জেন্ডার বন্দি স্যার অ্যান্টনি হোপ হকিন্স ১৮৯৪ সালে লেখেন ‘দ্য প্রিজনার অভ জেন্ডার। প্রকাশের সাথে সাথে বইটি এত জনপ্রিয় হয় যে তিনি আইন ব্যবসা ছেড়ে লেখাকেই পেশা হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন রুরিতানিয়া নামে কল্পিত এক দেশে রুডলফ র্যাসেনডিল নামের এক যুবকের রোমান্টিক অভিযানের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে এ বইটিতে। ব্ল্যাক হার্ট অ্যান্ড হোয়াইট হার্ট নিজের অর্জনক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, এমন কোনকিছুর জন্যে বাসনা হলে তা থেকে ফিলিপ হ্যাডেন নিজেকে কখনও বঞ্চিত করেনি। শ্বেতাঙ্গ হ্যাডেন কেন দেশান্তরী হয়ে আফ্রিকার নাটালে এসেছিল তা কেউ জানে না। আইনের হাত এড়ানোর জন্যে একদিন সে সেখান থেকে বণিকের বেশে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ল জুলুল্যান্ডে। রাজা সেটি ওয়েইয়ো-র কাছে তাঁর দেশে শিকারের অনুমতি চাইতে গিয়ে কঠিনএকসমস্যার ফাঁদে পা দিয়ে বসল। পালাতে হবে তাকে, যে-করেই হোক। এক টুকরো স্বর্গ পৃথিবীর অন্যতম এক নির্জন স্থানে বাসা বেঁধেছে এক মানব আর এক মানবী। সোনালি সীল খুঁজে চলেছে তারা মরিয়ার মত। পেল কি? এদিকে ওদের এক টুকরো স্বর্গে হানা দিয়েছে বিষধর সাপ। তারপর?
আ টেল অভ টু সিটিজ প্যারিস ও লণ্ডন-দুই নগরীর কাহিনি নিয়ে এই বিশ্ববিখ্যাত বই। অভিজাত শ্রেণীর অনাচার ও অত্যাচারে বীতশ্রদ্ধ তাদেরই একজন, চার্লস এভরেমঁদে, ফ্রান্স থেকে চলে এসেছে ইংল্যান্ডে। এরপরেই ঘটল ফরাসী বিপ্লবের। অভিজাতদের ধরে ধরে চড়ানো হচ্ছে গিলোটিনে। এমনি সময়ে চিঠি এল, সে না ফিরলে ফাঁসী হয়ে যাবে চার্লসের এক নিরপরাধ কর্মচারীর। কাউকে কিছু না বলে ফ্রান্সে ফিরে এল এভরেমঁদে। কিন্তু প্যারিস পৌছবার আগেই ধরা পড়ে গেল বিপ্লবীদের হাতে। এবার? টম জোনস পালক পুত্র টম জোনসকে ভারি ভালবাসেন মি, অলওয়ার্দি। টমও তাঁকে সাঙ্ঘাতিক শ্রদ্ধা করে। কিন্তু মুশকিল হলো, একটা না একটা ঝামেলা সব সময় বাধিয়েই রাখে টম। তার দুরন্তপনায় লোকে অতিষ্ঠ। ভাগ্নে ব্লিফিলের প্ররোচনায় মি. অলওয়ার্দি একদিন বাড়ি থেকে বের করে দিলেন টমকে। অকূল পাথারে পড়ল টম। কারণ, ইতোমধ্যে সে প্রতিবেশীর কন্যা সোফিয়া ওয়েস্টার্নকে ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু ওর মত এক কপর্দকহীন যুবকের কাছে কিছুতেই মেয়ের বিয়ে দেবেন না সোফিয়ার বাবা। তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে চান মি, অলওয়ার্দির ভাগ্নে ব্লিফিলের সঙ্গে। কিন্তু এ বিয়েতে সোফিয়ার বিন্দুমাত্র মত নেই। কী করে ঠেকাবে সে ব্লিফিলকে? কিংকং বিখ্যাত চিত্রপরিচালক ডেনহ্যাম