বায়ান্নর ভাষা শহিদদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭ জনের নাম জানা গেছে। তাদের দুজন, রাজমিস্ত্রিপুত্র শিশু অহিউল্লা এবং রিকশা চালক আউয়াল। অন্য পাঁচজনকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে, গ্রামের নাম হয়েছে, সড়কের নাম হয়েছে, মিলেছে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। কিন্তু এ দুজন ইতিহাসের অতল অন্ধকারে প্রায় হারিয়েই যাচ্ছে। কাজী জহিরুল ইসলাম এই দুজনসহ সাত ভাষা সৈনিককে নিয়ে লিখেছেন সাতটি গল্প। এই সাতটি গল্পের মধ্য দিয়ে তাদের জীবন, পরিবার, তৎকালীন সমাজচিত্রসহ উঠে এসেছে পুরো ভাষা আন্দোলন। চরিত্রসমূহ এবং ঘটনাগুলো লেখক দিনক্ষণ ঠিক রেখে তুলে এনেছেন ইতিহাস থেকে, ঘটনার পারম্পর্য তৈরি করতে আশ্রয় নিয়েছেন কল্পনার। ইতিহাস ও কল্পনার এক নিপুণ যোগসূত্র তৈরি হয়েছে এই গল্পগুচ্ছে। ভাষা আন্দোলন বাঙালির চেতনার সূতিকাগার। যারা এই সূতিকাগারের স্রষ্টা তারাই আমাদের জাতিসত্তার উত্থানপর্বের নায়ক। এই সাত নায়কের গল্প তাই বাঙালির উত্থানপর্বের গল্প।