ছ’টা কাঠবিড়ালি… গ্রাফিতির মতো, বড়সড় এক রক্তলাল পে্টাকল… একটা হাইপোডার্মিক সিরিঞ্জ… ওল্টানো ক্রুশ… গুলি ভরা পিস্তল… মৃত এক তরুণীকে ঘিরে জনা কয়েক আলখেল্লাধারী… জানেন, কী অর্থ এসবের? জবাবটা জানা আছে বলেই রুখে দাঁড়াল তাহিতি অন্য ভুবনের প্রতিনিধি ওই আত্মা মাদকের বিরুদ্ধে, সঙ্গী হলো টনি ডায়েস আর পিটার পারকার। কিন্তু মিস গ্রেভ? একাকী ও মোকাবেলা করবে কী করে অপার্থিব আতঙ্কটার?
দু’ডজন প্রকাশিত অপ্রকাশিত অতিপ্রাকৃত কাহিনী নিয়ে আমাদের এবারের নৈবেদ্য-শব্যাত্রা। সুলেখিকা নাশমান শরীফ আবারও আপনার সামনে উন্মোচন করছেন রোমাঞ্চ, শিহরন, অলৌকিক আর ভয়াল জগতের দুয়ার। সাবধান, পাঠক, এ জগতে ঢোকা সহজ, কিন্তু বেরনো কঠিন। আপনাকে স্বাগতম। আপনি তৈরি তো?
পনেরো শতকের জেনোয়া। ক্ষমতা দখলের আন্তর্জাতিক রাজনীতি চলছে সেখানে। অস্থির রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের বলি হলো প্রসপেরোর বাবা অ্যাণ্টোনিওট্টো। এজন্য দায়ী অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডোরিয়া। পিতৃহত্যার প্রতিশোধের শপথ নিল পুত্র… এদিকে স্প্যানিশ সম্রাটের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর কমাণ্ডার দ্রাগুত রেইজ। ডোরিয়ার উপরে দায়িত্ব: যে-কোনও মূল্যে দমন করতে হবে দ্রাগুতকে। পাকেচক্রে প্রেমিকা জিয়ান্না সহ দ্রাগুতের হাতে বন্দি হলো প্রসপেরো। এ অবস্থায় পারবে কি সে শপথ রক্ষা করতে?
কালো পর্দার অন্তরালে কিশোর, রবিন আর মুসা স্কুলের ছুটিতে চলেছে সুদূর কেনিয়ায়। জানে না একের পর এক বিপদ অপেক্ষা করছে ওখানে ওদের জন্য। শুরুতেই ছিনতাইকারী সন্দেহে ধরা হলো ওদের, রওনা হওয়ার আগেই। তারপর? বিমান দুর্ঘটনা—কুমিরের আক্রমণ, খুনীর হামলা…পিছু হটল না তিন গোয়েন্দা। কীভাবে সমস্ত রহস্য ভেদ করবে ওরা? কীভাবে ঠেকাবে অন্যায় পশুহত্যা? ভয়াল শহর ছুটি কাটাতে বেরিয়েছিল ওরা। রুক্ষ উষর অঞ্চলে ঢুকে খারাপ হয়ে গেল গাড়ি। অবাক হয়ে গেল কিশোর ও মুসা। যার কাছেই যায়, এক কথা: বেরিয়ে যাও এখান থেকে! বোকার মত চ্যালেঞ্জ করে বসল ওরা মহাপরাক্রমশালী, খুনী, ভয়ঙ্কর শত্রুকে। সুমেরুর আতঙ্ক গোরস্থানের পাশে কুয়াশা ঘেরা প্রাচীন এক বাড়ি। সেখানে বাস করে বিচিত্র এক পরিবার। ঘটনাচক্রে, সায়েন্স প্রজেক্টের কাজে ও বাড়িতে যেতে হলো রবিনকে। ঘুণাক্ষরেও জানে না, ওকে ঘিরে বোনা হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্রের জাল!
