পাইন রিজ নামের ছোট্ট ছিমছাম গ্রামে সত্যিই কি ভ্যাম্পায়ার হানা দিয়েছে? বিশ্বাস করে না অয়ন-জিমি। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। নিজ চোখে দেখল ওরা, গভীর রাতে গাঁয়ের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে অতিকায় এক বাদুড়। ঘুম থেকে জেগে উঠছে মানুষ রক্তশূন্য শরীর নিয়ে। তাদের গলায় পাওয়া যাচ্ছে সূক্ষ্ম দুটো কামড়ের দাগ। এখন কী করবে ওরা? গোয়েন্দা দিয়ে কি আর ভ্যাম্পায়ার তাড়ানো যায়? দেখাই যাক।
পুরনো মালের দোকান থেকে প্রাচীন এক ড্রাগনের মূর্তি কেনাটাই যেন কাল হলো আপটন ওয়েলসফোর্ডের জন্য। অশরীরী এক ডাক ভেসে আসছে ওটার মাঝ থেকে- ওকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে সুদূর ট্রানসিলভ্যানিয়ায়… বোর্গো গিরিপথের পাশে এক দুর্গম দুর্গ হাজার চেষ্টা করেও এড়ানো গেল না সে-আহ্বান, রূপসী এক তরুণীকে বাঁচাবার জন্য ওকে বেরোতেই হলো রূদ্ধশ্বাস অভিযানে। কিন্তু কী দেখবে আপটন ওখানে গিয়ে? ড্রাকুলার প্রতিহিংসা থেকে কীভাবেই বা বাঁচাবে মেয়েটিকে? পিটার ট্রিমেনের কলম থেকে আরেকটি ড্রাকুলা-কাহিনী ভয়াল আতঙ্কের এক নতুন অধ্যায়।
এরিক মারিয়া রেমার্ক-এর কোথায় স্বর্গ রূপান্তর: ইসমাইল আরমান গল্পটা গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের। যে-বয়সে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনায় ভেসে যাবার কথা, সে-বয়সেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে দেশ থেকে বিতাড়িত হলো লুদভিগ কার্ন। পরিণত হলো নাগরিকত্বহীন এক ভাসমান রিফিউজিতে, ইয়োরোপের কোনও দেশে যাদের ঠাঁই নেই। শুরু হলো ওর পলায়নপর ভাসমান জীবন। একে একে বন্ধু জুটল, শত্রু জুটল, আর এল প্রেম। নিজ চোখে মানুষের শঠতা আর নিষ্ঠুরতা দেখল ও, একই সঙ্গে দেখল নিঃস্বার্থ ত্যাগ আর সহযোগিতার দৃষ্টান্তও। ধীরে ধীরে বুঝল কার্ন, জীবন কখনও থেমে থাকে না, চরম প্রতিকূলতার মাঝেও টিকে থাকে মানুষ যুদ্ধ করে। মাটির পৃথিবীতেই তারা গড়ে নেয় স্বর্গ।
হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর নাডা দ্য লিলি রূপান্তর: ইসমাইল আরমান পাঠক, চলুন আপনাদের নিয়ে যাই অন্ধকার মহাদেশ আফ্রিকার অভ্যন্তরে, পরিচয় করিয়ে দিই বৃদ্ধ এক জুলু ওঝার সঙ্গে। তার নাম যুয়িটি। অদ্ভুত এক গল্প শোনাবে সে আমাদের। পদ্মকুমারী নাডা আর কাঠঠোকরা আস্লোপোগাসের গল্প। জলু জাতির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে আর দুর্ধর্ষ এক যোদ্ধার অসামান্য প্রেম-কাহিনী। কিন্তু এ-প্রেমের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে নৃশংসতা; রয়েছে রক্তের উৎসব আর মৃত্যুর মিছিল। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে আপনার বুকে, প্রেম আর প্রতিহিংসায় হবেন উদ্বেলিত। হাসি, কান্না, আনন্দ, উত্তেজনা… কী নেই সেই কাহিনীতে? তা হলে আর দেরি কেন, চলুন বসে পড়ি যুয়িটিকে ঘিরে। শুনি সেই অত্যাশ্চার্য কাহিনী।
আটলাণ্টিক মহাসাগরের গহীন তলদেশে, যেখানে কোনও মানুষের পা পড়েনি, সেখানেই যাবার পরিকল্পনা করেছেন পাগলাটে বিজ্ঞানী ড. ম্যারাকট। কাঁচ আর ইস্পাত দিয়ে তৈরি এক অদ্ভুতদর্শন খাঁচায় চেপে, দু’জন সঙ্গীকে নিয়ে সত্যি সত্যি নামলেন সাগরে। এরপরেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। অচেনা এক দানবের হামলায় ছিঁড়ে গেল দড়ি, অতল এক খাদের ভেতর পড়ে গেল খাঁচাটা। কিন্তু মরলেন না তাঁরা। কারণ, নিচে রয়েছে অদ্ভুত এক পাতালরাজ্য। জলচর মানুষ আছে ওখানে, আছে রূপসী রাজকন্যা, …আর ভয়ঙ্কর এক অশুভ শক্তি। রাজ্যটার নাম? আটলাণ্টিস!