে পড়ে। সেই আলোয় বিলীন হতে থাকে অন্ধকার। বিশ্বাসের যে আদিম চারাগাছকে তারা উপড়ে দিতে চেয়েছিল, সেই চারাগাছ ধীরে ধীরে বটবৃক্ষ হয়ে তাদের মাথার ওপর বিরাজমান হয়। সেই অন্ধকার কাটাতে এই তল্লাটে যে ক'টি চরিত্র বুক পেতে দাঁড়িয়েছে, আরজু তাদের একজন। তার যুক্তি, তর্ক আর তথ্যের বাহারে সে বের করে আনে ধ্রুব সত্যকে। এভাবেই আরজু ছুটে চলে তার গন্তব্যে। কোথায় গিয়ে থামবে সে?
ক্ষণিকের এ দুনিয়ায় সুখী হবার জন্য কতই না তোড়জোড় আমাদের! সুখের খোঁজে আমরা ঠিক যেন যন্ত্রের মতো ছুটে চলি সারাদিন সারাবেলা। বিলাসবহুল বাড়ি, দৃষ্টিনন্দন গাড়ি আর অফুরান অর্থকড়ি—সত্যিই কি আমাদের জীবনে সুখ এনে দিতে পারে? না, কখনোই নয়। দুনিয়া কখনো পরম সুখপ্রাপ্তির স্থান নয়। আসল সুখের ঠিকানা একমাত্র জান্নাত। কেবল সেখানে গেলেই ঘুচে যাবে সব অভাব-অনটন, দূর হবে সকল দুঃখ-কষ্ট আর না-পাওয়ার বেদনা। কী আছে সেই জান্নাতে? কেন জান্নাত এত বেশি আকাঙ্ক্ষিত? কীভাবে যাওয়া যাবে সেখানে? কারা যেতে পারবে? কারা পারবে না?—এসব নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন ‘ওপারেতে সর্বসুখ’ বইটি।