আমাদের জীবনটা বড্ড সমস্যা সংকুল। এই জীবন কখনো যদি আমাদের সামনে বিপদের ঢালি নিয়ে হাজির হয়, আমরা ভেঙে পড়ি। ভেতরে ভেতরে গুড়িয়ে যাই। আমরা বুঝতে চেষ্টা করিনা যে, বহতা নদীর স্রোতের মতো জীবনের গতিপথ সরল এবং সোজা নয়; বরং তা সৃষ্টিগতভাবেই দুর্গম, বন্ধুর এবং কণ্টকাকীর্ণ। মুমিন ব্যক্তি মাত্রই বিশ্বাস করে যে, যত সংকটই আসুক না কেন, তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। ফলে সে বিপদে পড়েও ক্ষোভ, হতাশা ও অস্থিরতা প্রকাশ করে না। বরং নিজের ভাষা ও আচরণ সংযত রাখে। কারণ, সে আল্লাহর প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাসী। সে বিশ্বাস করে যে, মুমিনের জন্য বিপদ-আপদ নিয়ামতস্বরূপ। কারণ, এর দ্বারা গুনাহ মাফ হয়। বিপদে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নিকট থেকে যথাযথ প্রতিদান পাওয়া যায়। তাই মুমিন বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি কান্নাকাটি করে। আল্লাহর কাছে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে। সৃষ্ট জীব থেকে বিমুখ হয়ে এক আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।
যখন হৃদয় হয় আর্ত, তৃষ্ণার্ত। যখন হৃদয় আকাশে নেমে আসে চৈত্রের দাবদাহ। যখন হৃদয়-জমিন মরুভূমির মতোন হাহাকার করে, তখন কুরআন যেন সেখানে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে নামে। উত্তপ্ত আকাশে একখণ্ড মেঘের মতো। কুরআন যেন হৃদয়ের জন্যই রচিত, অথবা হৃদয়ের জন্যই কুরআনের আগমন। হৃদয়ের সমস্ত আকুলতা-ব্যাকুলতা, সমস্ত আকাঙ্খার স্রোত যেন কুরআনের কাছে এসে থেমে যায়। কুরআনের শব্দেই হৃদয় ধ্বনিত হয়। কুরআনের ঝংকারে মধুর কল্লোল জেগে ওঠে হৃদয় সমুদ্রে। কুরআন যেন কোনো মোহিত গানের সুর যা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় পরম আবেশে। সেই আবেশে হৃদয়ের কথাগুলো খুঁজে পায় প্রাণ। এমন কথাগুচ্ছের সম্মিলনের নাম ‘কুরআনের সাথে হৃদয়ের কথা’।
শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম হাফিজাহুল্লাহ কর্তৃক লিখিত আয-যামান আল -কাদ্বিম ঠিক এমন একটি বই। অন্ধকারে ডুবে থাকা একদল মানুষের আলোর জগতে ফিরে আসার কাহিনীগুলোকে তিনি গল্পে রূপ দান করেছেন। সেই অন্ধকার গহ্বরে কীভাবে পৌঁছালো আলোর রশ্মি, কীভাবে পাথরের মতো পাষাণ হৃদয়ে হিদায়াতের ফল্গুধারা নেমে এলো, কোন জিনিসটি আলো হয়ে এসে ভরে দিয়ে গেছে মনের উঠোন—পরিবর্তনের পেছনে এমনসব নিয়ামকগুলো নিয়ে তিনি গল্প সাজিয়েছেন। এই গল্পগুলোতে কখনো তিনি পাঠকদের কাঁদিয়েছেন, কখনো ভাবিয়েছেন। মনের সামনে ঝুলতে থাকা অন্ধকার পর্দা সরাতে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন কিছু চরিত্রের। সেই চরিত্রগুলো প্রতিনিধিত্ব করেছে আমার, আপনার এবং আমাদের। আমাদের ভুলে থাকা মন, বিস্মৃত অন্তরকে জাগিয়ে তুলতে লেখক চেষ্টা করেছেন গল্পগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা আর কাহিনীর সন্নিবেশ করতে এবং লেখক তার কাজে যথেষ্টই সফল হয়েছেন, আলহামদু লিল্লাহ। লেখকের এই বই আরব বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় এবং বহুল পঠিত একটি গল্পগ্রন্থ।
