এরা সব যায় কোথায়? কাল্পনিক কিছু নয়-আটলান্টিকের একটা বিশেষ এলাকায় পৌঁছলেই আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে নাবিকেরা, সেই কলম্বাসের সময় থেকে, আজও। হারিয়ে যায়। গোটা জাহাজ, সাবমেরিন বা বিমানের কোন চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায় না আর। ইদানীং পাশ্চাত্য বিশ্বে এ নিয়ে মহা হৈ-চৈ হচ্ছে। সবাই জানতে চায়, কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই ত্রিভুজে। ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড, নাকি গ্রহান্তরের বা সাগর গর্ভের কোন বুদ্ধিমান জীবের কারসাজি, নাকি অন্য কোন ডাইমেনশন, নাকি টাইম ডিসটরশন, নাকি অন্য কিছু?
১৮৬৫ সালের ২৪ মার্চ | প্রশান্ত মহাসাগরের এক নির্জন দ্বীপে বিধ্বস্ত হলো ঝড়ের কবলে পড়া এক আমেরিকান বেলুন। কেউ নেই দ্বীপে। শুধু পাঁচজন অভিযাত্রী, সাথে একটি কুকুর। না আছে খাবার, না অস্ত্র, না বাড়তি জামা-কাপড়-কিছু না। শুরু হলো ক্যাপ্টেন সাইরাস হার্ডিং-এর নেতৃত্বে ওদের টিকে থাকার সংগ্রাম। অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে ওদের জীবনযাত্রা। সবাই টের পাচ্ছে, বিপদে-আপদে কে যেন অলক্ষে সাহায্য করে যাচ্ছে ওদের। একের পর এক ঘটে চলেছে রহস্যজনক কাণ্ড-কারখানা। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ওরা ছাড়াও নিশ্চয়ই আরও কেউ রয়েছে। এই দ্বীপে। কিন্তু সামনে আসে না কিছুতেই। কে সে? কোনও অপদেবতা, নাকি মহামানব?
খনিতে বিপদ কে যেন তছনছ করেছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু রেমনের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কিছুই খোয়া গেল না কেন? তদন্ত করতে নামল কিশোর-মুসা-রবিন। রেমনের বোনকে কি কিডন্যাপ করা হয়েছে? কোথায় তিনি? মুক্তিপণ হিসাবে একটা নোটবুক চাওয়া হলো। কী আছে তাতে? হাতে কোন সূত্র নেই। আসলে ঘটছে কী? পাতালের সরু সুড়ঙ্গে নামল ওরা। ধেয়ে এলো পাগলা ট্রেইন! এখনই চাপা দেবে ওদের! গুহ-রহস্য গুহার মুখে পাহারা থাকা সত্ত্বেও রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে যায় জিনিসপত্র। ভূত, না মানুষ? কিশোরের দৃঢ় বিশ্বাস, মানুষ। শুরু হলো তদন্ত। ধীরে-ধীরে জট খুলল জটিল এক রহস্যের। কিশোরের নোটবুক পোষা পশু-পাখিদের নিয়ে প্রতিযোগিতা। বিজয়ী মনিব ও পোষ্য টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। বাঘাকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ দিল কিশোর। কিন্তু একী! বাঘা খেলা দেখাচ্ছে না কেন? এর পিছনে কি কারও কারসাজি আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা।
আঁধারে কে রাতের বেলা ছেলে-মেয়েদের বিছানার নীচে ধুপ-ধুপ শব্দ। দেয়ালে নখ আঁচড়ানির আওয়াজ। এসবের সঙ্গে কি নতুন স্যর মি. বগির কোন সম্পর্ক আছে? তিনি কি আসলে বগিম্যান? জবাবটা জানতে চাইল তিন গোয়েন্দা। জলাভূমির আতঙ্ক মারাত্মক জলাভূমিতে ডুবিয়ে দেয়া হলো তিন গোয়েন্দা প্যাডাল-বোট। হামলা চালাল ভয়ঙ্কর এক কানা অ্যালিগেটর। খুন করতে চায় ওদের কেউ। খুনীকে খুঁজে বের করতে তৎপর হলো গোয়েন্দারা। ভুতুড়ে দুর্গ সিনেমা দেখতে যাচ্ছিল তিন গোয়েন্দা আর জিনা। পথে গাড়ি গেল নষ্ট হয়ে। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে প্রাচীন এক দুর্গে আশ্রয় নিল ওরা। শুরু হলো ভূতের উপদ্রব। তারপর?
লুকানো সোনা পর্তুগালের লিসবনে বেড়াতে চলেছে তিন গোয়েন্দা। খবরটা জেনেই ফ্রাউ তারানা ইসলাম ওদের অনুরোধ করলেন তাঁর বাবার লুকানো সোনাগুলো উদ্ধার করে দিতে। তিন গোয়েন্দা কথা দিল, সাধ্যমত চেষ্টা করবে ওরা। কিন্তু লিসবনে অপেক্ষা করে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব বিপদ, এমন বিপদ, যা ওরা কল্পনাও করতে পারেনি। পিশাচের ঘাঁটি রাগ ঝিলিক দিয়ে উঠল আধ পাগল লোকটার চোখে। বলল, ‘সাহস আছে তোমার, ছোকরা। এই বেয়াদবির জন্য লোহা পুড়িয়ে গরুর মত নম্বর দেয়া হবে তোমার কপালে।‘ছুটতে শুরু করল মুসা। কোনভাবে গেটের কাছে পৌঁছাতে পারলেই মুক্তি। পিছনে শোনা গেল গুলির শব্দ। তুষারমানব গ্রীন হিলসে শুরু হল প্রবল তুষারপাত। আনন্দে চেঁচাতে লাগল মুসা। রনিও যোগ দিল তার সঙ্গে। একটাই আফসোস, কিশোর নেই। বাদ সাধল দুষ্ট রিকি। তবে সময়মত এসে হাজির হলো কিশোর। শুরু হলো লড়াই-রিকি বনাম তিন গোয়েন্দা।