মানুষের পার্থিব জীবন খুব ছোট্ট, সংকীর্ণ; তবে স্বপ্ন তার দিগন্ত বিস্তৃত। নানামাত্রিক স্বপ্নের মধ্যে সবচেয়ে চঞ্চল স্বপ্নটি হলো- জীবনটাকে নিপুণভাবে রচনা করা। এই নিপুণ রচনাকে আমরা বলি ‘সফলতা’। সফলতার জন্যই মানুষ হাতে নেয় নানা উদ্যোগ, উদগ্র-উদ্দাম আয়োজন। এ আয়োজনের প্রতিটি পর্বে মানুষ হয় স্বপ্নমুখর, সাধনাক্লিষ্ট, অভীষ্টজাগ্রত, প্রাপ্তি-রোমাঞ্চিত। এ সফলতা ধরার জন্য মানুষের চেতনায় থাকে তৃষ্ণা, চোখে থাকে স্বপ্ন, হৃদয়ে জ্বলে দাউ দাউ আবেগ। সফলতার পাঠশালায় আমরা এসবেরই ক্লাসে থাকব।
বালুর নিচে মুখ গুঁজে থাকলেই ঘূর্ণিঝড় থামে না। আর চাইলেই ঝড় থামানো যায় না; যা ঘটার, তা ঘটেই। প্রাজ্ঞতা হচ্ছে ঝড়ের সময়টাতে ঠিকঠাক নিজেকে হেফাজত করা। কৈশোরের সংকট অবসম্ভাবী বাস্তবতা; চাইলেই কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। কীভাবে আমরা তা সুন্দর করে হ্যান্ডেল করছি, সেটাই বিবেচনার বিষয়। এই গ্রন্থে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে কিশোরদের দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়েছে। কিশোর মানসকে পাঠ করা হয়েছে সুনিপুণভাবে। যেন একজন মেন্টর হাতেকলমে শিখিয়ে দিচ্ছে- কৈশোর জীবনকে কীভাবে সুন্দর করে সাজাতে হয়। পিচ্ছিল পথের যাত্রীদের মঞ্জিলে পৌঁছতে হলে খুব সর্তক থাকতে হবে। সেই সর্তকর্বাতা আর আশু করণীয় নিয়েই এই আয়োজন ‘শোনো হে কিশোর’।
সুবহে সাদিক। পিয়ালং উপত্যকায় শুরু হলো এক নতুন ইতিহাস। ফ্র-এর দলটি রওনা দিলো পিয়ালং উপত্যকায়। যেকোনো মূল্যে আহমদ মুসাকে হাতে পেতে জেনারেল বোরিস একেবারেই মরিয়া হয়ে উঠল। ঘটনাচক্রে আহমদ মুসা বন্দি হয় জেনারেল বরিসের হাতে। কিন্তু যাকে ঘিরে ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে, সে কি আর বন্দিত্বকে বয়ে বেড়াতে পারে? এদিকে হাসান তারিক, আব্দুল্লায়েভ পৌঁছে যায় তিয়েনশানের ওপারে। অন্যদিকে অপেক্ষার প্রহর গুনছে ফাতেমা ফারহানা আর আয়েশা আলিয়েভা। শিহেজি উপত্যকার নতুন এক ট্রাজেডি। আর সিংকিয়াং-এর ভাগ্য অনিশ্চিত। ইতোমধ্যেই জেনারেল বোরিস এক হাত হারিয়ে ভয়ংকর প্রতিশোধের নেশায় ফিরে এসেছে উরুমচিতে। এবার টার্গেট আহমদ মুসার পাশাপাশি মেইলিগুলি। এমতাবস্থায় ককেশাস থেকে আহমদ মুসার কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি চিঠি এলো। চিঠি পেয়েই আহমদ মুসা শুরু করল তার মিশন। ছুটে চলছে আহমদ মুসার গাড়ি। প্রসারিত দৃষ্টিতে দেখছে, ইয়েরেভেন শুধু আর্মেনিয়ার রাজধানী নয়; কমিউনিস্ট এবং