কোনো এক প্রাগৈতিহাসিক নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তির প্রাচীরে গন্তব্যহীন অন্ধকার হয়ে সেঁটে রইল তারা। অযুত বাধার অজস্র পথ পেরিয়ে এসেও যেন ডিঙাতে পারল না অনভ্যাসে অগম্য হয়ে ওঠা অকর্ষিত অভিমানী মনভূমিটুকু। কিন্তু তাদের মন ও শরীর আলগোছে হাওয়ায় ছড়িয়ে দিতে লাগল স্মৃতির সুবাস। সেই সুবাস কি ডিঙিয়ে যেতে পারবে এই অলঙ্ঘনীয় দ্বিধার দেয়াল? হেমন্তের বিষণ্ণ সন্ধ্যায় দূর কোথাও থেকে ভেসে আসছে অদ্ভুত হাহাকারের সুর। বুকের ভেতর আলগোছে নেমে আসছে মেঘ কিংবা কুয়াশা। কিংবা গাঢ় শীতল অন্ধকার। নাম না জানা দুঃখ। সেই দুঃখের ভেতর মন কেমনের হাওয়া। সেই হাওয়ায় ওই বিষাদ অন্ধকারে যেন স্থির হয়ে আছে প্রাচীন পাথরে খোদাই করা দুটি মূর্তি। কী আশ্চর্য, সেই মূর্তির বুকেও হঠাৎ জলের ঢেউয়ের মতো ছলাৎ ছলাৎ শব্দ হতে থাকে!
টুলু বড় হয়ে যে কাজগুলো করবে বলে ঠিক করে রেখেছিল, নীরা মামী তার সবগুলো করেছেন। পাহাড়ে গিয়েছেন, সমুদ্রে গিয়েছেন, প্লেন থেকে লাফ দিয়েছেন, কারাতে শিখেছেন, সিনেমায় অ্যাক্টিং করেছেন, আন্দোলন করেছেন, পুলিশের মার খেয়েছেন, জেলে গিয়েছেন। সোজা কথায় বলা যায় এমন কোনো কাজ নাই যেটা নীরা মামী করেন নাই।
নরওয়েজিয়ান উড এসময়ের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক হারুকি মুরাকামির অন্যতম সেরা এবং শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এটি। এটি একটি অনবদ্য মৌলিক উপন্যাস যার পাতায় পাতায় আপনি পাবেন বিষণ্ণতা, বেদনা, যন্ত্রণা, যৌনতৃপ্তি, প্রেম, অসম সম্পর্ক সহ আরো বিভিন্ন গোপনীয় বিষয় যা সবাই বুঝে অনুভব করলেও মুরাকামি তা প্রকাশ করেছে। প্রেম, সম্পর্কের জটিলতা, যৌনতা, বয়োঃসন্ধি, একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা আর প্রিয়জন হারানোর ব্যথা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন হারুকি মুরাকামি।
লম্বা আর সোনালী চুলের এক ইংরেজ; পেশায় ভাড়াটে খুনি; নিজের কাজে বিশ্বসেরা। তার নিয়োগকর্তারা পর্যন্ত তার নাম জানে না। পৃথিবীর বড় বড় সিক্রেট সার্ভিসের কাছেও সে অজ্ঞাত। সম্পূর্ণ একা, বিশেষভাবে তৈরি একটি রাইফেল নিয়ে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেবার মিশনে নেমেছে সে। অপ্রতিরোধ্য জ্যাকেলকে থামাবে কে, কিভাবে-কেউ জানে না। এক সময় মনে হয় জ্যাকেলকে থামানোর মতো কোনো শক্তি এই পৃথিবীতে নেই। ফ্রেডরিক ফরসাইথ’র এই অসাধারণ থৃলারটি পড়ে না থাকলে আজই পড়ে নিন, পরিচিত হন মাস্টার স্টোরিটেলার ফরসাইথের সাথে।
