কাহিনি সংক্ষেপঃ ভালো হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্টেমিস ফাউল, তবে শেষ এই দাঁওটা মারার পর! অন্তত তেমনটাই পরিকল্পনা করেছিল ক্রিমিনাল এই মাস্টারমাইণ্ড। ঘাপলা বাধল ফেয়ারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো সুপার কম্পিউটার, সি কিউব, বিক্রি করতে গিয়ে। নৃশংস ব্যবসায়ী জন স্পাইরো ওকে বোকা বানাল! আহত হতে হলো ওর দেহরক্ষী আর একমাত্র বন্ধু, বাটলারকে। লোকটাকে বাঁচাতে হলে চাই জাদু। আর তাই ছেলেটা শরণাপন্ন হলো ফেয়ারি হলি শর্টের। তবে শুধু জাদু হলেই হবে না, সেই সাথে সাহায্য লাগবে সৌভাগ্যের। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সৌভাগ্য আর্টেমিসের পক্ষে নেই!
গত একটা বছর কোমায় কাটিয়ে দিয়েছে ফেয়ারি জগতের শীর্ষ সন্ত্রাসী, ওপাল কোবোই! দুর্ঘটনার শিকার? উহু, এই কোমাটাও স্বপ্রনোদিত! সময়টা নষ্ট করেনি ওপাল, কাটিয়েছে পরিকল্পনা সাজিয়ে। কীসের পরিকল্পনা? ওর শত্রুদের বারোটা বাজানোর...আর কীসের! অথচ স্মৃতি মুছে ফেলার কারণে পাতালের কিচ্ছু মনে নেই আর্টেমিসের। তবে ওপাল ভোলেনি ওকে। ভোলেনি হলি শর্ট বা লেপ-এর ওরাও! আরও একবার...ফেয়ারি এবং মানব সভ্যতার রক্ষাকর্তা রূপে আবির্ভুত হতে হবে ওকে। কিন্তু এবারের প্রতিপক্ষে যে বড় শক্ত! কে জিতবে বুদ্ধির খেলায়? ওপাল কোবোই? নাকি আর্টেমিস?
লোকে বলে, আর্টেমিস ফাউল এই শতাব্দীর বড় বড় প্রত্যেকটা অপরাধের সাথে জড়িত! মাত্র বারো বছর বয়সেই, অপরাধ জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছে সে। দুর্নীতি আর অপহরণকে পুঁজি করে বাড়িয়ে তুলতে চাচ্ছে পরিবারের ঐশ্বর্য। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এক ফেয়ারিকে অপহরণ করতে চাইছে। পাতালপুরীতে বাস করে এমন একদল ভয়ঙ্কর আর প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মানুষের চাইতে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ফেয়ারিদের খোঁজ পেয়েছে সে। কিন্তু তাদের ক্ষমতার প্রচণ্ডতা ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারেনি। অপহরণ করলেই যে মিলবে না মুক্তিপণ ! তার জন্য ফেয়ারিদের মুহুর্মুহু আক্রমণ সহ্য করতে হবে! মানুষ আর ফেয়ারি, এই দুই সম্প্রদায়ের মাঝে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের সূচনা এই হলো বলে!
বিশ্বখ্যাত দুই মহাকাব্য—ইলিয়াড এবং ওডেসি। এই দুই মহাকাব্যের কতটুকু ইতিহাস-নির্ভর? আর কতটুকুর জন্ম হয়েছে মানব কল্পনার গহীন থেকে? যদি কল্পনাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন বরফের রাজ্যে আটকা পড়া আরব বজরায় পুরাণের দানোদের হাতে খুন হতে হবে একজন বিজ্ঞানীকে? যদি বাস্তব হয়, তাহলে কোথায় সেই সাইক্লপস? কোথায় সারবেরাস? মিনেটর? অন্য সব দানো? বজরা-রহস্য সমাধানে গ্রিনল্যান্ডে গিয়ে অপহৃত হলো ড. ইলেনা কারগিল। আরেকটা পরিচয় আছে ওর—সে সিনেটর কারগিলের মেয়ে। বান্ধবীকে উদ্ধার করতে সেখানে পা রাখল মারিয়া, সঙ্গে কোয়ালস্কি। ওদের সঙ্গে যোগ দিল গ্রে এবং শেইচানও। বনু মুসা নামের রহস্যময় এক সঙ্ঘ দেখা দিল দৃশ্যপটে। ওদের ধারণা-ওডিসিয়াসে বর্ণিত গল্পের অনেকটাই সত্যি। মহাপ্রলয়কে ত্বরান্বিত করার মানসে সেই দানবদেরকে হাতে পেতে চায় তারা। মুখোমুখি দুই আদর্শ নিয়ে খাড়া হলো সিগমা আর বনু মুসা। কিন্তু গ্রেরা জানে না, এই নাটকের রয়েছে আরো অনেক কুশীলব। টারটারাস কি সত্যি? নাকি হোমারের কল্পনা? সেই প্রশ্নের উত্তর লেখা আছে দ্য লাস্ট ওডিসির পাতায়।
