×
Categories

Products tagged with 'sadat hossain'

View as Grid List
Picture of নিঃসঙ্গ নক্ষত্র - সাদাত হোসাইন
Picture of নিঃসঙ্গ নক্ষত্র - সাদাত হোসাইন

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র - সাদাত হোসাইন

ANYP97-copy
দুই বাংলার পাঠকদের কাছে সাদাত হোসাইনের অবস্থান অনেকটা 'এলেন, লিখলেন, জয় করলেন'-এর মতো। তার একটি উপন্যাস পড়েছিলাম, এক সাহিত্য পুরস্কারের হ্রস্ব তালিকায় সেটি স্থান করে নেওয়ার পর। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। বইটি পুরস্কার পায় নি। এজন্য নিশ্চয় তার মন খারাপ হয়েছে, কিন্তু সেই ভাবটা চেপে রেখে বিনয়ের সঙ্গে আমাকে বলেছে, তার দুর্বলতার জায়গাগুলি দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। কিছু কথা তাকে বলেছিলাম, সে মন দিয়ে শুনেছে। আমি নিশ্চিত, নিজেকে উত্তরণের চেষ্টায় নতুন করে সে নেমেছিল। সফলও যে হয়েছিল, প্রমাণ তার সাম্প্রতিক উপন্যাসগুলো। তার লেখার হাত এখন অনেক শক্তিশালী, ভাষাটা তার স্বাক্ষরযুক্ত, চিন্তাগুলি অনেক পরিণত। তরুণ পাঠকদের সে আকৃষ্ট করে। এবারের কলকাতা বইমেলায় তার সই নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো পাঠকদের ছবি প্রথম পাতায় ছেপেছে কলকাতার বাংলা কাগজ। এক পাঠক বলেছে, সাদাতের লেখায় সম্মোহনী শক্তি আছে
500.00৳ 425.00৳
মেঘেদের দিন - সাদাত হোসাইন
মেঘেদের দিন - সাদাত হোসাইন

মেঘেদের দিন - সাদাত হোসাইন

ANYP91
রাতে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। চারপাশটা কেমন স্থির, নিস্পন্দন। কোথাও গাছের পাতা অব্দিও নড়ছে না। যেন প্রলয়ঙ্করী কোনো ঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি। মারুফ খানিকটা সরে এল তানিয়ার কাছে। তানিয়া প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই বলল, আমার খুব ভয় করছে মারুফ। মারুফ অবাক গলায় বলল, ভয় করছে কেন ? জানি না কিন্তু প্রচণ্ড ভয় করছে। আমি তোমাকে বোঝাতে পারব না। ধুর বোকা। এখানে ভয় কিসের? তানিয়ার মুখ শুকিয়ে গেছে। সে শুকনা গলায় বলল, আমি জানি না। কিন্তু টের পাচ্ছি, কোনো একটা ভয়াবহ বিপদ ঘটতে যাচ্ছে। কিসের বিপদ? আমি জানি না। কিন্তু সত্যি বলছি ভয়াবহ কোনো বিপদ। মারুফের আচমকা মনে হলো তানিয়া যা বলছে তা সত্য। তানিয়ার ভয়টাকে আর অমূলক বা হেসে উড়িয়ে দেওয়ার মতো কোনো বিষয় মনে হচ্ছে না তার। বরং মনে হচ্ছে অমোঘ কোনো সত্য। সে ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশে তাকালো। মাথার ওপর অশরীরী উপস্থিতির মতো দুটো আমগাছের ডাল কেমন ছড়িয়ে আছে। একটা বাদুর বা অন কোনো নিশাচর পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দে আচমকা কেঁপে উঠল চারপাশ। ভেঙে খানখান হয়ে গেল রাতের নৈঃশব্দ্য। সেই শব্দে কেঁপে উঠল তানিয়াও। সে দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল মারুফকে। তারপর মারুফের কানের কাছে মুখ নিয়ে ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল, আমি আর এখানে থাকব না মারুফ। এক মুহূর্তও না।
300.00৳ 255.00৳
শঙ্খচূড় - সাদাত হোসাইন
শঙ্খচূড় - সাদাত হোসাইন

