আমেরিকার খ্যাতিমান কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ। ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছিল; তখন তিনি গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেখানে বেশ কয়েকজন সাহিত্যিকের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। তাদেরই একজন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। একদিকে পাকস্তানি বাহিনীর বর্বর হত্যা নির্যাতন, অন্যদিকে বীর বাঙালির প্রবল প্রতিরোধ। তার মধ্যেই অসংখ্য মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। তারা আশ্রয় নেয় প্রতিবেশি ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহরে। অ্যালেন গিন্সবার্গ সিদ্ধান্ত নিলেন শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা নিজ চোখে দেখতে যাবেন। বন্ধু সুনীল ও আরও দু'জন সঙ্গীকে নিয়ে রওয়ানা হয়ে গেলেন তিনি। তখন সেপ্টেম্বর মাস। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে যশোর রোড পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে অনেক কষ্টে বনগাঁ পেরিয়ে যশোর সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছান তাঁরা। পরিস্থিতি দেখতে যান আশপাশের শরণার্থী ক্যাম্পে। গিন্সবার্গ কথা বলেন শরণার্থী হয়ে আসা অনেকের সঙ্গে। এরপর নিউইয়র্কে ফিরে গিয়ে নভেম্বর মাসে তিনি লেখেন তাঁর কালজয়ী কবিতা 'সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড'। অ্যালেন গিন্সবার্গের ঐতিহাসিক সেই কবিতার মূলভাবকে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে বইটি। আর বইটির নামও নেয়া হয়েছে গিন্সবার্গের কবিতার শিরোনাম থেকেই। ইতিহাসের একটি অধ্যায়কে একসঙ্গে তুলে ধরাই বইটির উদ্দেশ্য। আশা করছি পাঠকের ভালো লাগবে। হয়তো সংগ্রহে রাখতে চাইবেন অনেকে।
উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ। জানা, দেখা টেন ডাউনিং স্ট্রিটে কে বসেন। লন্ডনের রাস্তা ধরে চলতে চলতে সেই উত্তরের বাইরে দেখা হয়ে গেল অনেক কিছুই। হলিউড সাইন ঝোলানো পাহাড়টার যে আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য নেই, না দেখলে অনেকেই হয়তো বুঝতেই পারবেন না। তাহলে কিভাবে তৈরি হচ্ছে বিশ্ব কাঁপানো সব চলচ্চিত্র? সামনে আসবে এমন প্রশ্ন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের নির্বাচন, রাজনীতির খোলনলচে সামনে থেকে দেখার সুযোগ না পেলেও, বইটা পড়ে পাওয়া যাবে কিছু ধারণা। থাইল্যান্ডে প্রতারক; ভাবা যায়! এরপরও সুন্দর শ্যামদেশ। আবার থিম্পুর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে কষ্টের হাহাকার। মৎস্যকন্যার দেশে এক জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টকে কাছ থেকে দেখা, সাক্ষাৎকার নেয়ার অভিজ্ঞতার বয়ান মিলবে এতে। গ্রিক সভ্যতার ইতিহাস মোড়ানো। অ্যাক্রোপলিসের দেয়াল, আর ভ্যাটিকান সিটির ভেতরটা কেমন-অনুভূতিকে স্পর্শ করবে সেই ধারণা। পৃথিবী জোড়া আলোড়ন তুলে চির রহস্য নারী হয়ে থাকা মোনালিসা দর্শনের অভিজ্ঞতাও অসাধারণ। জানা যাবে, হিরোশিমার কষ্ট, দুঃখ পৃথিবী থেকে আজও বিলীন হয়ে যায়নি।