রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত লেখা ছিল এলিয়েনদের নিয়ে। কয়েকজন বিজ্ঞানী ১৯৫০ সালে দুপুরের খাবার খেতে বসে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তারা কোথায়? স্টিফেন হকিং স্পষ্ট মানা করে দিয়েছেন এলিয়েনদের সঙ্গে যেকোনো যোগাযোগের প্রচেষ্টাকে। কেন? আমাদের ছায়াপথে তারা আদৌ আছে কি? ড্রেক ইকুয়েশন কী বলে? আমরা কি একা? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই এই বইয়ের উদ্দেশ্য।
"স্রেফ ভালোবাসার অন্য রকম আর অন্য ধারার একটা উপন্যাস লিখতে চেয়েছেন সুমন্ত আসলাম। সম্ভবত তিনি তা লিখেছেনও। কিন্তু এরই মধ্যে অনেক কিছু অনেকভাবে এনে ফেলেছেন তিনি এই উপন্যাসে—কিছুটা ভয়ে, কিছুটা সাহসে। এর জন্য কেউ যদি কিছু মনে করেন, তাতে লেখক মোটেও দায়ী নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যদি এটা পড়ে আপনি নিজেও কিছু বোঝার চেষ্টা করেন, অন্য কিছু ভাবেন, এর জন্যও লেখক দায়ী হবেন না। তবে আপনাকে আশ্বস্ত করছি আমরা—এই উপন্যাসটি একবার পড়া শুরু করলে সম্মোহিত হবেন আপনি, থামতে পারবেন না কোনোভাবেই। তারপর আপনি নিজেই অবাক হবেন, সিদ্ধান্ত নেবেন—এটা কি স্রেফ একটা ভালোবাসার উপন্যাস, না অন্য কিছু? আর সবকিছুর জন্য দায়ী আসলে কে? প্রিয় বন্ধু, সুমন্ত আসলামের অন্যতম সেরা উপন্যাসে আপনাকে আমন্ত্রণ। "
নাম দেখে মনে হবে, এ বুঝি এক প্রেমের উপন্যাস। আসলে এটি এক অপ্রেমের বৃত্তান্ত। বাদামি-জীবন আমাদের। এক খোসার ভেতর দুটো আলাদা ঘরে দুটো বাদাম। আমাদের দাম্পত্যজীবনও ঠিক বাদামের মতন। এক ঘরে এক বিছানায় শুয়েও আলাদা জীবন আমাদের। কাকে যেন পাওয়ার ছিল, কে যেন অধরা থেকে গেল! তিশা সিরাজের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিল, পারেনি। লম্বা বেঢপ চেহারার নিখিল ভৌমিকের সঙ্গে রূপসী তিশাকে সংসার করতে হলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল জয়দীপ। দাম্পত্যজীবনটা সুখকর ছিল না। এই উপন্যাসের শরীরজুড়ে না পাওয়ার ক্ষতচিহ্ন। স্নিগ্ধমধুর এক স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকে ‘১৬/১৭ লাভ লেনে’।
বইটিতে গণিতের ১০০টি ধাঁধা আছে। এই ধাঁধাগুলো সমাধান করলে নতুন সমস্যা সমাধানের আনন্দ যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি বাড়বে সৃজনশীল দক্ষতা। পাঠক বুঝতে পারবেন গণিতচর্চার আনন্দ। গণিতের এ আনন্দযজ্ঞে সবাইকে স্বাগত! গণিত বিজ্ঞানের ভাষা। গণিতের মধ্যে ফুটে ওঠে মহাবিশ্বের সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্য বোঝার জন্য গণিতের ভেতরে ঢুকতে হবে, এর কার্যপদ্ধতি বুঝতে হবে। সেই সঙ্গে করতে হবে বুদ্ধির ব্যায়াম। শিক্ষার্থীদের গণিতের এই আনন্দের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে গণিতের খেলা গণিতের মজা। বইটিতে গণিতের ১০০টি ধাঁধা আছে। ধাঁধাগুলোর সমাধান করলে নতুন সমস্যা সমাধানের আনন্দ যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি বাড়বে সৃজনশীল দক্ষতা। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে গণিতচর্চার আনন্দ। গণিতের এ আনন্দযজ্ঞে সবাইকে স্বাগত!
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ইতিহাসের শোকাবহ রক্তরঞ্জিত দিন। দেশের পরবর্তী ইতিহাসের ওপর এর প্রভাব গভীর ও সুদূরপ্রসারী। সে সম্পর্কে বিশদ তথ্যাদি আজও পুরোপুরি উদ্ঘাটিত হয়নি। ১৫ আগস্টের ঘটনার পূর্বাভাস দেশি-বিদেশি কোনো সূত্রে পাওয়া গিয়েছিল কি না, বঙ্গবন্ধু নিজে সে সম্পর্কে কতটা অবহিত ছিলেন কিংবা তিনি বিষয়টিকে কীভাবে নিয়েছিলেন—সাংবাদিক, কূটনীতিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের রচনা ও সাক্ষাৎকার থেকে তা আজ ক্রমপ্রকাশমান। বইটিতে সংকলিত স্মৃতিকথা, দলিল ও গবেষণাধর্মী রচনার মাধ্যমে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও পূর্বাপর ঘটনাসম্পর্কিত তথ্য এবং সত্যের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটবে। আগস্ট ট্র্যাজেডি সম্পর্কে মতামত ও বিশ্লেষণধর্মী রচনা এ বইকে অমূল্য করেছে।
হঠাৎই কেমন ওলটপালট হয়ে যায় সদ্য বাবা হারানো অর্পার জীবন ও জগৎ। চড়াই-উতরাইয়ে ভরা টালমাটাল একটি সময় তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু জীবন সম্পর্কে তার ভিন্নধারার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায় না তাতে। শেফ বা রাঁধুনি—আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যে পেশাটিকে ভালোবেসে গ্রহণ করতে চায় না সচরাচর, সেটিকেই আঁকড়ে ধরতে চায় অর্পা—এমনকি মায়ের প্রবল অসম্মতি সত্ত্বেও। ঘটনাক্রমে জীবনের অমসৃণ যাত্রাপথেও এগিয়ে যাওয়ার একটি উপলক্ষ তার সামনে আসে। কী সেই উপলক্ষ? নতুন এই যাত্রায় সুদর্শন ও বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ আবিরের আকস্মিক আবির্ভাব ও তিরোধান কী ভূমিকা রাখে? সবকিছু ছাপিয়ে অর্পা কি পারবে তার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যেতে?