অদেখা ভুবনের সে তিন গোয়েন্দার বন্ধু মার্ক। তার মৃত যমজ ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি হঠাৎ করে ফুটে উঠল আয়নায়। তারপর থেকে ঘটতে শুরু করল নানা ধরনের অঘটন। বন্ধুর বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তিন গোয়েন্দা। প্যালেস থিয়েটার-রহস্য প্যালেস থিয়েটার প্রাচীন এক স্থাপনা। কনসার্ট শুনতে ওখানে হাজির ছিল তিন গোয়েন্দা আর জিনা। হঠাৎ করে শুরু হলো ভূতের উপদ্রব। ফলে তদন্তে নামতে বাধ্য হলো ছেলে-মেয়েরা। সময়ের চাবি-রহস্য সময়ের চাবির পাঁচটা টুকরো জোগাড় করতে পেরেছে কিশোর আর হিরু চাচা। এবার বেরিয়েছে ছ’নম্বর টুকরোটার খোঁজে। ওটা পেলেই পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে চাবিটা, নিরাপদ হবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। কিন্তু অশুভ শক্তিরও যে চাই ওটা। কাজেই চাচা-ভাতিজার সঙ্গে বেধে গেল দ্বন্দ্ব।
বুদ্ধির খেলা সাধারণ একটা কুকুর চুরির ঘটনা । কিন্তু সাধারণ থাকল না । কারণ, ওটা কোটিপতি হার্বার্ট রকফেলারের প্রিয় কুকুর । তার উপর তিন গোয়েন্দার কাছ থেকে রাফিয়ানকেও ছিনিয়ে নিয়ে গেল কুকুর-চোর । সূত্র ধরে ধরে এগিয়ে যাচ্ছে ওরা । এমনি সময়ে ওদেরকে হুমকি দিল কুকুর-চোরঃ হয় তদন্ত বন্ধ করো, নয়তো লাশ পাবে রাফিয়ানের । এখন ? কী করবে ওরা ? অরণ্যের প্রতিশোধ; সামনে হ্যালোউইন । কিশোরের নতুন কস্টিউম দেখে চমকে যাচ্ছে সবাই । কিন্তু কেউ বুঝতে চাইছে না এটা নকল নয়, আসল । ওদিকে ওর সারা শরীর ক্রমেই গাছ হয়ে যাচ্ছে । এখন ? ভুতুড়ে বিমান: অস্ট্রেলিয়া থেকে বদলি ছাত্র হিসেবে এসেছে মার্ক । কিশোরদের বাসায় উঠেছে । ও আসার পর থেকেই ঘটতে শুরু করল অদ্ভুত সব ঘটনা । কিশোরের উপর নেমে আসছে একের পর এক বিপদ । আসলে কে এই মার্ক ? ওর হাত থেকে কীভাবে নিস্তার পাবে কিশোর ?
গোরস্থানে সাবধান! রাতের ঝড়ে উপড়ে পড়েছে গোরস্থানের প্রাচীন হেডস্টোনগুলো। তারপর গোরস্থানে উদয় হলো অচেনা এক লোক। মুসাদের গ্রীনহাউসে রহস্যময় আলোটা কীসের? ভীতিকর দুপ দুপ শব্দটা আসে কোথা থেকে? এসব প্রশ্নের জবাব জানতে কোথায় গেল তিন গোয়েন্দা? নেকড়ের বনে উলেফলেকে চাচা-চাচির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বিচিত্র রহস্যের মুখোমুখি হলো রবিন। উলফদের বাড়িতে যাওয়া নিষেধ কেন? চাঁদনিরাতে বনের ভিতর কীসের গর্জন শোনা যায়? বুনো প্রাণীগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করে রেখে যায় কে? মানুষের দিকে হাত বাড়াবে না তো ওই জঘন্য খুনি? খাবারচোর কিশোরদের পাড়ায় হঠাৎ করেই খাবারচোরের উৎপাত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাড়ি থেকে চুরি যাচ্ছে খাবার। কে করছে কাজটা? কেনই বা? সন্দেহভাজনদের উপর গোয়েন্দাগিরি শুরু করল কিশোর।