কাহিনী সংক্ষেপ রহস্যের রানি খ্যাত আগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় রহস্য লেখিকাদের মাঝে একজন। নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস-সবখানেই রয়েছে তার সদর্প পদচারণা। এরকুল পোয়ারো এবং মিস মার্পল নামের বিশ্বখ্যাত দুটি চরিত্রের জন্মদাত্রী তিনি। আমেরিকান পিতার ঔরসে ও ব্রিটিশ মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার। ইংল্যান্ডের টর্কুই নামক স্থানে, ১৮৯০ সনের ১৫ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল ছিলেন, তবে ধনী ছিলেন না কখনো। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একা-একা পড়তে শেখেন তিনি। ১৯১৪ সনে কর্নেল আর্চিবল্ড ক্রিস্টির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আগাথা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার পর, তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ম্যাক ম্যালোওয়ানকে...১৯৩০ সনে। ১৯৭১ সনে ভূষিত হন ব্রিটিশ সরকারের ডেম কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অভ ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে। কিন্তু এই বছর থেকেই আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে তার শরীর। অবশেষে ১৯৭৬ সনের ১২ জানুয়ারি, বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যবরণ করেন তিনি। তার লিখিত বিখ্যাত বই থেকে তিনটি বই নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আগাথা ক্রিস্টি সমগ্রের ১ম খণ্ড। বইগুলো হলো: অ্যাপয়েন্টমেন্ট উইথ ডেথ দ্য বিগ ফোর পোয়ারো ইনভেস্টিগেটস
আগাথা ক্রিস্টি সমগ্র ২ দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস (অনু. মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ): সাহায্যের আবেদন শুনে ফ্রান্সে ছুট লাগালেন পোয়ারো। কিন্তু তিনি পৌঁছতে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেছে অনেক, খুন হয়ে গেছেন আর মক্কেল; তার লাশ পড়ে আছে গলফ কোর্সের অগভীর এক কবরে। কিন্তু মানুষটার পরনে কেন তার ছেলের ওভারকোট? সেই কোটের পকেটে থাকা চিঠিটা কার? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার আগেই, আরেকটা সমস্যায় পড়লেন পোয়ারো... ...হুবহু একই রকম আরেকটা লাশ আবিষ্কৃত হয়েছে যে! দ্য থ্রি অ্যাক্ট ট্রাজেডি (অনু. মারুফ হোসেন): আনন্দঘন এক ডিনার পার্টিতে এসে মারা গেলেন একজন যাজক! তেরোজন অভ্যাগত এসেছেন বিশিষ্ট অভিনেতার বাড়িতে। বিশেষ এই সন্ধ্যা অশুভ হয়ে দেখা দিল শান্ত স্বভাবের যাজক, স্টিফেন ব্যাবিংটনের জীবনে। ককটেল কিন্তু মার্টিনির গ্লাসটা পরীক্ষায় পাঠিয়ে জানা গেল-বিষের ছিটেফোঁটাও নেই এখানে... ...ঠিক যেমনটা আন্দাজ করেছিলেন পোয়োরা। তারচেয়ে বড় ব্যাপার, খুনের পেছনে আপাতদৃষ্টিতে নেই কোনো মোটিভ। তাহলে কার হাতে...এবং কেন খুন হতে হলো যাজককে? দ্য হলো (অনু. মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ): লুসি অ্যাঙ্গকাটেলের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লাঞ্চে এলেন এরকুল পোয়ারো। বিখ্যাত গোয়েন্দাকে খোঁচাবার জন সুইমিং পুলের পাশে নকল হত্যাকাণ্ড ঘটাল তার অতিথিরা। কিন্তু আফসোস, একদম বাস্তবে পরিণত হলো সেই নাটক। রক্ত মিশে যাচ্ছে পানিতে, এমন সময় শেষ শব্দটি উচ্চারণ করল জন ক্রিস্টো: হেনরিয়েটা। প্রেমের জালের এক জটিল জটলায় ফেঁসে গেলেন পোয়ারো। মনে হচ্ছে, এই নাটকের সব কুশীলবই সন্দেহভাজন, এবং প্রত্যেকে শিকার প্রেমের যাতনার!