খ্রিষ্টানদের শক্তিসন্তান হেয়াইট উলফ-এর রহস্যময় জায়গা। ককেশাসের নিপীড়িত মুসলমানরা মুক্তির প্রহর গুনছে। অভাব কেবল একজন সিপাহসালারের। ঠিক সেই মুহুর্তে দৃশ্যপটে হাজির আহমদ মুসা। তারপর... তারপর ককেশাসের কান্না থামতে না থামতেই যুগোশ্লাভেনেস্কার মুসলিম আজাদি আন্দোলনের উত্তরসূরি বলকানের হাসান সেনজিকের আর্তনাদ। দাদা আর বাবাকে হত্যা করার পর তাকেও খুঁজছে হায়েনারা। কী হতে যাচ্ছে? চলুন, খুঁজতে শুরু করি।
বি-ঔপনিবেশিকতা নিয়ে মুসা আল হাফিজের বয়ান আলাদা। জ্যাক দেরিদা, ফ্রানৎস ফাঁনো, মিশেল ফুকো, নোয়াম চমস্কি কিংবা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক-এর ভাষা ধার করে বি-উপনিবেশের তাত্ত্বিক বয়ান তৈরির মধ্যে আরেক ধরনের উপনিবেশ থাকে, যার নাম ইউরোপকেন্দ্রিকতা। মুসলিম জাহানে যে বুদ্ধিজীবীরা এ ধারায় কথার ওপর কথামালা সাজিয়েছেন, তাদের ভাষ্যের কোন জায়গায় অন্তঃসারশূন্যতা-সেটা চোখে চোখ রেখে দেখিয়ে দেন মুসা আল হাফিজ। ইউরোপকেন্দ্রিকতার বাইরে গিয়ে ঔপনিবেশিকতার মোকাবিলার আদর্শিক, জ্ঞানতাত্ত্বিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাণীভাষ্য কী হবে, কেমন হবে-সে প্রস্তাবনা আছে তার ‘মনের উপনিবেশ মনের মুক্তি’ গ্রন্থে। একজন স্বাধীন বুদ্ধিজীবীর বিশ্বাসী চোখ কীভাবে চলতি পৃথিবীর অধিপতি চিন্তা-স্রোতকে চ্যালেঞ্জ করে এবং মুক্তির পথ প্রস্তাব করে, তার লেখ্যচিত্র দেখা যেতে পারে কবি ও দার্শনিক মুসা আল হাফিজের এই গ্রন্থে।
বিশ্বসভ্যতা নির্মাণের একচ্ছত্র দাবিদার পশ্চিমারা। সেই দাবিকে ফোকাস করে তাদের হাতে নির্মিত ইতিহাসে একপাক্ষিক ভাষ্যের জয়জয়কার। খুব সচেতনভাবে তারা এড়িয়ে গেছেন মুসলমানদের অবদান। এই ধরনের অভিব্যক্তি মূলত ইতিহাসের জঘন্যতম বিকৃতি। তবে পশ্চিমারা ইতিহাসের লম্বা একটি সময়কে যতই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, ইতিহাস কখনোই নীরব ছিল না; থাকার সুযোগও নেই।এর বিপরীতে আমাদের যদি সভ্যতা বিনির্মাণে ইসলাম ও মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকে, তাহলে পশ্চিমা জগতের জাহেলিয়াতি ও মিথ্যা দাবিকে যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারর। সেইসঙ্গে মুসলমানদের সম্বন্ধে যে ধরনের সহিংস, বর্বর ও অসভ্য ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে একটি মোক্ষম জবাব দিতে সক্ষম হব। দেখাতে পারব আমাদের অসংখ্য সুপার হিরো কী পরিমাণ পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, বিবেচনাবোধ ও পেশাদারিত্বের মধ্য দিয়ে নিজেদের কাজগুলোকে সম্পন্ন করে গেছেন। ‘বিশ^সভ্যতা বিনির্মাণে মুসলমানদের অবদান’ বইটি তারই ক্ষুদ্রতম প্রয়াস।
মুক্তচিন্তা ও ইসলাম (হার্ডকভার) - মুক্তচিন্তার দার্শনিক ভিত্তি এবং ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি মুক্তির আকাক্সক্ষা সবখানে, সর্বত্র। সামগ্রিক মুক্তির প্রথম ধাপ মনের মুক্তি। তাই চিন্তার সাথেও যুক্ত হয়েছে একটা টার্ম- ‘মুক্তচিন্তা’। চিন্তা সংকীর্ণ হতে পারে, সুদূরপ্রসারী হতে পারে, শুদ্ধ কিংবা অশুদ্ধ হতে পারে, কিন্তু সে চিন্তা কি মুক্ত হতে পারে? যদিও হয়, এর সাথে শুদ্ধাশুদ্ধির কোনো সম্পর্ক আছে কি? মুক্তচিন্তা কি শুধুই সত্যের পথ দেখায়? নাকি মরীচিকার পেছনেও হাঁকিয়ে নিয়ে যায়? গ্রন্থকার এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন মলাটবদ্ধ পাতাগুলোতে। বলা যায়, মুক্ত মনে মুক্তচিন্তার এক সাবলীল ব্যবচ্ছেদের নাম ‘মুক্তচিন্তা ও ইসলাম’ গ্রন্থ।
বিশ্বাসীদের মা (হার্ডকভার) - উম্মুল মুমিনিনের জীবনী থেকে আমাদের পাথেয় নবিজির সম্মানিতা স্ত্রীগণ কেমন ছিলেন? কেমন ছিল নবিজির পারিবারিক জীবন? বয়স, মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা কিংবা আচরণের ভিন্নতা সত্ত্বেও তাঁরা কীভাবে নবিজির জীবনকে পূর্ণতা ও প্রশান্তিতে ভরিয়ে রেখেছিলেন? এই মহীয়সী পূত স্ত্রীগণের জীবনচরিত আজকের দিনেও কেন আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক? শাইখ ইয়াসির ক্বাদি ‘Mothers of Believers’ নামের এক ধারাবাহিক লেকচার সিরিজে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন; যা আমরা বিশ্বাসীদের মা শিরোনামে বাংলায় আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি।
পৃথিবীতে মানব সন্তানদের ক্রমবিকাশের প্রথম পর্যায় থেকেই কলহ চলমান। যুদ্ধ-বিগ্রহ করেই মানব অস্তিত্ব টিকে আছে সুখের আশায়। অন্ধকার সময়কে পেছনে রেখে পৃথিবীকে মানুষ করেছে অতি আধুনিক। সময়ের তালে ভূ-পৃষ্ঠের সকল অন্যায়কে অপরাধ বলতে শিখেছে মানুষ। মানুষের অধিকারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতিসংঘসহ নানান মানবাধিকার সংগঠন। তারপরও এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত হচ্ছে নিগৃহীত। পৃথিবীর সর্বত্র নিগৃহীত সেইসব মানুষদের একটাই পরিচয়, তারা মুসলমান। ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মীর-আফগানিস্তান-ইরাক-লিবিয়া-সুদান-বসনিয়া-চেচনিয়া-ইয়েমেন থেকে আরাকানে ধ্বনিত হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাহাকার। কিন্তু কেনো এই মানুষগুলোর এই মানুষগুলোর ওপর এত নিপীড়ন-নির্যাতন? রোহিঙ্গাদের ওপর কেনো নেমে এলো এই নির্মম নির্যাতন? এই প্রশ্নের উত্তর এবং ব্যাখ্যা নিয়ে লেখক আসাদ পারভেজ রচনা করেছেন ‘নাফ নদীর ওপারে’ বইটি। এই গবেষণা এবং অনুসন্ধানমূলক ‘নাফ নদীর ওপারে’।
রিল্যাক্স অ্যান্ড হ্যাপি (হার্ডকভার) - দুশ্চিন্তাহীন নতুন জীবনের খোঁজে: রূপকথার সেই সুখী মানুষের জামা সত্যিই কখনো পাওয়া গিয়েছিল কি না আমরা জানি না। শুধু জানি, এখন পর্যন্ত মানুষের সুখের অন্বেষণ থেমে যায়নি। কিন্তু যে সুখের জন্য এত আয়োজন, সেই সুখপাখি বন্দি করার স্বপ্ন এই জীবনে কজনেরই-বা পূরণ হয়! উলটো সেই পাখি ধরার রেসে মানুষ পরিণিত হয় ঘোড়াতে। তখন জীবন আর জীবন থাকে না; জীবন হয়ে যায় রেসের ময়দান। এই বইটি এসেছে আপনাকে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দিতে। আপনাকে অদরকারি প্রতিযোগিতার পেরেশানি থেকে মুক্তি দিয়ে প্রকৃত সুখের মঞ্জিলে পৌঁছে দিতে। অস্থির এই সময়ে নিজের জীবনে স্বস্তির পরশ বোলাতে আপনি প্রস্তুত তো?
স্পেনের বিধ্বস্ত জনপদে নতুন করে গজাচ্ছিল চারাগাছ। ঠিক সেই মুহুর্তে এলো এক ভয়ংকর বিপর্যয়। ছুটে এলো আহমদ মুসা। আর এদিকে ফাঁদ যেন পাতাই ছিল। নিষ্ঠুর এক শত্রুর জালে পাকা ফলের মতো পড়ে গেল সে। শুরু হলো সংঘাত। একদিকে লাল রক্তের হৃদয়হীন তৃষ্ণা আর অন্যদিকে হৃদয় দেওয়া-নেওয়ার রোমাঞ্চকর দ্বন্দ্ব। এর মধ্য দিয়েই চলছে আহমদ মুসার মিশন। কিন্তু গোয়াদেল কুইভারের অশ্রুতে সেই মিশন কি পিছলে পড়বে? ক্লু-ক্ল্যাক্স-ক্ল্যান মাদ্রিদে মুসলমানদের নতুন অস্তিত্ব এবং স্পেনের স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে মজলুম মরিসকোরাও জেগে উঠেছে। নিউ ফ্যালকন অব স্পেনের আশাদীপ্ত উত্থান হলো। মুসলিম আন্দালুসিয়ার বিরান প্রান্তরে গোয়াদেল কুইভারের তীরে কি শুরু হচ্ছে আরেকটি পরিবর্তন? কে জিতবে এই পরিবর্তনের লড়াইয়ে? মরিসকো বিজ্ঞানী জোয়ান ও জেনকে নিয়ে চলা ঘটনার শেষ কোথায়? আহমদ মুসা কি মরিকোদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছিল? গোয়াদেল কুইভার কি নতুন রাত উপহার দিতে পারবে? স্পেনের মিশন শেষ না হতেই সিংকিয়াং-এ নতুন এক খেলা শুরু হলো। রেড ড্রাগন ও ফ্র-এর খপ্পরে সিংকিয়াং গভর্নর। মুসলমানদের ওপর আবারও শুরু হয়েছে নির্যাতন ও নিপীড়ন। বন্দি হলো আহমদ মুসার স্ত্রী মেইলিগুলি। ছুটল আহমদ মুসা। বন্দি হলো তাদের হাতে। আহমদ মুসাকে বাঁচাতে গুলিবিদ্ধ হলো মেইলিগুলি। তারপর...
বইটি একটি খোলা জানালা। কেউ নির্বিঘ্নে, নিষ্কলুষ মন নিয়ে বইটি পড়তে বসলে মানব-ভ্রুণের অসাধারণত্বের আলাপ খুঁজে পেয়ে পুলকিত হবেন। ইতিহাসের নিশ্ছিদ্র পাঠ পেয়ে চমকে যাবেন। স্রষ্টার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। নির্বিঘ্নে কুরআনকে ভাষাতত্ত্ব, কিরাত, সিরাত, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, সমাজনীতি, ইতিহাসের পাতায় পাতায় রেখে, এমনকী আবেগের গভীরে নাড়া দিয়ে অনুসন্ধানী গবেষকের মনকে কিছুটা হলেও পরিতৃপ্ত করার চেষ্টা করেছে, আর জাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এই মহাপ্রভাবশালী কিতাব ও তার স্রষ্টার ব্যাপারে জ্ঞানতৃষ্ণা।
ফুটস্টেপস অব প্রোফেট ﷺ (হার্ডকভার) - মহানবি মুহাম্মাদ ﷺ-এর জীবন থেকে নেওয়া মহান শিক্ষা। মানবেতিহাসের মহানায়ক মুহাম্মাদ ﷺ-এর জীবন ছিল এমন এক মহাসমুদ্র, যেখান থেকে মণি-মুক্তা সন্ধানের কাজ চলতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। সমকালীন দুনিয়ার প্রখ্যাত স্কলার ড. তারিক রমাদান তাঁর ফুটস্টেপস অব প্রফেট গ্রন্থে খুব সংক্ষেপে এ মহামানবের জীবনকে একটু ব্যতিক্রমী ঢঙে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর জীবনের খুঁটিনাটি ঘটনাপ্রবাহ নয়; তিনি ফোকাস করেছেন তাঁর রেখে যাওয় সেই সব শিক্ষার ওপর, যা সচরাচর আলোচিত হয় না এবং যা সময়ের সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়ে যুগ-যুগান্তরের মানুষের কাছে মহামূল্যবান পাথেয় হিসেবে উপস্থিত হয়। ফুটস্টেপস অব প্রফেট রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর একটি ব্যতিক্রমী জীবনীগ্রন্থ। নবিজীবনের ফুটস্টেপগুলো থেকে নিংড়ে বের করা কালোত্তীর্ণ শিক্ষার নির্যাস গ্রন্থটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
বিজয় হেসে-খেলে আসে না। এলোপাতাড়ি কর্মে বিজয়ের দেখা মেলে না। মাতাল উদ্ভট উটের পিঠে চড়েও বিজয় আসে না। বিজয় এত সহজ ব্যাপার না যে হাত বাড়ালেই কাছে চলে আসবে! বিজয়ের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি, পথ-পদ্ধতি আছে। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনে তার বর্ণনা দিয়েছেন। বান্দাদের সতর্ক করেছেন। নিয়ম-নীতি ও কৌশল মেনে চলার প্রতি জোর দিয়েছেন।
এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী ও আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনোয়ার ইবরাহিমের আদর্শিক চিন্তাভাবনা আদতে কেমন? এশিয়ার ভূ-রাজনীতি নিয়ে গত কয়েক দশকে তিনি কীভাবে তার চিন্তা-কাঠামোকে উপস্থাপন করেছেন? তার চোখে দেখা এশিয়া কেমন? ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রকাশিত 'The Asian Renaissance' গ্রন্থে তত্কালীন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বৃহদার্থে সহিষ্ণুতা, উদারতা ও বহুবৈচিত্রের এশিয়ার জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। আলোকোজ্জ্বল, নিখুঁত চিত্রের এবং চিন্তা জাগানিয়া এসব প্রবন্ধ সংকলন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাজনীতিকে বুঝতে সহযোগিতা করবে এবং পাঠক মনে পরিবর্তনের স্পৃহা জাগিয়ে তুলবে।
সংগীত মানেই প্রাণের কথামালা। ইসলামি সংগীত মানেই বিশ্বাসী প্রাণের অনুরণন। ইসলামের মৌলিক ধর্মীয় বিশ্বাসকে উপজীব্য করে সুরের পরশ দিয়ে রচিত হয় এক একটি গান। লাখো হৃদয়ে তা এক অন্যরকম ব্যাঞ্জনা তৈরি করে। আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাসী চেতনার চাষাবাদ করেছেন প্রতিটি লিরিকের অক্ষরে অক্ষরে। এই প্রজন্মের তরুণরাও অসাধারণ কিছু গান তৈরি করেছে। প্রবীণ-নবীণদের অসংখ্য লিরিক থেকে আমরা ১০০০ গান বাংলাভাষী পাঠকদের সামনে উপস্থপন করছি। এই গ্রন্থের বড়ো বিশেষত্ব হলো- অধিকাংশ গানেই QR CODE রয়েছে; যা আপনাকে সরাসরি ইউটিউবে নিয়ে গান শুনাবে। চলুন, হাজার গানে হৃদয়ের স্বরলিপি আঁকি।
শেষ পর্যন্ত মধ্য এশিয়ার পরমাণু বিজ্ঞানী নভিয়েভকে বাঁচাতে পারল না আহমদ মুসা। ভয়ংকর এক রুশ ষড়যন্ত্র মধ্য এশিয়ার মুসলিম প্রজাতন্ত্রকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে। আহমদ মুসা কিছুতেই ওদের গায়ে হাত দিতে পারছে না। কেন তাদের এই ষড়যন্ত্র? কী চায় তারা? কেন এই কালো মেঘ? হঠাৎ করে সামনে চলে আসলো রুশ কন্যা এলেনা ও তাতিয়ানা। শুরু হলো গ্রেট বিয়ারের সঙ্গে আহমদ মুসার সংঘর্ষ। ‘ব্লাক ক্রস’ ক্রুসেডের মতোই নানা জায়গায় ছোবল মারছে। তারই একটা ছোবল গিয়ে পড়ল ক্যামেরুনে, ক্যামেরুন থেকে ফ্রান্সে। ওমর বায়ার সন্ধানে গিয়ে সংঘাতের মুখোমুখি হলো আহমদ মুসা। এই সংঘাত একজন ব্যক্তি বনাম একটি সন্ত্রাসী সা¤্রাজ্যের। ঊর্মিমালার মতো একের পর এক সংকট ঘিরে ধরেছে আহমদ মুসাকে। কী করবে সে? ওমর বায়া কি বাঁচতে পারবে? প্রমাণ হাতে নিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী একটি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য একাই অগ্রসর হলো আহমদ মুসা। শুরু হলো ক্রস এবং ক্রিসেন্টের সংঘাত। এদিকে আফ্রিকায় অন্ধকারের আড়ালে চলছে ভয়ানক ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র আফ্রিকার পশ্চিম উপক‚ল ছাড়িয়ে গ্রাস করেছে দক্ষিণ ক্যামেরুনকে। ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে রয়েছে কিংডোম অব ক্রাইস্ট (কোক)। আর কোক-এর পেছনে রয়েছে খ্রিষ্টান জঙ্গি সংগঠন ওকুয়া। ষড়যন্ত্র রোধ করতে এগিয়ে আসে আহমদ মুসা। লক্ষ্য শুধু ওমর বায়া এবং ড. ডিফরেজিসের মুক্তি নয়; লাখো মানুষ।
মানুষ স্বপ্ন দেখে প্রতিনিয়ত। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে পুরো জীবন অতিবাহিত করে। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে কেউ জীবনের প্রতিটি স্তর সৌখিনতায় সাজিয়ে তোলে। আবার কেউ-বা শুধুই দুবেলা পেট ভরে খাবার খেতে পাওয়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দুটোই, কিন্তু পার্থক্য বিশাল। প্রত্যেকটা স্বপ্নই যার যার কাছে অনেক বড়ো। সেই স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে আসে কেউ অসংখ্য বাধা অতিক্রম করে। আবার কেউ-বা বাধাহীনভাবে স্বপ্ন পূরণ করে অবলীলায়। পৃথিবীর হাজারো পথ-পরিক্রমার মধ্যে দিয়ে কিছু ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘কয়েকটি গল্প’।
ব্যাপক বিপর্যয়ে ক্ষ্যাপা কুকুর হয়ে উঠেছে ব্লাক ক্রস। জ্বলে উঠেছে তাদের হিংসার লেলিহান শিখা। তারই একটি স্ফুলিঙ্গ আঘাত হানল আফ্রিকার গভীরে। এক সেমিনার থেকে কিডন্যাপ করা হলো বিশ্ব বরেণ্য কয়েকজন মুসলিম নেতাকে। সবাই জানে তারা মৃত কিš‘ বাস্তবে তারা পণবন্দি হলো কঙ্গোর কালো বুকে। আহমদ মুসা আত্মসমর্পণ করলেই মিলবে মুক্তি। এবার কী করবে সে? আত্মসমর্পণ নাকি উদ্ধার? একের পর এক মুসলিম সাংবাদিক মরছে ফ্রি ওয়াল্ড টিভি এবং ওয়ার্ল্ড নিউ এজেন্সির। মৃত্যুর কারণ সি সি মাছির আড়ালে ভয়ংকর প্রাণীজ বিষ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা জেনেভায়। আফ্রিকা থেকে আহমদ মুসা ছুটল সুইজারল্যান্ডে। দেখতে পেল এক কালো থাবা। ঘটনাচক্রে রুশ কন্যা তাতিয়ানার আবির্ভাব। তাতিয়ানার দেওয়া দায়িত্ব ক্যাথেরিনের সন্ধান করতে গিয়ে ভয়াল এক চক্রের মুখোমুখি হলো আহমদ মুসা। হিংস্র গ্রেট বিয়ার, রুশ সরকার এবং ফরাসি পুলিশের বহুমুখী সংঘাতের মধ্যে পড়ল সে। সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ক্যাথেরিনের কাছে পৌঁছতে হবে তাকে। কিন্তু কীভাবে? ছুটতে হলো মস্কোতে। অসম্ভব এক মিশন। এই অসম পরিস্থিতিতে হারিয়ে যায় ডোনা জোসেফাইন। এদিকে আটলান্টিকের ওপাড় থেকে অসহায় বালিকা লায়লা জেনিফার আর্তনাদ। ক্যারিবিয়ানর টার্কস দ্বীপপুঞ্জে কমে যাচ্ছে মুসলিম পুরুষের সংখ্যা। কেন? ছুটল আহমদ মুসা। লুকানো এক অশ্রু সাগরের ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের আবর্তে জড়িয়ে পড়ল সে। এ যেন এক রহস্য, রোমান্স, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের নতুন অধ্যায়।
আহমদ মুসা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক প্রচণ্ড বিদ্রোহের নাম, একজন লড়াকু বীর সৈনিক। অন্ধকার ভেদ করে আলো খুঁজে ফেরেন জনপদ থেকে জনপদে। মুক্তির মিছিল নিয়ে ছুটতে থাকেন ক্লান্তিহীন। সীমানার সীমাবদ্ধতা পেড়িয়ে তিনি একজন বিশ্ব নাগরিক। কখনো সামষ্টিক লড়াই, কখনো দুঃসাহসী একক অভিযানে জুলুমের বিষদাঁত উপড়ে ফেলেন। চ্যালেঞ্জ, ঝুঁকি, ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে মঞ্জিলপানে অবিচল আহমদ মুসাকে হামেশাই আবেগ, ভালোবাসা, রোমাঞ্চ এসে এক মায়াবী দুনিয়ার মুখোমুখি করে। তবুুও দুর্নিবার এগিয়ে চলেন মুক্তির পতাকাবাহী আহমদ মুসা। এ এক শিহরণ জাগানিয়া সফর!