ওরা তিন বন্ধু–রবার্ট, গোটফ্রীড, ওটো; প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিন সৈনিক। প্যাট্রিসিয়া–দুঃসাহসী এক মেয়ে। কার্ল–লক্কড়মার্কা চেহারার তেজি এক রেসিংকার। যুদ্ধোত্তর জার্মানীর চরম দুঃসময়ে সুখে-দুঃখে একসাথে এরা সবাই। এ-উপন্যাস সম্পর্কে পত্র-পত্রিকার মন্তব্য: পূর্ববর্তী উপন্যাসগুলোর চেয়েও উৎকৃষ্ট। –নিউজ উইক এটি সম্ভবত এই লেখকের সবচেয়ে কোমল, অনুভূতিময় এবং মর্মস্পর্শী উপন্যাস। …আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভালবাসার গল্প। –নিউ ইয়র্ক টাইমস
এরিক মারিয়া রেমার্ক-এর কোথায় স্বর্গ রূপান্তর: ইসমাইল আরমান গল্পটা গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের। যে-বয়সে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনায় ভেসে যাবার কথা, সে-বয়সেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে দেশ থেকে বিতাড়িত হলো লুদভিগ কার্ন। পরিণত হলো নাগরিকত্বহীন এক ভাসমান রিফিউজিতে, ইয়োরোপের কোনও দেশে যাদের ঠাঁই নেই। শুরু হলো ওর পলায়নপর ভাসমান জীবন। একে একে বন্ধু জুটল, শত্রু জুটল, আর এল প্রেম। নিজ চোখে মানুষের শঠতা আর নিষ্ঠুরতা দেখল ও, একই সঙ্গে দেখল নিঃস্বার্থ ত্যাগ আর সহযোগিতার দৃষ্টান্তও। ধীরে ধীরে বুঝল কার্ন, জীবন কখনও থেমে থাকে না, চরম প্রতিকূলতার মাঝেও টিকে থাকে মানুষ যুদ্ধ করে। মাটির পৃথিবীতেই তারা গড়ে নেয় স্বর্গ।
জার্মানি-১৯৪৫; মেলার্ন বন্দিশিবির। জীবন এখানে কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দি। যুদ্ধের ঘূর্ণাবর্তে আটকা পড়া মানুষের জীবনে আর কী-ই বা অবশিষ্ট থাকে? কী-ই বা বাকি থাকে আশা, ভালবাসা, আপনজন-সব হারানো মানুষের জীবনে? থাকে… কেবল একটুখানি প্রাণের স্ফুলিঙ্গ… আর অদম্য প্রতিশোধ-স্পৃহা। মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়েও তাই দাঁতে দাত চেপে এই বন্দিরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সমস্ত অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। প্রাণপণে আঁকড়ে ধরেছে জীবনের শেষ স্ফুলিঙ্গ।