“ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা” বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: নথিপত্র অনুযায়ী ১৬১৭ সালে মিসেস হাডসন এবং তার কাজের মেয়ে ফ্রান্সেস ওয়েব প্রথম ভারতে আসা দুই বিলাতি নারী । তবে আঠারাে শতকের শুরু থেকেই বিলাতি নারীরা বিভিন্ন কারণে ভারতে পারি জমান। ভারতে তারা কখনাে কারাে স্ত্রী, কখনাে প্রেমিকা, কখনাে হাসপাতালের সেবিকা হিসেবে, আবার কেউ মিশনারির কাজ, আবার কেউ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেছিলেন সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন কাজের সাথেও যুক্ত ছিলেন ভারতে অবস্থানরত এই বিলাতি নারীরা ছিলেন ঠিক আমাদের মতই রক্তমাংসের মানুষ। বিভিন্ন রকম ছল-চাতুরী, লােভ-হিংসা-বিদ্বেষ, কাম-প্রেম-ভালােবাসায় তাদের জীবন ছিল সিক্ত। এক চিলতে সুখের খোজে এই বিলাতি নারীরা যখন ভারতে পারি জমান তখন তাদের চোখ ভরা ছিল স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কারাে জীবনে সত্য হয়ে ধরা দিয়েছিল আবার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে গিয়ে কেউ কেউ জীবনসংগ্রাম থেকে ছিটকেও পরেছিলেন। তবে এ কথা বলা যায় যে, তাদের জীবন ছিল নানান মাত্রায় বৈচিত্রতায় ভরপুর। ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা গ্রন্থটিতে ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীদের জীবন চিত্রটি অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে।