দেশের ভেতরে ও বিশ্বজুড়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটেছিল অসংখ্য ঘটনা। পক্ষে-বিপক্ষে ভূমিকা রেখেছিল অগণিত মানুষ। প্রতিটি তারিখ ধরে ধরে সেসব ঘটনা এ বইয়ে সংকলনবদ্ধ করা হয়েছে। বইটি মুক্তিযুদ্ধের প্রতিদিনের ঘটনা-অভিধান। গবেষক ও কৌতূহলী পাঠকের হাতের নাগালে রাখার বই।
সুদূর অতীত থেকে সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত হজযাত্রার অভিজ্ঞতা, যাত্রাপথের বর্ণনা এবং পবিত্র স্থানগুলো সম্পর্কে ঐতিহাসিক বিবরণ, বিভিন্ন যুগের হজযাত্রীদের স্মৃতিকথা এই বইতে তুলে ধরা হয়েছে। হাজার বছর ধরে মানুষ পায়ে হেঁটে ও উটের পিঠে চড়ে, পরে জাহাজ, রেল আর এখন বিমানযোগে হজব্রত পালন করে আসছে। একসময় পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে একরকম চিরবিদায় নিয়ে হজে যাওয়া হতো। জীবনের মায়া তুচ্ছ করে দীর্ঘ, দুর্গম ও বিপত্সংকুল পথ পাড়ি দিয়ে ছিল এই যাত্রা। পৃথিবীর একেক প্রান্ত থেকে একেক পথে এই যাত্রায় কত বিচিত্র অভিজ্ঞতাই না সঞ্চিত হয়েছে মানুষের, যুগে যুগে। প্রাচীনকাল থেকে সাম্প্র্রতিক সময় পর্যন্ত সেই যাত্রাপথের বিবরণ এবং পুণ্যপথের যাত্রীদের অভিজ্ঞতা এই বইতে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ইসলামের পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আরব দেশে যাতায়াতের স্মৃতি এবং সেখানকার পবিত্র স্থানগুলোর ইতিহাসভিত্তিক বর্ণনা নিয়ে লিখিত বইটি পাঠকের অন্তর্লোককে আলোকিত করবে।
একদিকে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার শাসন, অন্যদিকে একটি জনগোষ্ঠীর জেগে ওঠা। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন, ঊনসত্তরে গণ-অভ্যুত্থান এবং একাত্তরে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। শিকল ছিঁড়ে জন্ম নিল নতুন জাতিরাষ্ট্র, বাংলাদেশ। কিন্তু জন্মলগ্নেই দেশটি পড়ে গেল রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে। তারুণ্যের স্বপ্ন, আকাশছোঁয়া আকাঙ্ক্ষা এবং সনাতন ধ্যানধারণার সঙ্গে বিরোধ জন্ম দিল সংঘাতময় রাজনীতির। এটি ওই সময়ের একটি বয়ান। কৈশোর-তারুণ্যের সন্ধিক্ষণে লেখক ওই সময়টিকে দেখেছেন, উজানসেÊাতে ভাসিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর দেখা, শোনা ও জানা ঘটনা ও মানুষের কথা। কালো অক্ষরে এঁকেছেন জীবনের গল্প।
"শিক্ষা প্রসঙ্গে দেশ-বিদেশের মহামানব ও মনীষীদের নির্বাচিত উক্তি এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তার ব্যাখ্যাসংবলিত এ বই শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ এবং অন্য যাঁরা দেশ ও সমাজ নিয়ে চিন্তা করেন, তাঁদের সবারই সংগ্রহে রাখার মতো। শিক্ষা নিয়ে যুগে যুগে নানা চিন্তাভাবনা ও গবেষণা হয়েছে, তৈরি হয়েছে বহু তত্ত্ব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা বিষয়ে মানুষের ধারণা বদলেছে। পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনেকেই শিক্ষা প্রসঙ্গে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। শিক্ষার উদ্দেশ্য, ধরন এবং শিক্ষাদানের পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেছেন। আমাদের সবারই কমবেশি তা জানা দরকার। বিশেষ করে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ এবং অন্য যাঁরা দেশ ও সমাজ নিয়ে ভাবেন। কারণ, শিক্ষাই একটা জাতি বা জনসমাজের গন্তব্য নির্ধারণ করে। আমাদের দেশে শিক্ষা নিয়ে এযাবত্ অনেক পরিকল্পনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো সঠিক দিশা মনে হয় আমরা আজও খুঁজে পাইনি। এ রকম একটি বাস্তবতায় শিক্ষা নিয়ে ভাবনার খোরাক জোগাতে হাতের কাছে রাখার মতো একটি বই শিক্ষার শত শিখা। শিক্ষা প্রসঙ্গে দেশ-বিদেশের মহামানব ও মনীষীদের নির্বাচিত উক্তি এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তার বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ এ বই কেবল আমাদের করণীয় বা দায়িত্বের কথাই স্মরণ করিয়ে দেবে না, ভাবনার নতুন উৎস খুলে দিতে পারে। "
বাবা বহুভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ছেলে শিল্পী মুর্তজা বশীর। বাবা খ্যাতিমান। ছেলেও কম নন। কিন্তু দুজনের স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য একেবারেই বিপরীতমুখী। বাবা কমনীয়, পণ্ডিত ও ধার্মিক। ছেলে বিদ্রোহী, শিল্পী, কমিউনিস্ট। বাবা চেয়েছেন ছেলে বেড়ে উঠুক পরিশীলিত সামাজিক হয়ে। ছেলে চাইলেন বাবার প্রভাবের গণ্ডির বাইরে নিজের পরিচয়ে উঠে দাঁড়াতে। দুর্বিনীত সন্তান মুর্তজা বশীর শেষ বয়সে আবার প্রবলভাবে ফিরেও এলেন বাবা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কাছে। নিজেদের চিঠিপত্র, লেখা আর ড্রয়িংয়ে এ বই তুলে ধরেছে দুই বিখ্যাত পিতা-পুত্রের সম্পর্কের সজীব রসায়ন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যেমন, তেমনি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পরও বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস তৎপর হয়ে উঠেছিল? কী ঘটেছিল সে সময়টায়? এরশাদের পতনের সম্ভাবনা কি সিআইএ আগেই আঁচ করেছিল? অবমুক্ত হওয়া মার্কিন দলিল থেকে সেসব তথ্যই বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ বইয়ে। বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহীদের জন্য এক অবশ্যপাঠ্য বই।