বদলা ভাইয়ের খুনীকে খুঁজতে ম্যাড রিভার কান্ট্রি এসেছে বার্ট। এখানে বিবাদে জড়িয়ে পড়ল সে কেন্ট ব্রাইসনের সঙ্গে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ডেনিস মাইকেল, চাকরি দিল নিজের র্যাঞ্চে। কিন্তু ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে জানানো হলো ওকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেপথ্য থেকে কে চালছে দাবার খুঁটি? কী স্বার্থ তার? বিল হিকক বু হিল র্যাঞ্চে হচ্ছেটা কী? রহস্যময় সব লোক বাথানের ক্রু। কী চায় সে? কেউ জানে না। কেউ কখনও তাকে কাছ থেকে দেখেওনি। যার যার প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত সবাই। সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বু হিল বাথানের সীমানার কাছে, পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায় রহস্যময় আরেক চরিত্র-ব্লাক রাইডার। ক্রমে জমে উঠল নাটক। একে একে সবার মুখোশ উন্মোচিত হলো। ভাল-মন্দের বিচার করার এখন সময় নেই, বু হিল বাথান, আর সবকিছুর নিয়ামক হয়ে দাঁড়াল কিংবদন্তী একটা নাম-বিল হিকক। রক্ত পিশাচ সামান্থা রিভার্সের বিয়ের দিনই খুন হয়ে গেল বুড়ো সাধক জেড পারভিট। খুনী সন্দেহে বিনা বিচারে ওরা ফাঁসিতে ঝোলাল দুজন আগন্তুককে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হলো না সামান্থার । একদিন ভাই আর বোন জামাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হাজির হলো সুদর্শন ওয়েন রে। রেঞ্জওয়ার দানা বেঁধে উঠছে। বোঝা যাচ্ছে না কে খুনী। খুন হয়ে গেল সামান্থার বাবা। কে যেন ওয়েন রোকে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে। শক্ত লোক ওয়েন। জমে উঠল নাটক ।
কাজি মাহবুব হোসেন-এর আক্রোশ কাজী মায়মুর হোসেন-এর নিঠুর আলাস্কা +অদৃশ্য ঘাতক আক্রোশ/কাজি মাহবুব হোসেন: ‘অন্যান্য স্লোনরা আগেই টেনেসির পাহাড় ছেড়ে পশ্চিমে গিয়ে বসবাস করছে,’ বলল টিঙ্কার। ‘মনে হয় এবার তোার পালা আসছে।’ ‘হয়তো যেতেও পারি,’ জবাব দিল স্লোন। ‘পশ্চিমে যাওয়ার কথা আমিও ভেবেছি। এখানে পাহাড়ে সারাজীবন খেটে মরলেও উন্নতি করার কোন উপায় নেই।’ দেখা যাক, ভবিতব্য কী ঠিক করে রেখেছে ওর জন্যে। নিঠুর আলাস্কা/কাজী মায়মুর হোসেন: দুর্ধর্ষ গানম্যান কার্ল জন্সটন। সুন্দরী অভিনেত্রী জেন স্টোনের একটা কাজ নিয়ে গেল ও নিঠুর আলাস্কায়। বাধ্য হয়েই সঙ্গে জেন স্টোনকেও নিতে হলো। খুঁজে বের করতে হবে ডিউই লেন নামের এক লোককে। না পেলে প্রমাণ করতে হবে সে মারা গেছে। যার কাছেই ডিউই লেনের খোঁজ জানতে চাইল কার্ল, সে-ই মেরে ফেলতে চাইল ওকে। কে এই রহস্যময় ডিউই লেন? অদৃশ্য ঘাতক/ কাজী মায়মুর হোসেন: কাউণ্টিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর খুনী। কেউ চেনে না। সাতজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদের মধ্যেই আছে খুনী, কিন্তু কী করে চেনা যাবে? তদন্ত শুরু করল ডেপুটি শেরিফ। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে অস্থায়ী ডেপুটির চাকরি নিল অ্যাডাম বেঞ্চলি।