শঙ্খচূড় - সাদাত হোসাইন

ANYP92
অমাবস্যার রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকার। চারপাশের সুনসান নীরবতার মধ্যে ঘোড়ার খুরের একটানা ঠকঠক শব্দটা বেশ কানে বাজছে। চলন্ত জুড়িগাড়ির ভেতর মৃদু আলোয় জড়সড় শঙ্কিত দুটি নারীমুখ। লণ্ঠনের কম্পমান আলোয় তাদের ছায়া কাঁপছে। দূর কোথাও থেকে হঠাৎ হঠাৎ ভেসে আসছে নাম-না-জানা প্রাণীর বিভীষিকাময় চিৎকার। সেই চিৎকারে গা হিম হয়ে আসে। যেন কোনো অশরীরী অশুভ আত্মা ভর করেছে তাদের ওপর। রানি বিভাবতী পাশে বসে থাকা হাতখানা ধরলেন। তার শরীর কাঁপছে। মুখ রক্তশূন্য। চোখে আতঙ্ক। তিনি ফ্যাকাশে গলায় বললেন, 'মা...।' শাশুড়িমাতার অন্নপূর্ণা দেবী পুত্রবধূর হাতখানা হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরলেন। তবে কথা বললেন না। যেন এই অশুভ রাত্রির অন্ধকারে তিনিও সাহস সঞ্চয় করতে চাইছেন। বিভাবতী বললেন, 'উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন তো, মা?' অন্নপূর্ণা দেবী এবারও কথা বললেন না। তিনি গাড়ির ঘুলঘুলিতে চোখ রাখলেন। পেছনে আরেকটি জুড়িগাড়ি। তার পেছনে সতর্ক ভঙ্গিতে দুটি ঘোড়া পাশাপাশি এগিয়ে আসছে। একটিতে তার কনিষ্ঠ পুত্র বিনয়াদিত্য। অন্যটিতে ভাশুরপুত্র অক্ষয়াদিত্য। অক্ষর রাজ্যের সেনাপতিও। তারা এই গভীর রাতে যাচ্ছেন দুর্গাপুরের অশ্বত্থাশ্রমে। সেখানে আশ্চর্য এক সাধুর আবির্ভাব ঘটেছে। জনশ্রুতি রটেছে যে সাধু স্পর্শের মাধ্যমেই লোকের রোগব্যাধি সারিয়ে দিতে পারেন। এই কথা রাজ্যের রাজধানী চন্দ্রগড় রাজবাড়ি অবধিও পৌঁছে গেছে। চন্দ্রগড় রাজ্যের নামেই রাজধানীরও একই নাম 'চন্দ্রগড়'। সাধুর এমন অলৌকিক ক্ষমতার কথা শুনে রাজমাতা অন্নপূর্ণা দেবী ভেতরে- ভেতরে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। তবে সে কথা বাইরে কারও কাছেই প্রকাশ করেন নি তিনি। কিন্তু দিন তিনেক আগে রাতে ভয়ানক এক দুঃস্বপ্ন দেখে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারেন নি রাজমাতা। সেই দুঃস্বপ্নই তাকে মধ্যরাতের এই গোপন যাত্রায় বাধ্য 1
700.00৳ 595.00৳
সে এখানে নেই - সাদাত হোসাইন
সে এখানে নেই - সাদাত হোসাইন

সে এখানে নেই - সাদাত হোসাইন

ANYP93
দমকা হাওয়ায় জানালা গলে বৃষ্টির জলে এসে গড়েছে সিঁড়ি লাগোয়া প্রথম ঘরটির দরজায় একজন মানুষ বসে আছে। তবে মানুষটা ঘরের ভেতর দিকে যাচ্ছে না। দেখো যাচ্ছে পিঠ। ঘরের ভেতর থেকে আলো আসছে। সেই আলোয় কেবল মেয়েটার বসে থাকা শরীরের কুঁজো ছায়ামূর্তি বোঝা যাচ্ছে। আর বোঝা যাচ্ছে তার ন্যুজ শরীরের থরথর কম্পন। সে একনাগড়ে চিংকার করে কাঁদছে। কিন্তু উঠে দাঁড়াতে পারছে না। জহির হতভম্ব হয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তারপর কয়েক কদম হেঁটে সামনে এগোল। কিন্তু দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই যেন জমে গেল সে। ঘরের ভেতরের গা হিম করা দৃশ্যটা চোখে পড়ল তার।
300.00৳ 255.00৳
আগুনডানা মেয়ে - সাদাত হোসাইন
আগুনডানা মেয়ে - সাদাত হোসাইন