তাঁর দর্শকদের ভিন্নধর্মী অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা উপহার দেয়ার জন্য চলে এলেন ‘খুলি দ্বীপ’ নামে সুমাত্রার এক প্রাগৈতিহাসিক দ্বীপে। ওই দ্বীপে বাস করে এক মহাদানব-কিংকং। একে নিয়েই ছবি বানানোর পরিকল্পনা করেছেন ডেনহ্যাম। কিন্তু মূর্তিমান আতঙ্কটির হাতে বন্দি হলো ছবির নায়িকা অ্যানডোরা। জীবনবাজি রেখে অ্যানডোরাকে শুধু উদ্ধারই নয়, কিংকংকে কৌশলে নিউ ইয়র্কে ধরে নিয়ে এলেন দুঃসাহসী ডেনহ্যাম। তারপর? সে এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনি।
দুহাজার বছর ধরে অপেক্ষা করছে সে, তার ক্যালিক্রেটিস আসবে। যে দয়িতকে নিজহাতে হত্যা করেছিল, পুনর্জন্ম নিয়ে আসবে সে তার প্রেম গ্রহণ করতে। এল ক্যালিক্রেটিস তাকে অনন্ত যৌবন দেয়ার জন্যে রহস্যময় আগুনের কাছে নিয়ে গেল… তারপর? মৃত্যুর আগ-মুহূর্তে বলে গেছে আয়শা, আবার সে আসবে।অন্তত একবারের জন্যে হলেও সে সুন্দর হবে। কিন্তু কী করে? জানে না লিও ভিনসি, জানে না হোরেস হলি। অবশেষে সত্যিই একদিন দৈব-সংকেত পেল ওরা, আয়শা ডাকছে। দুর্গম পর্বতমালা, দুস্তর মরুভূমি পেরিয়ে রওনা হলো লিও ও হলি। আয়শার খোঁজ কি ওরা পাবে?
সুইস ফ্যামিলি রবিনসন জোহান ওয়েস/নিয়াজ মোরশেদ প্রবল ঝড়ে ডুবো পাহাড়ের ধাক্কায় দু’টুকরো হয়ে গেল জাহাজ। নৌকা নামিয়ে চলে গেল নাবিকেরা। ওদের অজান্তেই জাহাজে রয়ে গেল ছোট চারটি বাচ্চাসহ এক পরিবার। ঝড় গামার পর ছোট্ট এক নির্জন দ্বীপে উঠল ছ’টি প্রাণী। শুরু হলো বেঁচে থাকার সংগ্রাম ব্রিক হাউজ চার্লস ডিকেন্স/কাজী শাহনূর হোসেন জার্নডিস অ্যান্ড জার্নডিস কেস বহু বছর ধরে ঝুলে রয়েছে আদালতে। এই মামলার অন্যতম দাবিদার যুবক রিচার্ড কারস্টোন। অ্যাডা নামে সুন্দরী এক মেয়েকে ভালবাসে সে। কিন্তু আদালতের চক্করে পড়ে ত্রাহি অবস্থা বেচারার। ওদিকে, অ্যাডার প্রিয় বান্ধবী, মিষ্টি মেয়ে এসথার যাকে মনে মনে ভালবেসেছে, তাকে কি কোনদিন আপনার করে পাবে সে? স্বপ্ন যখন ভেঙে খানখান তখন কে এসে পাশে দাঁড়াল ওর? আওয়ার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড চার্লস ডিকেন্স/কাজী শাহনূর হোসেন বুড়ো জন হারমন একমাত্র ছেলের জন্যে প্রচুর টাকা রেখে মারা গেলেন। কিন্তু উইলে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি। ছেলেকে তাঁর পছন্দ মত মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। নইলে সমস্ত সম্পত্তি তার বেহাত হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ অচেনা এক মেয়েকে বিয়ে করতে মন সরল না তার। অভিনব এক পরিকল্পনা আঁটল সে। কিন্তু তার পরিকল্পনায় যে রহস্যের এত প্যাচ পড়লে তা কি জানত ও?
