"‘খালি কলস বাজে বেশি’—তাই না? কিন্তু কেন বলুন তো? জোয়ার-ভাটার সঙ্গে চাঁদের সম্পর্ক কী? মাধ্যাকর্ষণ বল মোমবাতির শিখা টেনে নামায় না কেন? মঙ্গলে কি মানববসতি তৈরি করা সম্ভব? মহাবিশ্বের সব গ্রহ গোল কেন? নক্ষত্রগুলোকে তারকা আকৃতিতে দেখা যায় কেন? টিয়া পাখি এত মরিচ খায়, তাদের ঝাল লাগে না কেন? কফির সঙ্গে দুধ মেশালে অনেক সময় তেতো লাগে কেন? মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়? ভিডিও গেম কি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়? এসব কী ও কেন-এর উত্তর কী? পড়ুন বিজ্ঞানের এই ব্যতিক্রমী বইটি। আমাদের পরিচিত বন্ধুদের অনেকের ডান হাত বা ডান পা বেশি চলে কেন? আবার কারও বাঁ পাশের হাত-পা বেশি দক্ষ কেন? আসল ঘটনাটি ঘটে মস্তিষ্কে। শরীরের ডান পাশের হাত-পা-চোখ প্রভৃতি কাজ করে মূলত তার মস্তিষ্কের বাঁ অংশের সক্রিয়তার কারণে। আবার অনেকের বাঁ হাতও সমান দক্ষতাসম্পন্ন। তাঁদের মস্তিষ্কের ডান পাশ হাতের সক্রিয়তার ব্যাপারে বেশি সক্রিয়। ব্যাপারটা ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছা নয়, মস্তিষ্কের সক্রিয়তার ব্যাপার। এ রকম অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার আগ্রহ রয়েছে তরুণদের। যেমন কম্পাসের কাঁটা কেন উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে? পিরামিড তৈরির কৌশলটি কী ছিল? এগুলোর উত্তর হতে হবে বিজ্ঞানসম্মত। সচেতন থাকতে হবে, যেন আমরা কেউ ভুল উত্তরের চক্করে না পড়ি। তরুণ প্রজন্মের শত শত প্রশ্নের বিজ্ঞানসম্মত উত্তর জানার জন্য এ বই বিশেষ অবদান রাখবে। আজকের তরুণই হবে আগামী দিনের বিজ্ঞানী। ওরাই হবে আধুনিক বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উজ্জ্বল তারকা। "
মৌলভিবাজারের কমলগঞ্জ থেকে আসা মণিপুরি তরুণী অনিমা সিংহ। ঢাকা শহরে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এসে সাথি হিসেবে পায় আরেক উন্মূল তরুণী শীলাকে। এই আলোকিত জনমুখর চকচকে শহরে দুটি মেয়ের টিকে থাকার নিত্যদিনের সংগ্রামে নাটকীয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে অনেকেই। এদের মধ্যে আছে পড়তি নায়িকা মোহিনী চৌধুরী, থিয়েটারকর্মী চিশতী আর সেলিব্রিটি অভিনেতা আনিস জুবের। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পেছনে এক এঁদো গলি থেকে বেরিয়ে ক্রমে এক রঙিন দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটতে থাকে তাদের। কিন্তু সেই দুনিয়া কি সত্যি রঙিন? সেই একই কমলগঞ্জের আরেক মণিপুরি তরুণী তারাল্লেই শৈশব থেকে মনের মাঝে ঠাঁই দিয়েছে এলাকার বীরপুরুষ গিরীন্দ্রকে। বড় হয়ে স্বপ্নের মানুষটিকে যখন নিজের করে পেল, তখন সে-ও কি আসলে সুখী হতে পেরেছিল? গল্পকার ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনির লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত তানজিনা হোসেন তাঁর এই প্রথম উপন্যাসে এসব প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন। লেখকের মায়াবী গদ্যের সঙ্গে মণিপুরি সংস্কৃতির অনাস্বাদিত জগতেও পাঠক আপনাকে স্বাগত!
