“অপরিপক্ব কবি অনুকরণ করেন, পরিপক্ব কবি চুরি করেন। বাজে কবি যা নেয় তা নষ্ট করে, ভালো কবি যা নেন তা আরো ভালো করে তোলেন, অন্তত আলাদা কিছু তৈরি করেন। ভালো কবি অতুলনীয় অনুভূতিতে তার ‘চুরি’ সাজান, ‘চুরি’ করা জিনিস থেকে যা একদমই অন্যরকম।”
জীবন বদলে দেওয়া এক অমূল্য বই হ্যাল এলরডের দ্য মিরাকল মর্নিং। প্রকৃতপক্ষে এটা শুধু একটি বই নয়; এটা জীবনযাপনের এক নতুন পদ্ধতি- একটি অভ্যাস গঠন প্রক্রিয়া যা জীবনকে গড়ে দেয় নতুন আঙ্গিকে। বইটি যেন একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংগঠন। জীবনে এই বইটির সংস্পর্শে আসা মানে যে-কোনাে মাত্রায় জীবনকে বদলে ফেলা, জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারা।
একজন মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। পৃথিবীর সব মানুষই কমবেশি স্বপ্ন দেখে। ঘুমের ঘোরে হঠাৎ ঘোড়া হাঁকিয়ে ছুটে যাওয়া, অথৈ সাগরে ডুবতে ডুবতে হারিয়ে যাওয়া, কুঁড়ে ঘরে শুয়ে রাজ-প্রাসাদে ঘুরে বেড়ানো, দূর নীলিমায় পাখির ন্যায় আকাশ ছোঁয়া-এমন হাজারো স্বপ্ন আমাদের নিত্যসঙ্গী। আমি একদিন স্বপ্ন দেখলাম, আগ্রার তাজমহল ঘুরে ঘুরে দেখছি। আরেক দিন দেখলাম বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করছি। এরই মাঝে হঠাৎ যেন কারও স্পর্শে ঘুম ভেঙে গেল। জেগে উঠে দেখি, শিয়রে মা দাঁড়িয়ে আছেন। এমনটা আমার প্রায়শই হয়। এসব স্বপ্ন ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্ন। কিন্তু আমি তোমাদের যে স্বপ্নের কথা বলছি, তা জেগে দেখার স্বপ্ন এবং স্বপ্ন জেগেই দেখতে হয়। এপিজে আব্দুল কালাম এর ভাষায়- ‘ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্ন আসলে স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন সেটা, যা মানুষকে ঘুমোতে দেয় না। কে কে বড়াে হতে চাও......১১ বড়াে হতে চাই প্রবল ইচ্ছাশক্তি......১৪ বিজয়ী হওয়ার কৌশল......২২ আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন......২৯ যেভাবে পড়লে মনে থাকবে......৪১ উদ্যমী হতে চেষ্টা করাে......৫১ কেমন করে কথা বলবে......৫৮ সাহস রাখাে, সাফল্য তােমার আসবেই......৬৩ চেষ্টা ও পরিশ্রমই উন্নতির চাবিকাঠি......৭০ সবাই স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করাে......৮০ কীভাবে বুদ্ধিদীপ্ত হবে......৮৩ তরুণ-তরুণীদের জন্য তিনটি উপদেশ......৯২ বড়াে হতে চাই জ্ঞানের শক্তি......১০১ বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করাে......১১২
‘দ্য থিওরি অব এভরিথিং (মহাবিশ্বের জন্ম এবং শেষ পরিণতি)’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ মানবজাতির বুদ্ধিবৃত্তিক দুটি মহান আবিস্কার আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ব এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স। প্রথমটির কাজ মহাকর্ষ, স্থানকাল তথা মহাবিশ্বের বৃহৎ পরিসর নিয়ে। দ্বিতীয়টি কাজ করে অতিক্ষুদ্র পরমাণুর গহন রাজ্য। নিজ নিজ ক্ষেত্রে পরীক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবহারিক দিকে দুটি তত্বেই সফল। তবে দুটি তত্ব একই সাথে সফল হতে পারে না, অন্তত তাদের বর্তমান রূপে। কিন্তু এ দটিকে একত্রিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ তত্ব পেতে পদার্থবিদদের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। স্ট্রিং থিওরিকে একসময় এমনই এক পূর্ণাঙ্গ তত্ব বলে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এ তত্ব থেকে পাওয়া কোনো ভবিষ্যদ্বাণী এখনো বাস্তব পরিক্ষায় প্রমান করা যায়নি। ভবিষ্যতেও সে সম্ভাবণা ক্ষীণ বলেই বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। তাই এখন নতুন এক তত্বের খোঁজে মাঠে নেমেছেন তারা, যা দিয়ে বিপুল পরিসরের মহাবিশ্ব ও ক্ষুদ্র পরিসরের পরমাণু রাজ্যকে একসুতোয় গাথাঁ যাবে। এ তত্বেরই পোশাকি নাম থিওরি অব এভরিথিং। কিন্তু কেমন হবে বহু প্রত্যাশিত সেই তত্ব? কী করা যাবে সেই তত্ব দিয়ে? তাতে কী এই মহাবিশ্বের সব রহস্যের জবাব পাওয়া যাবে। এ বইতে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। আকারে ক্ষীণ, বক্তব্যে সংক্ষিপ্ত হলেও যা গুরুত্ব ও তাৎপর্য্ বিপুল। এই ধারাবাহিক বক্তৃতাগুলোকে আমি মহাবিস্ফোরণ থেকে কৃষ্ণগহ্বর পর্যন্ত মহাবিশ্বের ইতিহাস নিয়ে আমাদের ভাবনার একটা রূপরেখা দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রথম বক্তৃতায় মহাবিশ্ব সম্পর্কে অতীতের ধারণাগুলো সংক্ষেপে বলব। একই সঙ্গে মহাবিশ্বের বর্তমান চেহারা কিভাবে পেলাম, সেটিও থাকবে এখানে। দ্বিতীয় বক্তৃতায় মহাকর্ষ্ সম্পর্কে নিউটন আর আইনস্টাইন তত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মহাবিশ্ব স্থির হতে পারে না, মহাবিশ্বকে হয় প্রসারণশীল, নয়তো সংকোচনশীল হতে হবে-তাঁদের তত্বগুলো কীভাবে এই সিদ্ধান্তের দিকেই ইঙ্গিত করে, এখানে সেটিই দেখাব। এতে দেখা যায়, আজ থেকে ১০ থেকে ২০ বিলিয়ন বছর আগের মধ্যবর্তী কোনো একটি সময়ে এই মহাবিশ্বের ঘনত্ব অবশ্যই অসীম ছিল। একেই বলে মহাবিস্ফোরণ। সম্ভবত মহাবিশ্বের সূচনা হয়েছিল এখান থেকেই।