দুঃসাহসী টম সয়্যার মার্ক টোয়েন/রকিব হাসান নীরব, নিঝুম রাত। আকাশে তারার ঝিকিমিকি। সামনে বিছিয়ে আছে নদীর কালো পানি। কান খাড়া করে শুনল টম। কোনও সাড়া নেই কোথাও। ‘কে যায়?’ “টম সয়্যার, স্প্যানিশ মেইনের কালো প্রতিহিংসা। তোমরা? লাল পাঞ্জা হাক ফিন আর সাগরের আতঙ্ক জো হারপার। সংকেত? ‘রক্ত।‘ বাউন্টিতে বিদ্রোহ চার্লস নর্ডহফ ও জেমস নরম্যান হল/নিয়াজ মোরশেদ নভেম্বর আটাশ, সতেরোশো অষ্টাশি। হিজ ম্যাজেস্টিজ শিপ বাউন্টি রওনা হলো দক্ষিণ সাগরীয় দ্বীপ তাহিতির পথে। কয়েক দিনের মধ্যেই অসন্তোষের বীজ রোপিত হলো নাবিকদের মনে। কয়েকজন নাবিকের সহায়তায় বিদ্রোহ করে জাহাজ দখল করে নিল মেট ফ্লেচার ক্রিশ্চিয়ান। ক্যাপ্টেন উইলিয়াম ব্লাইকে আঠারোজন সঙ্গীসহ ছোট একটা নৌকায় ভাসিয়ে দেয়া হলো খোলা সাগরে… সত্য ঘটনা অবলম্বনে অবিস্মরণীয় এক উপন্যাস। ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক আলেকজান্দার দ্যুমা/নিয়াজ মোরশেদ শুয়ে আছেন রাজা লুই। হঠাৎ দুলে উঠল বিছানা। না, স্বপ্ন নয়, সত্যিই নড়ে উঠেছে বিছানাটা। ধীর গতিতে নিচে নেমে যাচ্ছে পালঙ্ক। মৃদু একটা ঝাঁকুনির সাথে থেমে গেল পালঙ্ক। রাজা দেখলেন, খাটের তিনদিকে দাঁড়িয়ে আছে ভয়ঙ্কর তিন মুখোশধারী। ‘…ফ্রান্সের রাজাকে নিয়ে কী করতে চাও তোমরা? জানতে চাইলেন রাজা। জবাব এল, তুমি আর রাজা নও।
সী উলফ জ্যাক লণ্ডন/নিয়াজ মোরশেদ ফেরিডুবির পর বরফের মত ঠাণ্ডা পানিতে ভাসতে লাগল লেখক-সমালোচক নিরীহ হামফ্রে। তিমি শিকারী জাহাজ গোস্টে আশ্রয় পাবার পর কেবিন-বয় হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হলো সে। তারপর সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা! কালো তীর রবার্ট লুই স্টিভেনসন/নিয়াজ মোরশেদ নাবালক ডিক শেলটনের পিতাকে হত্যা করে অভিভাবক হয়ে বসল পাদ্রী অলিভার। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠল দুঃসাহসী তরুণ ডিক। প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস জেন অস্টেন/কাজী শাহনূর হোসেন মিসেস বেনেটের পাঁচ মেয়ে। ভাল ঘর ভাল বর দেখে মেয়েদের বিয়ে দেয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। মিসেস বেনেটের মনের আশা কি পুরল শেষ পর্যন্ত? সূক্ষ্ম রসিকতা, অহংবোধ, ভুল ধারণা এবং প্রেম এই জগদ্বিখ্যাত উপন্যাসটির উপজীব্য।