ডুবসাঁতার দিয়ে সারফেসের কাছাকাছি পৌছুতেই বরফে ঠুকে গেল রানার মাথা। বিস্মিত হয়ে উপরে তাকাল ও, পরক্ষণে আঁতকে উঠল আতঙ্কে ভয়াবহ তুষার ঝড় জমিয়ে দিয়েছে জলাশয়ের উপরিভাগ— অন্তত চার ইঞ্চি পুরু হয়ে জমেছে বরফের আস্তর! ভেসে ওঠার কোনও উপায় নেই। আর্কটিকের পানিতে ডুবে মরতে চলেছে ও। আর তখুনি অনেক নীচে কী যেন একটা নড়ে উঠল ভুরু কুঁচকে সেদিকে তাকাল রানা। সাদাটে তিনটে আকৃতি… একটা ডুবোগুহা থেকে তীরবেগে বেরিয়ে এসেছে। পানির মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে ধীরে ধীরে উঠে আসছে অপরদিকে কে লক্ষ্য করে। রাক্ষুসে তিন গ্রেন্ডেল! হাঁ করা মুখের ভিতর চকচক করছে ধারালো দাঁতের সারি! ভয় পেল না রানা, চমকেও উঠল না, অদ্ভুত এক নির্বিকার ভাব ভর করেছে ওর মধ্যে। শান্ত ভঙ্গিতে মেনে নিল ভাগ্যকে। তাহলে ডুবে মরা কপালে নেই আর!