থৃলার জগতের সর্বাধিক বিক্রিত ট্রিলজি ‘মিলেনিয়াম’ সিরিজের লেখক স্টিগ 'লারসনের জন্ম উত্তর সুইডেনের ফাস্টারবােথেন এলাকায় ১৯৫৪ সালে। পড়াশােনা সাংবাদিকতা বিষয়ে মিলিটারি সার্ভিস শেষ করে যাযাবরের মতাে বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন, এরপর কর্মজীবনের পুরােটা সময় কাটিয়েছেন একজন নফিনান্সিয়াল ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার হিসেবে। এজন্যে কর্পোরেট জগতে বিরাগভাজন ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার তার 'প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। অকালে প্রয়াত এই লেখকের মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকে হলেও রহস্যজনক কিছু কারণে তার মৃত্যুকে হতাকাণ্ড হিসেবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মৃত্যুর পরই জানা যায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনটি থৃলার উপন্যাস লিখে গেছেন লারসন। মিলেনিয়াম সিরিজ হিসেবে পরিচিত। এই তিনটি উপন্যাসের প্রথমটি দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন ট্যাটু প্রকাশ হয়। লেখকের মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে। ইউরােপে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলে পরের বছর যখন এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় তখন সেটা পরিণত হয় ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলারে। এখন পর্যন্ত তিনটি বইয়ের বিক্রি গিয়ে ঠেকেছে প্রায় এক বিলিয়ন কপিতে!
এই বইয়ের পাতায় পাতায় মিশে আছে রহস্যের শিহরন, তন্ত্রের মারণভয়, আতঙ্কের করাল ছায়া। এই বই আপনার শিরদাঁড়ায় বইয়ে দেবে ভয়ের হিমেল স্রোত, আপনার মাথার ভেতর যেন এক আতঙ্কের বোধ কাজ করবে। তবু এই বই রহস্যের নয়, তন্ত্রের নয়, ভয়ের নয়। সব ছাপিয়ে এই বই শেষ অবধি হয়ে ওঠে অনন্য মানবিকতার দীপ্ত শিখা, শেষ অবধি শুধুমাত্র ভালোবাসার কথাই বলে – কারণ এতদিনে তো আপনারা জেনেই গেছেন, ‘ভালোবাসাই সবচেয়ে বড়ো তন্ত্র সবচেয়ে বড়ো জাদু’
বিশ্বখ্যাত দুই মহাকাব্য—ইলিয়াড এবং ওডেসি। এই দুই মহাকাব্যের কতটুকু ইতিহাস-নির্ভর? আর কতটুকুর জন্ম হয়েছে মানব কল্পনার গহীন থেকে? যদি কল্পনাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন বরফের রাজ্যে আটকা পড়া আরব বজরায় পুরাণের দানোদের হাতে খুন হতে হবে একজন বিজ্ঞানীকে? যদি বাস্তব হয়, তাহলে কোথায় সেই সাইক্লপস? কোথায় সারবেরাস? মিনেটর? অন্য সব দানো? বজরা-রহস্য সমাধানে গ্রিনল্যান্ডে গিয়ে অপহৃত হলো ড. ইলেনা কারগিল। আরেকটা পরিচয় আছে ওর—সে সিনেটর কারগিলের মেয়ে। বান্ধবীকে উদ্ধার করতে সেখানে পা রাখল মারিয়া, সঙ্গে কোয়ালস্কি। ওদের সঙ্গে যোগ দিল গ্রে এবং শেইচানও। বনু মুসা নামের রহস্যময় এক সঙ্ঘ দেখা দিল দৃশ্যপটে। ওদের ধারণা-ওডিসিয়াসে বর্ণিত গল্পের অনেকটাই সত্যি। মহাপ্রলয়কে ত্বরান্বিত করার মানসে সেই দানবদেরকে হাতে পেতে চায় তারা। মুখোমুখি দুই আদর্শ নিয়ে খাড়া হলো সিগমা আর বনু মুসা। কিন্তু গ্রেরা জানে না, এই নাটকের রয়েছে আরো অনেক কুশীলব। টারটারাস কি সত্যি? নাকি হোমারের কল্পনা? সেই প্রশ্নের উত্তর লেখা আছে দ্য লাস্ট ওডিসির পাতায়।
