হার্ড টাইম্স্: যান্ত্রিক শহর কোকটাউন। সত্য আর ন্যায় এখানকার চালিকাশক্তি। মানুষের সুকুমার মনোবৃত্তির কোন স্থান এখানে নেই। কিন্তু শহরের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আসলে কতটা সত্যবাদী আর ন্যায়নিষ্ঠ? ক্যাপ্টেন গ্র্যাণ্ট’স চিলড্রেন:সাগরে ধরা পড়ল প্রকা- হাঙর। হাঙরের পেটে মিলল এক বোতল। ওটার ভেতরে পাওয়া গেল বার্তা। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনটি ভাষায় এস.ও. এস. পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন গ্র্যাণ্ট। স্বদেশী ক্যাপ্টেনের খোঁজে, জাহাজ নিয়ে সদলবলে বেরিয়ে পড়লেন লর্ড এডওয়ার্ড। শুরু হলো রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চকর অভিযান। হেইডি:পাঁচ বছরের এতিম মেয়ে হেইডি। খালার কাছে মানুষ। ওকে পাহাড়ে দাদুর কাছে রেখে এল খালা। দাদু অসামাজিক, অমিশুক। পরে আবার খালা এসে হেইডিকে নিয়ে গেল ফ্র্যাঙ্কফুর্ট শহরে। ওখানে কী-কী ঘটল? নিজের সুখ-দুঃখময় জীবনে কীভাবে মানুষকে মায়ার বাঁধনে বাঁধল ছোট্ট, নিষ্পাপ মেয়েটা?
আ টেল অভ টু সিটিজ প্যারিস ও লণ্ডন-দুই নগরীর কাহিনি নিয়ে এই বিশ্ববিখ্যাত বই। অভিজাত শ্রেণীর অনাচার ও অত্যাচারে বীতশ্রদ্ধ তাদেরই একজন, চার্লস এভরেমঁদে, ফ্রান্স থেকে চলে এসেছে ইংল্যান্ডে। এরপরেই ঘটল ফরাসী বিপ্লবের। অভিজাতদের ধরে ধরে চড়ানো হচ্ছে গিলোটিনে। এমনি সময়ে চিঠি এল, সে না ফিরলে ফাঁসী হয়ে যাবে চার্লসের এক নিরপরাধ কর্মচারীর। কাউকে কিছু না বলে ফ্রান্সে ফিরে এল এভরেমঁদে। কিন্তু প্যারিস পৌছবার আগেই ধরা পড়ে গেল বিপ্লবীদের হাতে। এবার? টম জোনস পালক পুত্র টম জোনসকে ভারি ভালবাসেন মি, অলওয়ার্দি। টমও তাঁকে সাঙ্ঘাতিক শ্রদ্ধা করে। কিন্তু মুশকিল হলো, একটা না একটা ঝামেলা সব সময় বাধিয়েই রাখে টম। তার দুরন্তপনায় লোকে অতিষ্ঠ। ভাগ্নে ব্লিফিলের প্ররোচনায় মি. অলওয়ার্দি একদিন বাড়ি থেকে বের করে দিলেন টমকে। অকূল পাথারে পড়ল টম। কারণ, ইতোমধ্যে সে প্রতিবেশীর কন্যা সোফিয়া ওয়েস্টার্নকে ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু ওর মত এক কপর্দকহীন যুবকের কাছে কিছুতেই মেয়ের বিয়ে দেবেন না সোফিয়ার বাবা। তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে চান মি, অলওয়ার্দির ভাগ্নে ব্লিফিলের সঙ্গে। কিন্তু এ বিয়েতে সোফিয়ার বিন্দুমাত্র মত নেই। কী করে ঠেকাবে সে ব্লিফিলকে? কিংকং বিখ্যাত চিত্রপরিচালক ডেনহ্যাম তাঁর দর্শকদের ভিন্নধর্মী অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা উপহার দেয়ার জন্য চলে এলেন ‘খুলি দ্বীপ’ নামে সুমাত্রার এক প্রাগৈতিহাসিক দ্বীপে। ওই দ্বীপে বাস করে এক মহাদানব-কিংকং। একে নিয়েই ছবি বানানোর পরিকল্পনা করেছেন ডেনহ্যাম। কিন্তু মূর্তিমান আতঙ্কটির হাতে বন্দি হলো ছবির নায়িকা অ্যানডোরা। জীবনবাজি রেখে অ্যানডোরাকে শুধু উদ্ধারই নয়, কিংকংকে কৌশলে নিউ ইয়র্কে ধরে নিয়ে এলেন দুঃসাহসী ডেনহ্যাম। তারপর? সে এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনি।