লাটসাহেব আঙ্কেল ডিকের সঙ্গে ইউরোপে বেড়াতে গিয়ে ছোট এক রাজ্যের প্রাসাদ-ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল মুসা, রবিন ও জিনা পারকার। সঙ্গে ছোট এক লাটসাহেব। বন্দি রয়েছে ওরা দুর্ভেদ্য বোর্কেন দুর্গের টাওয়ারে। বন্ধুদের উদ্ধার করবে বলে সার্কাস পার্টিতে যোগ দিল কিশোর পাশা। তারপর? ঘটনার পর ঘটনা। পাজি বিড়াল ডেথ সিটির রাস্তা থেকে একটা কালো বিড়াল বাড়ি নিয়ে গেল রোডা। তারপর থেকেই ঘটতে শুরু করল রহস্যময় ঘটনা। দিনে দুপুরে হঠাৎ করে গাছ ভেঙে পড়ল, আগুন লাগল বাড়ির বারান্দায়। বিড়ালটাকে সন্দেহ করল তিন গোয়েন্দা। সমাধানের জন্য ডাইনির কাছে ছুটল কিশোর। ভৌতিক দুর্গ মেইলে নেলি আন্টির দুর্গে বেড়াতে গেল তিন গোয়েন্দা। গিয়েই জড়িয়ে পড়ল রহস্যে। রক্তহিম করা চিৎকারটা কোথা থেকে আসে? রাতের বেলা প্লেহাউসের বাইরে ভুতুড়ে আলোটা কীসের? কী ঘটছে এখানে?
পেইন্টিং-রহস্য এক বন্ধু হিরু চাচার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন দামি এক পেইন্টিং। কিন্তু হিরু চাচার বাসা থেকে চুরি গেল ওটা। ফলে, চাচার মান বাঁচাতে তদন্তে নামল কিশোর, মুসা আর রবিন। অভিশপ্ত ক্রুশ কিশোরের বন্ধু সিজারের সুপ্রাচীন পারিবারিক ক্রশটি অভিশপ্ত। অভিশাপ আছে-যে ওটা চুরি করবে এবং যে খোয়াবে দু’জনেই মারা পড়বে। ঘটনাচক্রে, ক্রুশটা বেহাত হয়ে গেল সিজারের। মৃত্যু আশঙ্কায় ভেঙে পড়ল সে। অসহায় বন্ধুর পাশে দাঁড়াল কিশোর। যেভাবে হোক উদ্ধার করবে ক্রুশটা। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছ পা নয়। স্বর্ণ সিন্দুক-রহস্য সিন্দুক ভর্তি সোনা লুকানো আছে কোথাও। একাংশ পুড়ে যাওয়া এক প্রাচীন চিঠিতে ছিল ওটার হাদিস।…চুরি গেল কিশোরের উপহার পাওয়া দামি আংটিটি। ওদিকে, নতুন বান্ধবী জেনির নানা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। সব রহস্য মিলেমিশে একাকার। জট ছাড়াতে মাঠে নামল তিন গোয়েন্দা ।
গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে ভীষণ ঠাণ্ডা। ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারল না। তিন গোয়েন্দা ও রোডা। ডেথ সিটির জঙ্গলে অদ্ভুত কিছু বরফের কফিন চোখে পড়ল ওদের। জ্যান্ত হয়ে উঠল হাজার বছরের পুরানো, ভয়ঙ্কর হিমপিশাচেরা। ওদের চোখের বিধ্বংসী নীল আলোয় এ-কোন সর্বনাশের ছায়া! আবারও কি সেই ডক্টর মুন? গোপন ডায়েরি/শামসুদ্দীন নওয়াব রান্নাঘরের ইঁটের নীচে লুকানো বাঘটি বছরের পুরানো গোপন ডায়েরি টেনে বের করল কিশোর। ডায়েরির মালিক ক্যামেলিয়া লিখেছে: ‘সাবধান! গোপনে যে আমার ডায়েরি পড়বে, চিরকালের জন্য চিলেকোঠার ভূত হয়ে যাবে সে। প্রিয় পাঠক, তুমি এ-বই পড়ছ, অতএব তুমিও…!!