১৯১৮ সাল। বাবার মৃত্যুর দুঃখকে সঙ্গী করে মাধবগঞ্জে পা রাখে নসিব উদ্দেশ্য, সাহেব আলী নামের এক রহস্যময় বাউলের জীবন আর কর্ম সম্পর্কে জানা। কিন্তু সেই সুস্পষ্ট উদ্দেশ্যের আড়ালেও অন্য কোন লক্ষ্য লুকিয়ে নেই তাে? একজন অঘােরনাথ তান্ত্রিক, মােস্তফা মাস্টার অথবা চায়ের দোকানদার সুবােধ ঘােষের গল্পে মৃত্যুর স্থান কোথায়? বিকলাঙ্গ এক বালকের তাতে কতােটুকুই বা ভূমিকা থাকতে পারে? নীল বিদ্রোহ থেকে ভাগ্যের ফেরে বেঁচে যাওয়া জাদুকর অ্যান্ডারসনের কল্যাণে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথমবারের মতাে অনুপ্রবেশ ঘটে সার্কাস নামক প্রথার রহস্যময় এক কটেজের গােড়াপত্তনও তার হাত ধরে ঘটেছিল; সাতান্ন বছর আগে। একদল ঠগির মৃত্যুর পর যেখানে ভয়ে কেউ পা বাড়ায়নি। ধরে নেয়া যাক, এই গল্পটা তারই। গল্পটা হয়ত ষোড়শ শতকের পর্তুগিজ নাবিক অ্যামেরিক গিরাল্ডাের। একই সাথে অনিন্দ্য সুন্দরী অনিতার গল্পও বলা যেতে পারে। দৃষ্টির অগােচরে লুকিয়ে থাকা নৈঃশব্দের জগতে যখন চেতনার প্রদান অনুভব করা যায়, নীলচে আলােতে ভাস্বর হয়ে আবির্ভাব ঘটে তার রঙ সরিয়ে সাদাকালাে হয় পৃথিবী।
অনভিপ্রেত জটিল এক রহস্যের জালে জড়িয়ে গেল প্রত্নতাত্ত্বিক রাশাদ এবং জয়িতা। প্রাচীন পুঁথির সোঁদা ঘ্রাণে ভেজা অদ্ভুত এক ঐতিহাসিক স্মারকের পেছনে ছুটে চলেছে সমস্ত ঘটনা প্রবাহ। যেখানে শত সহস্র শতাব্দি ধরে সত্যের মহীরুহ ঢেকে দিয়েছে ধীরে ধীরে জমতে থাকা অসত্যের আগাছা। ‘দগ্রীব' এক ঐতিহাসিক রহস্য-রােমাঞ্চ আখ্যান। প্রাচীন কথকতার তমসা ভেদ করে দ্ব্যর্থহীন গন্তব্যের পথে বিস্ময়কর, অবিশ্বাস্য এক যাত্রা। ক্ষমতা, রাজনীতি আর ধর্মের ঘােলা কাঁচের নিচে দম আটকে থাকা প্রকৃত ঐতিহাসিক উপাখ্যান উদ্ধারের প্রচেষ্টা। পাঠক আপনাকে প্রহেলিকাময় অতীত এবং আপতিত বর্তমানের সত্য এবং অসত্যের মায়াজাল নিরূপণে স্বাগতম।
চোদ্দ বছরের ময়না কেমন যেন অবিক রকমের পাকা হয়ে উঠেছে। বড়দের মতাে তীক্ষ্ণদৃষ্টি, প্রতিশােধপরায়ণ আচরণ। সারাক্ষণ মাথার ভেতর গিজগিজ করছে শয়তানি বুদ্ধি। একদিন সীমান্তবর্তি এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায় ময়নার ঘনিষ্ঠ বন্ধু লালমিয়া। কোথায় গেল সে? কে ওকে উধাও করলাে? ময়নার মা সারাক্ষণ ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেও নির্লিপ্ত অভিব্যক্তিতে কোনাে সদুত্তর খুঁজে পায় না। কিন্তু মা জানে, তার ছেলের মাথায় সারাক্ষণ একটা পােকা খোঁচাচ্ছে : খুন কর, ময়না! খুন কর!-ছেলেকে নিয়ে তাই কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে সে। এরই মাঝে হঠাৎ এলাকায় শুরু হয় একের পর এক খুন। প্রেক্ষাপটে হাজির হয় ক্ষ্যাপাটে এক পাগল, রহস্যময় কিছু চরিত্র এবং রাতের অন্ধকারে নিঃশব্দে হেঁটেচলে বেড়ানাে রক্তপিশাচ! আঁধারের জানালাটা খােলা একটি শ্বাসরুদ্ধকর মার্ডার মিস্ট্রি নভেলা।
