"দুর্জয়-13" বইয়ের কথাঃ ভাল জিতবে, মন্দ হারবেই - এটা রুপকথা। যোগ্যের কাছে অযোগ্যে পরাজিত - এইটাই বাস্তব। ভাল আর মন্দের লড়াইয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত আসে সে। শুধুমাত্র যোগ্যেতার বলে তছনছ করে সবাইকে। মাফিয়ার হাতে নির্যাতনের ফসল, এক সময়কার কিকবক্সিং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়া কিশোর কবির মনসুর আজকের আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রেতাত্মা দুর্জয়। তার অস্তিত্বকে গুজব ভাবে সবাই। কিন্তু পুলিশ আর মাফিয়া উভয়েই জানে, অজানা কোনো তৃতীয় পক্ষ আছে, যে ক্রমশ এক এক করে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের স্তম্ভগুলো। সমাজে ত্রাস সৃষ্টিকারী মাফিয়া ডনদের গুম করে ফুটপাথের পঙ্গু ভিখারী বানাতে পারে সে। ইস্পাতের দেহ, নরপশুর আত্মা। প্রচন্ড গোঁয়ার, ঘাড়তেড়া। চাহনিতে শুকিয়ে যায় কালকেউটের রক্ত। জায়গামত পিশাচ, জায়গামত দরবেশ। সম্পূর্ণ আলাদা। তার জীবনদর্শন। মাফিয়ার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে একা।
দুর্জয়ের চতুর্দশ সংখ্যা, বান্তং মাজলান আর দুর্জয় এখন একই শহরে, ওদিকে বিল্পব আচমকাই সমূর্ন অপ্রত্যাশিত এক পরিস্থিতে নিজেই আটকা পড়ে গেছে। নীহারিকা তার সংসারী রুপের মধ্য থেকে আবার নতুন করে পেশাদারি সাহায্য করতে চাইছে দুর্জয়কে। পুলিশ অফিসার এমদাদ আটকে আছেন জীবনের এক জটিল টানাপোড়েনে, নিজের শিশুকন্যা আর বনাম গোটা দেশ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তাঁর। দুর্জয় কি পারবে সেই জটিল পরিস্থিতি থেকে তাকে বাঁচাতে? সে কি পারবে শেষমেশ বিপ্লবের মুখোমুখি হতে?
বিপ্লব এখন নিজেই ক্রাইম লর্ড, জেঁকে বসেছে সে সব সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে। তাকে শায়েস্তা করতে ধীরে ধীরে জাল পাতছে কবির মনসুর ওরফে দুর্জয়। তারই অংশ হিসেবে একদল বড়লকের বখে যাওয়া ছেলেদের পিছু করে সে ঢুকলো একটা শপইং মলের ফুড কোর্টে। সব ঠিকঠাক মতই এগোচ্ছিলো হঠাৎ আশ্চর্য একোটা ঘটনা দুর্জয়ের এতদিনের সব ধারনা ওলটপালট করে দিল। এই প্রথম বসে বসে দেখা ছাড়া খুব বেশি কিছু করতে পারলো না সিরিজের নায়ক। কেন? জানতে হলে চলে আসুন বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম ক্রাইম ফিকশন কমিক্স দুর্জয়ের ইউনিভার্সে।
দুর্জয় সিরিজের ১৬ নম্বর বই। ড্রাগ লর্ড বিপ্লব এবার পুরোদমে অপারেশনে নেমেছে, ওদিকে দুর্জয় তার গোপন সেলে তুলে এনেছে কিছু ক্ষমতাশালীদের ছেলেদের। এর মাঝে অপসরীর কুংফু ডেমন্সট্রেশন ক্লাসে আচমকা ঢুকে পড়েছে ওরা কারা? আর দর্শক সারিতে কে বসেছিলো? নাহ্ পুরোটা বলে দেবার চাইতে নিজের চোখে দেখে নেয়াই ভালো।
অনেক বছর পর আবার সোহেল ভাইয়ের কাছে এসেছে দুর্জয়। কিন্তু এরকম একটা সময়ে হয়ত দেখা না হলেই ভাল ছিল। একদল ভাড়াটে ষণ্ডা হঠাত চলে এল অপ্সরীদের কুংফু ক্লাসে। এবং এসেই শুরু করে দিল মার। এবং বোঝা গেল এরা হাইলি ট্রেইন্ড পার্সোনাল আর্মি। কিন্তু দুর্জয় কী করছে? এই এত হট্টগোলের মধ্যে সে কি পুরোটা সময় শুধু ঘুমোবে? দেখা যাক।