নিখোঁজ যাত্রী জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্যিক উইলার্ড প্রাইস আসছেন শহরের লাইব্রেরি পরিদর্শনে। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিশোর, মুসা, রবিন। ট্রেইন এল, কিন্তু তাতে মি. প্রাইস নেই। অথচ তাঁর ব্রিফকেসটি পাওয়া গেল চার নম্বর বগিতে। তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধানের পেছনে কি প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ওয়েসলি হলের কোন হাত আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। প্রাগৈতিহাসিক বিনোদন পার্কের প্রাচীন, ভুতুড়ে কোস্টারটিতে শেষবারের মত চড়তে চেয়েছিল জিনা। ওটা যখন থামল, কিশোর দেখল জিনা উধাও। তন্নতন্ন করে ওকে খুঁজছে কিশোর। জানা নেই ওর কী ভয়ঙ্কর বিপদ ওত পেতে রয়েছে, এ-ও জানে না কার পাল্লায় পড়েছে ওরা। ভুতুড়ে সাঁকোর রহস্য ছুটি কাটাতে গাঁয়ের এক প্রাচীন বাড়িতে গেছে তিন গোয়েন্দা। ওখানে খোঁজ পেল অদ্ভুত এক ধাঁধার। ওটার সমাধান করা গেলে মিলতে পারে গুপ্তধন! এর ফলে উপকৃত হবেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বাগড়া দিচ্ছে লোকে। উঠেপড়ে লাগল কিশোর, মুসা আর রবিন। টের পেল কাজটা কত কঠিন।
ক্যামেরার চোখ ছুটিতে স্যান ফ্রান্সিসকোতে ফটো জার্নালিস্ট বন্ধু পিটারসনের কাছে বেড়াতে এসেছে তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কে জানত, আগে থেকেই মারাত্মক বিপদে পড়ে বসে আছে পিটারসন? নিজের অজান্তেই এমন এক ছবি তুলেছে সে, যা মৃত্যুফাদ হয়ে দেখা দিয়েছে তার জীবনে। বন্ধুকে বাঁচানোর অভিযানে নামতে বাধ্য হলো তিন গোয়েন্দা। ওরাও পা দিল মৃত্যুফাঁদে। ভ্যাম্পায়ারের ছায়া হরর ছায়াছবির বিখ্যাত অভিনেতা কার্ল ব্রিগল। তাঁর জমিদারবাড়িতে বেড়াতে গেল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব ঘটনা। জানালার পাশে ছায়ামূর্তিটা কার? হৃদকম্পনের দুপ-দুপ শব্দটা কোথেকে আসছে? অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেল রবিন। তিন গোয়েন্দা কি জানত কী ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে ওদের জন্য? ভুতুড়ে বাড়ি ভুতুড়ে এক বাড়িতে বেবিসিটারের কাজ নিয়ে এল কিশোর। উদ্দেশ্য, পকেট মানি সংগ্রহ করা। লিযি নামের ছোট্ট এক মেয়েকে দেখে রাখতে হবে ওর। কিন্তু ও আবিষ্কার করল, মেয়েটি শুধু যে অদ্ভুত তা-ই নয়, তার খেলনা পুতুলগুলো বড় বিচিত্র। কিশোর উপলব্ধি করল, নিজের অজান্তেই ভয়ানক বিপদে পড়ে গেছে ও। ধীরে ধীরে গুটিয়ে আনা হচ্ছে জাল!