স্কুল শেষে বাসায় ফিরতেই ছোট্ট ব্রুনো দেখল সবাই গোছগাছ করছে, বাবার বদলি হয়ে গেছে, অন্য কোথাও যেতে হবে তাদেরকে। নতুন জায়গায় গিয়ে খুবই হতাশ হলো সে। খেলার কোন সঙ্গি নেই। যতদূর চোখ যায় কাঁটাতারের বিশাল বেড়ায় ঘেরা পুরোটা জায়গা। ওপাশের সবকিছুকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রেখেছে সেই কণ্টক প্রাচীর। কিন্তু চুপ করে বসে রইল না ব্রুনো। অজানাকে জানার জন্যে খুঁজতে থাকলো উপায়। ডোরাকাটা পায়জামা পরা এক ছেলের সাথে দেখা হলো তার, কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে গেল বন্ধুত্ব। কিন্তু এর পরিণতি কি হবে তা তার জানা নেই।
"মেঘ বিষাদের গল্প" বইটিতে লেখা শেষের কথা: গল্পটা শাওন, বাদল কিংবা বৃষ্টির। কিংবা, রেনু, মিন্টু, রিন্টুর। কিংবা হায়দার আলীর। কিংবা জসিম, কিংবা মুসাফির মান্নানের। কিংবা ছােট্ট নিধির। গল্পটা হয়তাে আনন্দের। মেঘ বিষাদের গল্প শরীফুল হাসানের ভিন্ন স্বাদের একটি উপন্যাস।
অন্ধকারে ছেয়ে আছে আকাশটা। এক কোণায় এক চিলতে বিদ্যুৎ ঝলসে উঠতেই সে অন্ধকারটা সাময়িক দূর হলাে বটে, কিন্তু পরক্ষনেই আরাে গভীর অন্ধকার ঘনিয়ে এলাে চারপাশে। দূরে কোথাও বজপাতের শব্দ কানে যেতেই লােকটার নীরবতা ভাঙলাে। লােকটা চুপচাপ বসে আছে গম্ভীর মুখে। ঠোঁটে থাকা সিগারেটের ধােয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে ঘরের ভেতরটা। শ্যামলীর একটু ভেতরের দিকের এক ভবনের চারতলার এই ঘরটি অন্ধকার হলেও, জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে রাস্তার নিয়ন বাতির এক চিলতে আলাে তার মুখে এসে পড়ছে। সে আলাে-ছায়ার মাঝে লােকটাকে আরও রহস্যময় লাগছে। - অবশ্য তার জীবনটাও কম রহস্যপূর্ণ নয়। কপালের কুঁচকে থাকা চামড়ার ভাঁজে ফুটে ওঠা কয়েক বিন্দু ঘাম। সে কিছু ভাবছে। মনের ভেতর জেগে থাকা এক অদৃশ্য ঘড়ি যেন তাকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, সময় আসছে। আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। তারপরই শেষ হবে তার এ অপেক্ষার। সাইড টেবিলে রাখা মােবাইল ফোনটা বেজে উঠতেই চোখ মেলে তাকালাে সে। হাত বাড়িয়ে ফোনটা রিসিভ করলাে। তারপরে আর কোন কথা না বলে সে চুপচাপ কিছুক্ষণ শুনে গেল অপরপ্রান্তের লােকটির বলা কথাগুলাে। “ওকে! এবার তাহলে ধামাকা হােক, বড় ধামাকা! খােদা মেহেরবান!” নিচু, ভরাট কণ্ঠে কথাগুলাে বলে কিছুক্ষণ পর ফোনটা রেখে দিলাে সে। কণ্ঠে আবেগ গােপন রাখতে পারাটা