আগুনডানা মেয়ে - সাদাত হোসাইন

ANYP94
মা যখন টুপ করে মরে গেলো আর কাপড়ের পুটুলিতে পেঁচানো মাংসের দলার মতোন মনুকে রেখে গেলো এইটুকু, তখন থেকেই পাখি জানত, তার জন্ম অন্যের ভার কাঁধে নিয়ে চলবার জন্য। কিন্তু তার ভার বইবার এ জগতে কেউ নেই। এই নিয়ে পাখির যে খুব আক্ষেপ ছিল তাও নয়। বরং এসবে তার অভ্যাসই হয়ে গিয়েছিলো। কতদিন ভাতের হাড়ির শেষ ভাতটুকু বাবা আর মনুকে খাইয়ে নিজে ঢকঢক করে দু মগ পানি গিলে বিছানায় শুয়ে পড়েছে তার ইয়ত্তা নেই! পাশে থাকা বাবা কিংবা মনু তা কখনো টেরই পায়নি। অথচ, সেই পাখিই কিনা বশিরকে পেয়ে লতার মতো এলিয়ে যাচ্ছিল। এই ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে এর আগে কখনো পরিচয় ছিল না তার। কারণ, পাখি জানত- যে মেয়েটি রাস্তা পার হওয়ার সময় শক্ত কারো হাত খোঁজে, বোতলের ছিপি খুলে দেওয়ার জন্য দৃঢ় কোনো আঙুলের সাহায্য চায় কিংবা আলতো অভিমানে কেঁদে বুক ভাসায়, আর দুঃখ পেলেই লুকাতে চায় কারো চওড়া বুকে, লতার মতো এলিয়ে পড়ে পাশে থাকা পুরুষ বৃক্ষে- সে মোটেই তেমন নয়। দুঃখ ভুলতে কাউকে লাগে না তার। সে নিজেই নিজের আশ্রয়। যতটুকু ওজন তার, তা সে বয়ে নিতে জানে। জানে বাড়তি খানিক কাঁধে তুলে নিতেও। কারণ, জীবন তাকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জীবন জানত না, সে সেই পুড়ে যাওয়া ছাইয়ের ভেতর থেকে জেগে ওঠা ফিনিক্স পাখি! হার না মানা: আগুনডানা: মেয়ে।
800.00৳ 680.00৳
নিঃসঙ্গ নক্ষত্র - সাদাত হোসাইন
নিঃসঙ্গ নক্ষত্র - সাদাত হোসাইন

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র - সাদাত হোসাইন

ANYP96
‘এই ঘটনা সত্য, না মিথ্যা? ‘মিথ্যা’। মিথ্যা ঘটনা লিখেছেন কেন? ‘সরি, এটা আসলে সত্য ঘটনা। ‘সত্য ঘটনা এমন হয়? এমন কেন? এই প্রশ্নে আমি চুপ করে থাকি, আমার কষ্ট হয়। আসলেই কী জীবন এমন? হয়তো এমনই, হয়তো এমন নয়। তবে আমি সবসময়ই বলি, ‘জীবনে যেমন গল্প থাকে, তেমনি গল্পেও থাকে জীবন। সেই সব গল্পের কতটুকুই আমাদের জানা থাকে? আমরা কতজন কত কত নিঃসঙ্গ দিন-রাত্রির গল্প বুকে পুষে কাটিয়ে দেই একাকি জীবন, সেই জীবনের খবর কে রাখে? হয়তো সেই নিঃসঙ্গ মানুষটি ছাড়া আর কেউ-ই না। ‘নিঃসঙ্গ নক্ষত্ৰ’ তেমনি গল্প কিংবা জীবন। এই গল্পটা কী কোথাও শুনেছি আমি? আমার ধারণা আমি শুনেছি। গল্পের মেয়েটার মুখ থেকেই শুনেছি এবং মেয়েটিকে চিনিও আমি। কিন্তু গল্পটা কী একটু অন্য রকম হয়ে গেল? নাকি আরো খানিকটা অন্যরকম হতে পারতো? অনু কী জানতে পারতো না, জীবন কেবল এমন নয়, জীবন হতে পারে আরো অন্যরকমও? কলম অবশ্য বলে গেল, কেউ জানে না জীবন কেমন, জীবনের রকম কী! তা কেবল জীবনই জানে। তাই সে লিখে গেল জীবন। সেই জীবন সত্য না মিথ্যা, তা ধরতে পারে সাধ্য কার! ‘নিঃসঙ্গ নক্ষত্র’ সেই সত্য-মিথ্যার জীবন।
550.00৳ 468.00৳
Picture of Support | +8809613717171

Support | +8809613717171

24 Hours a Day, 7 Days a Week

Picture of Happy Return Policy

Happy Return Policy

All over Bangladesh

Picture of Worldwide Shipping

Worldwide Shipping

We Deliver Product All Over the World

Picture of Fastest Delivery

Fastest Delivery

Own Distribution Channel