ধাঁধা-রহস্য উইসকনসিনের পুরানো বাড়িটিতে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? প্রাচীন ধাধাগুলো কি কোন গুপ্তধনের ইঙ্গিত দিচ্ছে? রহস্যের গন্ধ পেল তিন গোয়েন্দা। টের পেল, ধাঁধা-রহস্যের সমাধান করতে বুদ্ধির ঝিলিক দেখাতে হবে ওদেরকে। জাদুশক্তি খেলার ছলে ভাগ্যগণনা করাতে গিয়ে তীব্র বৈদ্যুতিক শক খেল কিশোর। তারপর অবাক বিস্ময়ে আবিষ্কার করল, জাদুশক্তি ভর করেছে ওর ওপর। প্রথমটায়, খুশি হয়ে উঠল ও, তবে বিপদটা টের পেল পরে। অলৌকিক উপায়ে খেপা এক বিজ্ঞানী নিজের ল্যাবে নিয়ে গেলেন ওকে, শুরু করলেন নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তাঁর কবল থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে কিশোর? রহস্যনাট্য বহুবছর বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে সুপ্রাচীন ট্র্যাপ-ডোর থিয়েটারটি। ওখানে মঞ্চস্থ হচ্ছে রহস্য নাটক-লেডি অস্টেনের ধাঁধা। ওটা দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা। ধীরে-ধীরে আবিষ্কার করল কত বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে রহস্যনাট্যটির। ভেতরে।
ভয়াল দানোর কবলে জাদুকরের টাইপ-রাইটার আর কলম কিনল রবিন । ওগুলো কেনা উচিত হয়নি ওর । যেচে বিপদ ডেকে আনল ও । তিন গোয়েন্দা, দানবের হাত থেকে এবার আর রক্ষা নেই তোমাদের । কঙ্কাল উধা: নার্সের অফিস থেকে চুরি গেল স্কুলের কঙ্কালটা । মেঝেতে পাওয়া গেল রহস্যময় একটি মাত্র বাঁ পায়ের ছাপ । প্রিন্সিপাল ঘোষণা কঙ্কালটা উদ্ধার করতে পারলে পুরস্কার দেবেন । কঙ্কাল উদ্ধারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল পুরো স্কুল । তিন গোয়েন্দাও বসে থাকল না । শাপমোচ: তিন গোয়েন্দা এবার অস্ট্রেলিয়ায় । ওদের সঙ্গে ছোট্ট কুকুর টমি । টমির শাপমোচনে কি সাহায্য করতে পারবে তিন গোয়েন্দা? রংধনু সাপের অলৌকিক ক্ষমতা কি দাবানলের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে বনভূমির নিরীহ প্রানীদের? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে হলে অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ওদেরকে
শ্যারনের ডায়েরি আমি যে স্কুলে পড়ি, তার অডিটোরিয়ামের বেযমেন্টে থাকত এক ‘প্রেতাত্মা’ । মিথ্যা নয়, সত্যিকারের ‘প্রেতাত্মা’ । যদি শুনতে চাও কিশোর আর আমার কথা, তো এসো বসে পড়ো দেরি না করে । ড্রাকুলার কফিনঃ গ্রীনহিলস স্কুলের নতুন টিচার মিসেস হকিন্স উঠেছেন ভূতুড়ে এক বাড়িতে । ওটার বেযমেন্টে ঢোকানো হলো কালো এক কফিন । কী আছে ওটার ভেতর ? ড্রাকুলা নয়তো ? রহস্যের গন্ধ পেল তিন গোয়েন্দা । খেলার আসরঃ ম্যাজিক ট্রী হাউসে চেপে কিশোর আর জিনা এবার প্রাচীন গ্রীসে । কিন্তু ওখানে গিয়ে জানতে পারল মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না, অভিনয় করতে পারে না, অলিম্পিকের আসরে যেতে পারে না । কিন্তু আইন ভেঙ্গে ছদ্মবেশে অলিম্পিকে ঠিকই হাজির হলো জিনা । এবং ধরাও পড়ে গেল । তারপর ?
গ্রেমলিন বদলী সেক্রেটারি আসার পর থেকে একে-একে বিগড়ে যেতে লাগল গ্রীন হিলস স্কুলের যন্ত্রপাতি। মহিলা কি গ্রেমলিন? দুষ্টু প্রাণীটার সঙ্গে তার অদ্ভুত মিল। বিপদের গন্ধ পেল তিন গোয়েন্দা। ঘড়ি-রহস্য জ্যাক নানার সঙ্গে গোল্ডউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে তিন গোয়েন্দা। ভুতুড়ে ক্লক টাওয়ার। মাঝরাতে রহস্যময় আলো। অচেনা পদচিহ্ন গুপ্তধনের সঙ্কেত। তদন্তে জড়িয়ে পড়তে আর কী চাই ছেলেদের? মেঘ ড্রাগন মার্লিন বিষণ্ণতায় ভুগছে। তার জন্য কিশোর আর জিনার কাছে সাহায্য চাইল মরগ্যান। প্রাচীন জাপানে যেতে হবে ওদের। খুঁজে বের করতে হবে সুখের উপায়। সঙ্গে আছে এক গাইড বই আর এক জাদুদণ্ড-সেটা ব্যবহারের আবার তিনটে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। মিশন সম্পূর্ণ করতে এ দুটোই কি যথেষ্ট? দেখাই যাক না।