হারানো সুর: শহরে অর্কেস্ট্রা এসেছে। তারা সঙ্গে করে এনেছে মহান সঙ্গীতজ্ঞ মোযার্টের নিজ হাতে লেখা এক দুষ্প্রাপ্য স্বরগ্রাম। চুরি গেল ওটা। স্বরগ্রাম উদ্ধারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল তিন গোয়েন্দা। জড়াল রহস্যজালে। দুঃস্বপ্নভূমি: ভয়ঙ্কর এক পার্ক–ঠিক যেন দুঃস্বপ্নভূমি। অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে আটকে পড়েছে ওখানে। ওদেরকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাও বন্দি হলো কিশোর, মুসা আর রবিন। এদিকে, একের পর এক উদয় হচ্ছে অশুভ সব চরিত্র। পালাবার পথ বন্ধ। দেখা যাক, তিন গোয়েন্দা এবার কী করে। হীরক-রহস্য: রাতের বেলায় মনুমেণ্টের ভেতরে রহস্যময় আলো। খুদে এক বানর। বহু বছর আগে চুরি যাওয়া হীরে। ভাঙা প্লাস্টার। এগুলোর মধ্যে যোগসূত্র কী? সূত্রগুলো জুড়তে পারলেই রহস্যভেদ হবে। কিশোরের আর কী চাই?
ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমেরিকার মিশিগানে জন্ম হলেও ড্যানিয়েল সিলভা বেড়ে উঠেছেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর মাস্টার্স সম্পন্ন করলেও ঢুকে পড়েন সাংবাদিকতায়, সেই সুবাদে দীর্ঘ দিন কেটেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। বেশ কয়েক বছর সিএনএন-এ কাজ করেছেন তিনি, সেই সময়ই তার প্রথম উপন্যাস দ্য আনলাইকলি স্পাই বের হলে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় ফলে সিএনএন ছেড়ে মনোনিবেশ করেন লেখালেখিতে। কিন্তু তার সৃষ্ট গ্যাব্রিয়েল আলোনকে নিয়ে জীবনের মোড় ঘুরে যায়। একে একে নয়টি বই লিখতে হয় গ্যাব্রিয়েল আলোনকে নিয়ে । দ্য কনফেসর তার অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস। সাম্প্রতিক কালের সবচাইতে নিখুঁত এবং দক্ষ আমেরিকান স্পাই নভেলিস্ট ড্যানিয়েল সিলভাকে জন লেকার এবং গ্রাহাম গ্রিনের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মোট ২৫ টি ভাষায় সিলভার উপন্যাস অনুবাদিত হয়েছে আর সব কটিই পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। বর্তমান তিনি স্ত্রী জেমি গ্যাঞ্জেলের সাথে ওয়াশিংটনে বাস করেছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন পরবর্তী গ্যাব্রিয়েল আলোন সিরিজের । গ্যাব্রিয়েল আলোন দ্বৈতজীবন যাপন করে। তার রয়েছে বিতর্কিত আর যন্ত্রণাদায়ক এক অতীত। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর হত্যারহস্য উদঘাটনে নামতেই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে সাপ। ভ্যাটিকানের বহু পুরনো আর গোপন এক সিক্রেট ফাঁস হয়ে যায়; শুরু হয় নতুন এক ষড়যন্ত্রের। মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে যান স্বয়ং মহামান্য পোপ। এক ভয়ঙ্কর খুনি পিছু নেয় তার। তারপর? আমেরিকার জনপ্রিয় স্পাই নভেলিস্ট ড্যানিয়েল সিলভার টান টান উত্তেজনার এই থৃলারটি পাঠককে ভিন্নধর্মী স্বাদ দেবে।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা বর্তমানে সময়ের আলোচিত ও বহুল বিক্রিত উপন্যাস দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন টাট্রু’র লেখক স্টিগ লারসন উত্তর সুইডেনের ফাস্টরবোথেন এলাকায় ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়াকালীন ইভা গ্যাব্রিয়েলসনের সাথে তার পরিচয় ঘটে, সেই সম্পর্ক টিকে ছিলো ২০০৪ সালে লারসনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মিলিটারি সার্ভিস শেষ করে যাযা্বরের মতো বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন, এরপর কর্মজীবনে ফিনান্সিয়াল ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক হিসেবে। এজন্যে কর্পোরেট জগতের অনেকের বিরাগভাজনও ছিলেন। বেশ কয়েক বার তার প্রাণনাশর হুমকি দেয়া হয়। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হলেও তার এই রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। মৃত্যুর পরই জানা যায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে ৩ টি থৃলার উপন্যাস লিখে গেছেন। মিলেনিয়াম সিরিজ হিসেবে পরিচিতি িএই তিনিটি উপন্যাসের প্রথমটি দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন টাট্রু-প্রকাশ হয় লেখকের মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর পর ২০০৮ সালে। সারা ইউরোপে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলে পরের বছর এ্রর ইংরেজি অনুবাদ যখন প্রকাশিত হয় তখন সেটা পরিণত হয় ইন্টারন্যাশনাল সেনসেশনে । এখন পর্যন্ত ৪০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হওয়া এই উপন্যাসটি এ সময়ে বিশ্ব সাহিত্যের আলোচিত একটি নাম। মোট ৪২ টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে লারসনের এই অসাধারণ থৃলারটি। সালান্ডার ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছে-জড়িয়ে পড়েছে হত্যার অভিযোগে। ঠিক এমন সময় এগিয়ে আসে তার পুরনো বন্ধু ব্লমকোভিস্ট। ঘটনার গভীরে যেতেই বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব কাহিনী আর বিপজ্জনক সব চরিত্র। সালান্ডারের জীবন হুমকির মুখে। শেষ পর্যন্ত যা ঘটে তা একেবারেই লোমহর্ষক। স্টিগ লারসনের মিলেনিয়াম সিরিজের এই দ্বিতীয় উপন্যাসটি আগের মতোই টান টান উত্তেজনার। সাম্প্রতিক সময়ের সেনসেশন এই উপন্যাসটি অবশ্যই পাঠ্য।
অজ্ঞাত এক সিরিয়াল কিলার একের পর এক তরুণীকে বীভৎসভাবে হত্যা ক’রে চলেছে। দিশেহারা এফবিআই সেই খুনির পরিচয় জানতে তাদের এক এজেন্টকে পাঠায় নয়টি নরহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মানুষখেকো ডক্টর হ্যানিবাল লেকটারের কাছে। দূর্বোধ্য আর ধূর্ত লেকটার তার অসাধারণ মেধার সাহায্যে সেই খুনিকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করবে নাকি চরিতার্থ করবে নিজের উদ্দেশ্য-সেই প্রশ্নের উত্তর পাঠক খুঁজে পাবেন কিছুদিন আগে নির্বাচিত হওয়া শতাব্দীর সেরা এই থৃলারে।
অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন। বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১ বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকালাম। ৩:০১। শুক্রবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তাপমাত্রা-ছাব্বিশ ডিগ্রি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কিন্তু কী যেন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে ঘড়িটায়। একটু বাঁকা হয়ে। আছে , আর টেবিলের একদম কিনারার কাছে চলে এসেছে ওটা। কয়েক সেকেন্ড লাগলো কারণটা বুঝতে। ঘড়ির ঠিক পেছনটাতে একটা ছোট্ট সাদা থাবা দেখতে পেলাম। আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। আর্চি। কমলা আর সাদার মিশেলে তুষারের বলের মত লাগে ওকে। এখন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর থাবাটা বাড়িয়ে দিল ঘড়ির দিকে। “ফেলবি না!” চিল্লিয়ে উঠলাম। তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বাসায় আগমন ঘটেছে আর্চির। তখন থেকে তিনটা ওয়াইন গ্লাস, দুটো ছবির ফ্রেম, ইনগ্রিডের পছন্দের কফি মগ আর একটা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্স ভেঙেছে ও কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর্চি, এরপর আবার থাবা বাড়িয়ে দিল সামনে। “খবরদার, আর্চি!” অনুবাদক পরিচিতিঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। খৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার । নিক পিরোগের থ্রি: এএম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। এপর থ্রি: টেন এএম, খ্রি: টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি: থার্টিফোর এএম, কিয়েগো হিগাশিনোর বহুল আলোচিত গৃলার-উপন্যাস দ্য ডিভোশন। অব সাসপেক্ট এক্স এবং দ্য বয় ইন দি 'স্ট্রাইপড পাজামাস তার অন্যতম জনপ্রিয় অনুবাদ কর্ম। নিখোঁজকাব্য তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার।