টম ক্যানটি এবং এডওয়ার্ড ট্যুডোর একই দিনে জন্ম দু’জনের, চেহারাও এক। শুধু এইটুকুই মিল ওদের ভেতর। টমের জন্ম নোংরা ওফ্যাল কোর্টে, ভিখিরির ঘরে, আর এডওয়ার্ডের জন্ম ওয়েস্ট মিনস্টার প্রাসাদে, প্রিন্স অভ ওয়েলস হিসেবে। ভাগ্যক্রমে একদিন সাক্ষাৎ হলো ছেড়া কাপড় পরা টম আর রাজকীয় পোশাক পরা রাজপুত্রের। খেলার ছলে পোশাক বদল করল দু’জন, কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ওরা। রাজপুত্রের গায়ে তখন ভিখিরির পোশাক, আর ভিখিরি টমের গায়ে রাজপুত্রেরগুলো। দু’জনের জীবনেই শুরু হলো দুঃস্বপ্ন!
দুঃসাহসী টম সয়্যার মার্ক টোয়েন/রকিব হাসান নীরব, নিঝুম রাত। আকাশে তারার ঝিকিমিকি। সামনে বিছিয়ে আছে নদীর কালো পানি। কান খাড়া করে শুনল টম। কোনও সাড়া নেই কোথাও। ‘কে যায়?’ “টম সয়্যার, স্প্যানিশ মেইনের কালো প্রতিহিংসা। তোমরা? লাল পাঞ্জা হাক ফিন আর সাগরের আতঙ্ক জো হারপার। সংকেত? ‘রক্ত।‘ বাউন্টিতে বিদ্রোহ চার্লস নর্ডহফ ও জেমস নরম্যান হল/নিয়াজ মোরশেদ নভেম্বর আটাশ, সতেরোশো অষ্টাশি। হিজ ম্যাজেস্টিজ শিপ বাউন্টি রওনা হলো দক্ষিণ সাগরীয় দ্বীপ তাহিতির পথে। কয়েক দিনের মধ্যেই অসন্তোষের বীজ রোপিত হলো নাবিকদের মনে। কয়েকজন নাবিকের সহায়তায় বিদ্রোহ করে জাহাজ দখল করে নিল মেট ফ্লেচার ক্রিশ্চিয়ান। ক্যাপ্টেন উইলিয়াম ব্লাইকে আঠারোজন সঙ্গীসহ ছোট একটা নৌকায় ভাসিয়ে দেয়া হলো খোলা সাগরে… সত্য ঘটনা অবলম্বনে অবিস্মরণীয় এক উপন্যাস। ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক আলেকজান্দার দ্যুমা/নিয়াজ মোরশেদ শুয়ে আছেন রাজা লুই। হঠাৎ দুলে উঠল বিছানা। না, স্বপ্ন নয়, সত্যিই নড়ে উঠেছে বিছানাটা। ধীর গতিতে নিচে নেমে যাচ্ছে পালঙ্ক। মৃদু একটা ঝাঁকুনির সাথে থেমে গেল পালঙ্ক। রাজা দেখলেন, খাটের তিনদিকে দাঁড়িয়ে আছে ভয়ঙ্কর তিন মুখোশধারী। ‘…ফ্রান্সের রাজাকে নিয়ে কী করতে চাও তোমরা? জানতে চাইলেন রাজা। জবাব এল, তুমি আর রাজা নও।