বইটি একটি খোলা জানালা। কেউ নির্বিঘ্নে, নিষ্কলুষ মন নিয়ে বইটি পড়তে বসলে মানব-ভ্রুণের অসাধারণত্বের আলাপ খুঁজে পেয়ে পুলকিত হবেন। ইতিহাসের নিশ্ছিদ্র পাঠ পেয়ে চমকে যাবেন। স্রষ্টার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। নির্বিঘ্নে কুরআনকে ভাষাতত্ত্ব, কিরাত, সিরাত, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, সমাজনীতি, ইতিহাসের পাতায় পাতায় রেখে, এমনকী আবেগের গভীরে নাড়া দিয়ে অনুসন্ধানী গবেষকের মনকে কিছুটা হলেও পরিতৃপ্ত করার চেষ্টা করেছে, আর জাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এই মহাপ্রভাবশালী কিতাব ও তার স্রষ্টার ব্যাপারে জ্ঞানতৃষ্ণা।
মায়ান, নস্ট্রাডামুস, জোসেফ স্মিথ, জ্যোতিষবিদ্যা, ট্যারো কার্ড, হস্তরেখা পঠন... বর্তমানের লাখো মানুষের বিশ্বাস, তাদের এবং এসবের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই ভবিষ্যতের চিত্র। আলহামদুলিল্লাহ, আপনার হাতে যে বইটি আছে, দ্য ফরবিডেন প্রফেসিস, একটি অন্যরকম বই। ইতিহাসের এ-পাতা থেকে ও-পাতায় নিয়ে যাবে আপনাকে বইটি; বিখ্যাত সব ভবিষ্যদ্বক্তাকে দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। বস্তুনিষ্ঠ শর্তের আলোকে পর্যালোচনা করবে তাদের দাবি। আপনারা নিজেরাই দেখতে পাবেন, এদের মাঝেও একজন অনন্য ব্যক্তি আছেন, যাঁর সঙ্গে আর কারও তুলনাই চলে না! ১৪০০ বছর আগে করা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী যেমন অতীতে সত্য প্রমাণিত হয়েছে, তেমনি বর্তমানও নেই তার প্রভাব মুক্ত। শুধু তাই না, কেয়ামত তথা মহাপ্রলয়ের আগে আরও কী কী হবে, সে সম্পর্কেও মানবজাতিকে জানিয়ে গেছেন তিনি। আসুন, প্রিয় পাঠক, দেখে নিই ভবিষ্যবচনের জন্য যদি কারও দ্বারস্থ হতেই হয়, তাহলে কার বচন থেকে সেই জ্ঞান অর্জন করা উচিত।