সুইস ফ্যামিলি রবিনসন জোহান ওয়েস/নিয়াজ মোরশেদ প্রবল ঝড়ে ডুবো পাহাড়ের ধাক্কায় দু’টুকরো হয়ে গেল জাহাজ। নৌকা নামিয়ে চলে গেল নাবিকেরা। ওদের অজান্তেই জাহাজে রয়ে গেল ছোট চারটি বাচ্চাসহ এক পরিবার। ঝড় গামার পর ছোট্ট এক নির্জন দ্বীপে উঠল ছ’টি প্রাণী। শুরু হলো বেঁচে থাকার সংগ্রাম ব্রিক হাউজ চার্লস ডিকেন্স/কাজী শাহনূর হোসেন জার্নডিস অ্যান্ড জার্নডিস কেস বহু বছর ধরে ঝুলে রয়েছে আদালতে। এই মামলার অন্যতম দাবিদার যুবক রিচার্ড কারস্টোন। অ্যাডা নামে সুন্দরী এক মেয়েকে ভালবাসে সে। কিন্তু আদালতের চক্করে পড়ে ত্রাহি অবস্থা বেচারার। ওদিকে, অ্যাডার প্রিয় বান্ধবী, মিষ্টি মেয়ে এসথার যাকে মনে মনে ভালবেসেছে, তাকে কি কোনদিন আপনার করে পাবে সে? স্বপ্ন যখন ভেঙে খানখান তখন কে এসে পাশে দাঁড়াল ওর? আওয়ার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড চার্লস ডিকেন্স/কাজী শাহনূর হোসেন বুড়ো জন হারমন একমাত্র ছেলের জন্যে প্রচুর টাকা রেখে মারা গেলেন। কিন্তু উইলে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি। ছেলেকে তাঁর পছন্দ মত মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। নইলে সমস্ত সম্পত্তি তার বেহাত হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ অচেনা এক মেয়েকে বিয়ে করতে মন সরল না তার। অভিনব এক পরিকল্পনা আঁটল সে। কিন্তু তার পরিকল্পনায় যে রহস্যের এত প্যাচ পড়লে তা কি জানত ও?
গ্রেট এক্সপেকটেশানস গ্রামের কিশোর পিপ। আকস্মিকভাবে অসীম সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল ওর সামনে, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তার সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিতে চাইল তার নামে; শর্ত একটাই: ভদ্রলোক হতে হবে পিপকে। লণ্ডনে চলে এল পিপ। ঘনিষ্ঠতা হলো অপরূপা এস্টেলার সাথে। অবশেষে পিপ জানতে পারল তার সম্পত্তিদাতার পরিচয়। যে সম্ভাবনার সৌধ সে গড়েছিল মনে মনে, এক নিমিষে ধূলিসাৎ হয়ে গেল তা। ডেভিড কপারফিল্ড ডেভিড কপারফিল্ড। চার্লস ডিকেন্স-এর অমর সৃষ্টি। জন্মের আগেই পিতৃহারা মা-কে হারায় মাত্র দশ বছর বয়সে। অসহায় শিকার হয় নিষ্ঠুর সৎ-বাবার অত্যাচারের। চরম দুঃখ-কষ্টের মধ্যে কাটে তার শৈশব। তবু সে হার না মেনে লড়তে থাকে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য। সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কীভাবে সে উপনীত হবে পূর্ণ সুখ ও শান্তির সোনালী মঞ্জিলে? দ্য জাঙ্গল বুকস্ ঝোপের মাঝে লুকিয়ে বসে আছে কালো একটা ন্যাংটো ছেলে। এখনও ভালভাবে হাঁটাই শেখেনি সে। যে নেকড়ে-মা তাকে লালন করছে সে তার নাম দিয়েছে-মৌলি। বলেছে, জঙ্গলে থাকতে হলে জঙ্গলের আইন মেনে চলতে হবে। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে মৌগলি। তাকে খাওয়ার জন্যে ঘুর-ঘুর করে ক্ষুধার্ত বাঘ। কিন্তু শক্ত পাহারা দিয়ে রাখে অন্যান্য জন্তুরা। অপূর্ব একটি বই।