তার বহুদিনের অভ্যাসের ফল। লম্বা, ছিপছিপে গড়নের মাঝবয়সি লােকটার পরনে একটি কালাে শার্ট আর খাকি কালারের পায়জামা। সাধারণ মানুষ থেকে তাকে আলাদা করে চেনাটা কষ্টকর। তবে তার তীক্ষ্ণ চোখে যে অসীম বুদ্ধিমত্তা আর হিংস্রতার ছায়া, সেটাই তাকে আলাদা করে দেয়। ফোন থেকে সিমটা খুলে ফেলে টেবিলের উপর রেখে হেটে গেল জানালার কাছে। পর্দা কিছুটা সরিয়ে নিচে তাকালাে। ঢাকার রাস্তায় মানুষের নিত্য চলাচলের ব্যস্ততা দেখছে সে। আজকের সন্ধ্যার এই ইলিশেগুঁড়ি বৃষ্টিকেও যেন তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে ব্যস্ত। সবাই ছুটছে অধরা কোন এক সুখের আশায়। আর কিছুক্ষণ পরেই, শহরের মানুষের সব ব্যস্ততা আর সুখ পরিণত হবে তীব্র শােক আর আতংকে। সে কথা ভাবতেই লােকটার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলাে। খুব সূক্ষভাবে তাকালে বােঝা যায়, সে হাসিতে লুকিয়ে আছে এক ভয়াবহ পৈশাচিকতা। লােকটির অধীনে যারা কাজ করছে, তারা আজ ব্যাপারটা দেখে খুব খুশি হতাে। কারণ, তারা সবাই জানে এই নিষ্ঠুর লােকটির মুখে হাসি দেখা কতটা কষ্টসাধ্য আর বিরল ব্যাপার। এমনকি, দেড় বছর আগে যখন এই লােকটার করা এক ভয়াবহ পরিকল্পনায় ঢাকা শহরের এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে ঝরে গিয়েছিলাে ২২টি তাজা প্রাণ, তখনাে তার মুখে এমন খুশির চিহ্ন দেখা যায়নি।
এ গল্প এগারো বছরের এক বাচ্চা, জহিরের; ‘চোরের ছেলেও চোর’- এই অপবাদে যাকে গ্রামবাসীরা অচ্ছুত ভেবে তাড়িয়ে দিয়েছে। গল্পটা আংশিক হলেও জাহাঙ্গীরের। এককালের কুখ্যাত চোর, যাকে কি না ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে এমন এক অপরাধে, যা সে করেইনি। গত আট বছর ধরে সৎভাবেই চলছিল মানুষটা। তবে কি ভালোর কোন দাম নেই? গল্পটা তরফদার চেয়ারম্যান আর ওসি ফারুকেরও, যাদের দুর্নীতির লোভ ক্রমশ বাড়ছে। গল্পটা মিঠাপুকুর নামের এক গ্রামের সকল গ্রামবাসীর, যারা জানে না কোন বিপদ ধেয়ে আসছে তাদের দিকে। গল্পটা মানুষরূপী কিছু হায়েনার।
অজানা অচেনা নাম্বার থেকে একটা ফোনকল পেয়ে চমকে উঠলেন দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ি এবং ধনাঢ্য এক ব্যক্তি। জিরক্স নামে পরিচয় দেয়া সেই কলার তাকে অতীতের এমন একটি অধ্যায়ের মুখােমুখি করলাে যা তিনি এতদিন ধরে ধামাচাপা দিয়ে এসেছেন। সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছে ইয়াসির হাসান। স্ত্রী-সন্তানকে ছেড়ে মদই তার নিত্যসঙ্গি। রাতের বেলায় যে শিশুদের সঙ্গে তার দেখা হয় তাদের সাথে তার সম্পর্কটা কী? ইউরােপের স্বনামধন্য একটি বিজ্ঞান গবেষণাগারে সময়-পরিভ্রমণের যন্ত্র। আবিষ্কার করতে গিয়ে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল মশিউর রহমান। অন্য কোন সংস্থায় চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরে বেকার সে। তার সময়-পরিভ্রমণের যন্ত্রটা কি কোন পরিবর্তন নিয়ে আসবে মানুষের জীবনে? সময়ের সিড়ি বেয়ে একটি বুলেট সায়েন্স-ফিকশন থৃলার...