জাদুকরের ভেল্কি প্যালেস থিয়েটারে নামকরা জাদুকরের প্রতিযোগিতা , সেখানে ঘটছে নানান ধরনের অঘটন । কে ঘটাচ্ছে সেসব ? কেন ঘটাচ্ছে ? কীভাবে ঘটাচ্ছে ? প্রতিযোগিতা শেষে কে হবে আমেরিকার সেরা জাদুকর ?… ওদিকে আবার নস্টালজিয়া ল্যান্ড অপেরা হাউসে শুরু হলো জ্বলজ্বলে সবুজ ভূতের বিদ্ঘুটে উপদ্রব । তদন্ত করার এমন সুবর্ণ সুযোগ পেলে কি আর ছাড়ে তিন গোয়েন্দা ? মিশর-রহস্য ; মিশরীয় পিরামিডের অভ্যন্তরে বন্দি খুনী লোর্কার মুক্তির ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে । আঁতকে উঠলেন প্রফেসর জোসেফ মিলার । তার ভাইয়ের সঙ্গে ভয়ংকর মমিগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন ? রুখে দাড়াল কিশোর আর হিরু চাচা । হিম মৃত্যুর ফাঁদে ভারমেন্টে বন্ধু রনির বাসায় বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা আর ডন । রাতের বেলা বরফের উপর গরম কাপড় ছাড়া স্কেটিং করে কে ? কারা হাতছানি দিয়ে ডাকে ওদেরকে ? ডনকে কে টেনে নিয়ে যেতে চায় বনভূমির ভিতরে ? রহস্যর পর রহস্য । অনিবার্যভাবেই তাতে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা ।
আমিই মুসা হ্যালোইন। হররল্যাণ্ডে মুসাকে বাধ্য করা হলো অদ্ভুত এক খেলায় অংশ নিতে। ওকে প্রমান করতে হবে ও-ই যে আসল মুসা! নাইলে বাসায় ফিরতে পারবেনা। খেলতে নেমে মুসা হাড়ে-হাড়ে টের পেল, কাজটা কত কঠিন! হাত বাড়ালেই বন্ধু ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর,মুসা আর রবিন এবার ১৮৭০- এর দশকের প্রেইরিতে। ওখানে এক কামরার এক স্কুল দেখল ওরা, পরিচিত হলো অল্পবয়সী শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে। কিন্তু ওরা কি জানত কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে ওদের জন্য? হত্যাপুরী বাড়িটার নাম- “হত্যাপুরী”। বিলসভিলের ওই বাড়িটিতে আঙ্কেল-আণ্টির কাছে বেড়াতে গেছে রবিন। এক বৃদ্ধা মহিলা খুন হন ওখানে। খুনি ধরা পড়েনি। বিনোদন পার্কের টাকা ভর্তি ব্রিফকেসটা গেল কোথায়? কে চুরি করেছে ওটা? রাতের আঁধারে, পরিত্যাক্ত, ভয়ানক বিপজ্জনক পার্কটি ভেতর জমে উঠল রোমাঞ্চ-নাটক।
নিঝুম রাতের আতঙ্ক ডনকে নিয়ে পুরানো বিনোদন পার্কে গেল কিশোর । ওখানে দেখা দিল শ্বেতবসনা রহস্যময় এক কিশোরী। বহু বছর আগেই নাকি উধাও হয়ে গিয়েছিল সে। কে এই মেয়ে? ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব কাণ্ড-কারখানা। খলিফার দরবারে বিশ্বের আর জিনা জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে এবার ১২০০ বছর আগের বাগদাদে। শহরটার তখন স্বর্ণযুগ। ওদের কাছে গচ্ছিত আছে রহস্যময় এক বাক্স। কী আছে ওটার ভিতরে? জিনিসটা খলিফার এত প্রয়োজন কেন? অতল আতঙ্ক দুশো বছর আগে ডুবে গিয়েছিল জলদস্যুদের জাহাজ । ওটার খোঁজে সাবমেরিনে চড়ে সাগরে ডুব দিল কিশোর, ডন আর হিরু চাচা। দুর্ঘটনাক্রমে উদয় হলো জলদস্যুদের কঙ্কাল। পালিয়ে নির্জন এক দ্বীপে গিয়ে আটকা পড়ল ওরা। তারপর?
স্বর্গে বিপদ সাগরে ছোট্ট এক বাচ্চা সিলমাছ পেয়ে, ওটাকে চিড়িয়াখানায় দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক লোকের ষড়যন্ত্রের জটিল জালে জড়িয়ে গেল কিশোর, মুসা ও রবিন। ঠিক করল, ওই খুনে লোককেই তুলে আনবে ওদের শক্ত জালে। পারল কি শেষে? অপারেশন ডেমন ধনকুবের মি. রচেস্টারের মেয়ে টিনা কিশোরের বান্ধবী। ওকে কিডন্যাপ করল একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের দাবি মি. রচেস্টারকে তাঁর হেভি-ওয়াটার প্ল্যাণ্টের উদ্বোধন বন্ধ করতে হবে। রাজি হলেন না তিনি। টিনা-উদ্ধারে তদন্তে নামল পুলিস। হাত গুটিয়ে বসে থাকল না কিশোরও। ফলে, জড়িয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর বিপদে। রহস্য যখন জটিল দারুণ ফুর্তির পার্ক মুভি কিংডমে একের পর এক অন্তর্ঘাত হতেই তিন গোয়েন্দার সাহায্য চাইল বন্ধু রন। কিন্তু শুরুতেই ওদের পিছু নিল কারা? শোধ নেবে দুর্ধর্ষ দস্যু গ্যাব্বার কাম্বারসন? পার্কের গহীন জঙ্গলে ওটা কি সত্যিই পৌরাণিক দানব ম্যানটিকর, না আর কিছু? কীভাবে ঠেকাবে ওরা ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর স্যাবোটারকে? ক্রমেই জটিল হলো রহস্য! …তারপর?
ডাইনোসরের হাড় জাদুঘরে গেছে তিন গোয়েন্দা। কিশোর আবিষ্কার করল প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর সিলোফিসিসের তিনটে হাড় খোয়া গেছে। কর্তৃপক্ষকে জানাল ওরা। তারা বিশ্বাস করল না। অগত্যা তদন্তে নামতে বাধ্য হলো তিন গোয়েন্দা। কার্নিভাল মার্লিনের নির্দেশে জাদুর ট্রী-হাউসে চেপে প্রাচীন ভেনিসে গেল কিশোর আর জিনা। এবারের মিশন; লেগুনের গ্র্যান্ড লেডিকে রক্ষা করা। কিন্তু এজন্য দরকার সাগরের শাসকের সাহায্য। ঘটনাচক্রে, কারাগারে বন্দি হলো কিশোর আর জিনা। অন্যকে উদ্ধার করবে কি, আগে নিজেরা বাঁচুক তো! জলদানব রাশেদ পাশার সঙ্গে পাহাড়ী এলাকায় বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা। জানতে পারল ওখানকার হ্দে জলদানবী বাস করে। সন্দেহ হলো ওদের। কেউ কি লুসিল লজ-এর অতিথিদের তাড়াতে চাইছে? ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দিতে চাইছে শ্যারনের ব্যবসা? এক পর্যায়ে বেলাভূমিতে ওরা আবিষ্কার করল বিশাল এক সারি পদচিহ্ন। ওগুলো কি জলদানবীর পায়ের ছাপ? নতুন রহস্যে জড়িয়ে গেল তিন গোয়েন্দা।