‘মেঘ কেটে যায়’ বইয়ের কিছুকথাঃ মেঘগুলো কেমন যেন! দলবেঁধে এসে ছেঁয়ে ফেলে আকাশটাকে। মেঘের আড়ালে ফিকে হয়ে যায় আকশের নীল। মেঘেরা তৈরি করে এক বিদঘুটে পরিবেশ। নীল আকাশ ছেঁয়ে যায় এক গুমোট আবহাওয়ায়। থমথমে। নীরব। নিস্তব্ধ। হঠাৎ কোথা থেকে যেন এক টুকরো আলোক রশ্মি এসে মূহুর্তেই পাল্টে দেয় সব। কেটে যায় মেঘ। ফিকে হয়ে যাওয়া নীল ফিরে পায় তার রঙ। আলোতে আলোতে আবার ভরে উঠে আকাশ। আমাদের হৃদয়টাও নীল আকাশের মতোন। আর, সন্দেহগুলো হলো কালো মেঘের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবিগুলো যখন হৃদয়ের আকাশে এসে জমাট বাঁধতে শুরু করে, তখন হৃদয়ের পরিবেশ হয়ে ওঠে অশান্ত। তাতে ভর করে অবিশ্বাস। সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দোটানায় ভাসতে থাকা হৃদয়, আস্তে আস্তে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।এরপর? এরপর একদিন তাতে এক টুকরো আলো এসে পড়ে আর মূহুর্তেই কেটে যায় হৃদয়ের সকল অন্ধকার। সেই আলোতে পরিশুদ্ধ হয়ে আমাদের হৃদয় আবার বিশ্বাসের পথে চলতে শুরু করে। সকল সন্দেহ, অবিশ্বাস আর জড়তার বন্ধন ছিন্ন করে হৃদয়ের গহীন থেকে কেবল বিশ্বাসের সুর প্রতিধ্বনিত হয়।হৃদয়ের মেঘ কেটে যাওয়ার সেই উপাখ্যান দিয়েই সাজানো হয়েছে ‘মেঘ কেটে যায়’।
কালের ঘূর্ণাবর্তে সবকিছুর পালাবদল ঘটছে। পরিবর্তন আসছে জীবনের রূপ ও রঙে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন চিন্তা এসে গ্রাস করছে পুরােনাে চিন্তার জগৎ। এভাবেই চলছে গ্রহণ-বর্জনের নিরন্তর চক্র। কালের এই চক্রে সবকিছুতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও একমাত্র ইসলাম-ই চৌদ্দশত বছর ধরে চিন্তা-চেতনা ও জ্ঞান বিকাশের অবিকৃত ও পরিপূর্ণ ধারায় রয়েছে বিরাজমান। মানবজাতির জন্য নির্দেশিকা হিসেবে নাযিল হওয়া ইসলামের বার্তাসমূহের রয়েছে সমসাময়িক ও আগামী জীবনের উপযােগিতা। ইসলামের সুমহান সেই বার্তাগুলাে-ই বিশ্বাসী মানুষষের দ্বারে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে সমকালীন প্রকাশনের পথচলা।
‘মেঘ কেটে যায়’ বইয়ের কিছুকথাঃ মেঘগুলো কেমন যেন! দলবেঁধে এসে ছেঁয়ে ফেলে আকাশটাকে। মেঘের আড়ালে ফিকে হয়ে যায় আকশের নীল। মেঘেরা তৈরি করে এক বিদঘুটে পরিবেশ। নীল আকাশ ছেঁয়ে যায় এক গুমোট আবহাওয়ায়। থমথমে। নীরব। নিস্তব্ধ। হঠাৎ কোথা থেকে যেন এক টুকরো আলোক রশ্মি এসে মূহুর্তেই পাল্টে দেয় সব। কেটে যায় মেঘ। ফিকে হয়ে যাওয়া নীল ফিরে পায় তার রঙ। আলোতে আলোতে আবার ভরে উঠে আকাশ। আমাদের হৃদয়টাও নীল আকাশের মতোন। আর, সন্দেহগুলো হলো কালো মেঘের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবিগুলো যখন হৃদয়ের আকাশে এসে জমাট বাঁধতে শুরু করে, তখন হৃদয়ের পরিবেশ হয়ে ওঠে অশান্ত। তাতে ভর করে অবিশ্বাস। সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দোটানায় ভাসতে থাকা হৃদয়, আস্তে আস্তে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।এরপর? এরপর একদিন তাতে এক টুকরো আলো এসে পড়ে আর মূহুর্তেই কেটে যায় হৃদয়ের সকল অন্ধকার। সেই আলোতে পরিশুদ্ধ হয়ে আমাদের হৃদয় আবার বিশ্বাসের পথে চলতে শুরু করে। সকল সন্দেহ, অবিশ্বাস আর জড়তার বন্ধন ছিন্ন করে হৃদয়ের গহীন থেকে কেবল বিশ্বাসের সুর প্রতিধ্বনিত হয়।হৃদয়ের মেঘ কেটে যাওয়ার সেই উপাখ্যান দিয়েই সাজানো হয়েছে ‘মেঘ কেটে যায়’।