গ্যালিলি, ১০২৫, প্রাচীন এক ক্যাথেড্রালে টেম্পলার নাইটদের একজন খুঁজে পেল হাজার বছর ধরে লুকিয়ে রাখা এক নিদর্শন। যেন তেন নয় তা—বাকাল ইশু, যিশু খ্রিষ্টের লাঠি। যার কাছে পাওয়া গেল, তিনিও যেন-তেন কেউ নন। তার দাবী শত শত বছর ধরে পৃথিবীর বুকে হাঁটছেন! সময়কে এক হাজার বছর সামনে নিয়ে আসি। হর্ন অভ আফ্রিকার উপকূলে সোমালি জলদস্যুরা হাইজ্যাক করল এক ইয়ট, সেই সাথে অপহরণ করল এক গর্ভবতী আমেরিকান মেয়েকে। কমান্ডার গ্রে পিয়ার্সকে মা হারাবার শোক ভুলে নামতে হলো কাজে। কেননা এই মেয়েটি কোনও সাধারণ মেয়ে নয়। সে যে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মেয়ে! সময়ের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা গ্রের দলের সাথে যোগ দিল আরও দুজন যোদ্ধা: প্রাক্তন আর্মি রেঞ্জার টাকার ওয়েইন আর তার সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, কেইন। খোদ আমেরিকার ক্যারোলাইনাতে বোমা বিস্ফোরিত হলো এক ফার্টিলিটি ক্লিনিকে। সর্ষের ভেতর থেকে উঁকি দিল ভূত। জানা গেল, আমাদের জেনেটিক কোড অদল-বদলের চেষ্টায় মত্ত এক গুপ্ত সঙ্ঘ। মনুষ্যত্বকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল সেই সঙ্ঘ: অমর হতে চাও? বাঁচতে চাও চিরদিন?
ব্যাখ্যার অতীত এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লন্ডন মিউজিয়াম। নড়ে-চড়ে বসল বিশ্বের বেশ কয়েকটি গোপন সংগঠন। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হলো লেডি কারা কেনসিংটন, সুন্দরী এবং বিদূষী ড. সাফিয়া আল-মায়াজ এবং নামকরা প্রত্নতাত্ত্বিক ওমাহা ডান। প্রবেশ করল এমন এক শহরে, যা কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু ওদের পিছু পিছু ধেয়ে এসেছে অন্যান্যরা। ওদের উদ্দেশ্য—সারা দুনিয়া জড়ে বয়ে আনবে বিশৃঙ্খলা। সেই সাথে আরব মরুভূমির বিপদ তো আছেই। সবার লক্ষ্যই এক—এমন এক ক্ষমতাকে খুঁজে বের করা যেটা দুনিয়াকে পরিণত করতে পারবে স্বর্গে অথবা ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে! কে জিতবে শেষ পর্যন্ত?
পপ আইডল হিসেবে তিন বছর কাটাবার পর, কিরিগোয়ে মিমা চায় নিজেকে বদলে ফেলতে। এতদিনের নির্মল, পবিত্র ইমেজ ঝেড়ে ফেলে, নতুন এক আকর্ষণীয় মিমায় পরিণত হবার সিদ্ধান্ত নিল মেয়েটা। কিন্তু নতুন এই মিমা যখন চোখ কপালে তোলার মতো কস্টিউম পরে উপস্থিত হলো মানুষের সামনে, তখন ওর সবচাইতে মোহগ্রস্ত ভক্তদের একজন তা কোনোমতেই মেনে নিতে পারল না। উত্তেজক এক ফটোবুক প্রকাশ করে আগুনে আরও ঘি ঢালল মিমা। আত্মপ্রকাশের দিনগুলোর সেই মিষ্টি মেয়ে মিমায় ওকে ফিরিয়ে নিতে, ভয়ংকর এক পরিকল্পনা সাজালো সেই লোক...যার শেষ ধাপ: মিমার জীবনের ইতি টানা। কিন্তু মধ্যবর্তী ধাপ? যেমন গা শিউরানো, তেমনি বীভৎস!