"বেকার, হতাশাগ্রস্ত তরুণ ফাহাদ আবির। চাকরির পেছনে ছুটতে ছুটতে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। প্রেমিকা নাবিলা তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে কিন্তু তাতে তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না। একপর্যায়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ফাহাদ। পরামর্শের জন্য একজন মনোচিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে। চলে যায় গ্রামে মায়ের কাছে। তাতে যদি তার মানসিক স্বাস্থে্যর উন্নতি হয়, এই আশায়। এরপর ঝড়ের বেগে তার জীবনে ঘটতে থাকে একের পর এক দুর্ঘটনা। এই জীবন তার আর ভালো লাগে না, পালাতে চায় সে। তখন তার জীবনে আবির্ভাব হয় মুনিয়ার। কে এই মুনিয়া? আর শেষ পর্যন্ত ফাহাদ কি পেরেছিল জীবন থেকে পালাতে? নাকি তার পথ পরিবর্তন করেছিল? জানতে হলে পড়তে হবে এই উপন্যাস। "
"একটি পরোক্ষ রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১৯৯৬ সালে সংবিধানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিনটি (১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে) জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনগুলো দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এরপর দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে একটি ‘একতরফা’ এবং ২০১৮ সালে আরেকটি ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নির্বাচন হয়। যার ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পুরো প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট ঘটনাক্রম নিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটি ও উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়েও। এ বইয়ে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে যে রাজনৈতিক বিতর্ক বা সংকট চলছে, সেই সংকটের কারণ অনুসন্ধানের জন্য বইটি সচেতন নাগরিকদের অবশ্যপাঠ্য। "
আকবর আলি খানের বিপুল বিচিত্র রচনা ও চিন্তাজগতের সামগ্রিক খতিয়ান এক মলাটে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীর লেখায়। আকবর আলি খান বাংলাদেশের মানুষ, ইতিহাস আর সমাজ বিষয়ে নিবিড়তম অনুসন্ধানকারীদের অন্যতম। স্বাধীনতাসংগ্রাম থেকে শুরু করে সদ্যস্বাধীন দেশের প্রশাসনব্যবস্থা ও উন্নয়নকৌশলের ভিত্তি রচনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। কেন বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা একটা বৃত্তের মধ্যেই ক্রমাগত ঘুরপাক খায়, দেশের উন্নয়নকৌশলগুলো কেন সাফল্যের সম্ভাবনা দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়—এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন তিনি এই ভূখণ্ডের মানুষের মানস গঠন ও ইতিহাসের ধারা বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে। তাঁর আগ্রহের ব্যাপ্তি প্রসারিত ছিল জীবনানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ও বিষয়ের অনুসন্ধান ও মূল্যায়নে। সারা জীবনের এই অনুসন্ধান লিপিবদ্ধ করেছেন একাধিক শ্রমসাধ্য গবেষণাকর্মে, সুলিখিত জনপ্রিয় বই আর প্রবন্ধে। এই বইয়ের লেখক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া ছিলেন আকবর আলি খানের সহকর্মী ও ঘনিষ্ঠজন। তাঁর অন্তরঙ্গ উপস্থাপনায় পাঠক আকবর আলি খানের জীবনব্যাপী সাধনার একটা পরিচয় পাবেন বলে আমরা আশা করি।
"রালফ, জ্যাক ও পিটারকিন আবিষ্কার করে এক লোকের কঙ্কাল। পাশে পড়ে আছে একটি কুড়াল। এই অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়ে যায় তারা। এই প্রবাল দ্বীপে তাদেরও কি লোকটার মতো অবস্থা হবে? রালফের বংশের প্রায় সবাই নাবিক। রালফও জাহাজে যেতে চায়। শেষ পর্যন্ত রাজি হয় বাবা-মা। জাহাজে পরিচয় হয় জ্যাক ও পিটারকিনের সঙ্গে। দুজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। প্রবাল দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে তাদের জাহাজ প্রচণ্ড ঝড়ের সম্মুখীন হয়। তছনছ হয়ে যায় নিমেষেই। ক্যাপ্টেন ও অন্যান্য লোকজনের কোনো চিহ্ন পায় না রালফরা। তিনজন আশ্রয় নেয় প্রবাল দ্বীপে। শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। তারা কি প্রবাল দ্বীপে টিকে থাকতে পারবে? নাকি মারা পড়বে না খেয়ে বা মানুষখেকোদের কবলে পড়ে? জানতে হলে পড়তে হবে বিখ্যাত এই উপন্যাস। "