পাঠককে নিয়ে যাবে উত্তেজনায় পরিপূর্ণ এক সময়ে, যেখানে বিজ্ঞান নয়, গল্পটাই মুখ্য।
সেই অসহনীয় আর্তনাদ...সেই অপার্থিব কি কি শব্দ...এখনাে দুঃস্বপ্নের মাঝে তাড়া করে ফেরে আমায়। যে ভয়াল অস্তিত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিল আমার ভালােবাসাকে, সেই অস্তিত্বের জন্ম পৃথিবীতে হয়নি। সত্যটা আমি জানতাম। কিন্তু আমার হাতে প্রমাণ ছিল না। তাই স্মৃতির শৃঙ্খল থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছি পনেরােটি বছর। কিন্তু ড. এডওয়ার্ড খান হাল ছাড়েননি। তাই তাে আজ এতগুলাে বছর পর, কিলিমানজারাের একটি গুহায় অসম্ভব এক সত্যের মুখােমুখি হয়েছি, সাক্ষি হয়েছি লক্ষ বছরের পুরনাে ইতিহাসের। এক লক্ষ বছর আগে ওরা এসেছিল পৃথিবীতে। স্বজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল সেই প্রজাতির তিনজন প্রতিনিধি। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল কিছু প্রাচীন মানুষ। আদিম প্রবৃত্তিকে পুঁজি করে অবতীর্ণ হয়েছিল অসম এক যুদ্ধে। এই গল্প মানুষের গল্প। পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার এক রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের আখ্যান। আমের আহমেদ আদিম পৃথিবী নিয়ে লিখেছেন ভিন্নধর্মি এই সায়েন্স-ফিকশনটি।
রাতদুপুরে পলাশবাড়ি পৌছে বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে যায় অরিন্দম। জনবিরল বাজারে এমন কোনাে জায়গা নেই যেখানে রাতটা কাটানাে যায়। এদিকে তাপমাত্রা পারদের হিসেবে চড় চড় করে নামছে, ঘনীভূত হচ্ছে কুয়াশা, বুকে কাঁপন ধরাচ্ছে। রাতচরা পাখির ডাক। উদভ্রান্ত অরিন্দমকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে এক রহস্যময় বেটে মানুষ। অনেকগুলাে গলি-ঘুপচি পেরিয়ে লােকটা তাকে নিয়ে যায় আওলাদ মিয়ার হােটেলে, যেখানে অরিন্দমের মতাে আটকেপড়া আরাে পাঁচজন মানুষকে একাট্টা করা হয়েছে। হােটেলের মালিক আওলাদ মিয়ার চাওয়া খুব সামান্য প্রত্যেককে নিজের জীবনের এমন একটা গল্প বলতে হবে যেটা মােটাদাগে অদ্ভুত আর অস্বাভাবিক। গল্পে গল্পে সারা রাত উঠে আসে এমন সব ঘটনা, যেগুলাে মানুষ হিসেবে আমাদের অস্তিত্বকেই নাড়িয়ে দেয়। আওলাদ মিয়ার ভাতের হােটেল-এ পাঠককে স্বাগতম!