জিম কলিন্স এর অনেক বছরের গবেষণার ফল গুড টু গ্রেট। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে একটা মেডিওকার কম্পানি গ্রেট হয়। কিভাবে গ্রেট হওয়া সম্ভব হয়েছে? যেকোনো কম্পানি চাইলেই কি গ্রেট হতে পারবে? কিছু কম্পানি সারাজীবন গুড থাকে। মানে তারা ভালো থেকে আর উপরে উঠতে পারে না। গুড থেকে গ্রেটে পরিণত হওয়া তো সবার পক্ষে সম্ভবও না। একটা কম্পানি তার প্রতিযোগী আর জেনারেল মার্কেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকলে কোনোদিনও গ্রেট হতে পারবে না। নাইটিজে, কলিন্স এবং তার দলের গবেষকেরা এইসব উত্তর খুঁজে খুঁজে বের করেন, আসলে কিভাবে গুড থেকে কম্পানিগুলো গ্রেট হয়েছে। প্রথমত, তারা বের করেছে মেডিওকার কম্পানি কেমন এবং গ্রেট কম্পানি কেমন। তারা কখনও গ্রেট কম্পানিগুলো নিয়ে ঘাটাতে চান নি কারণ সেগুলো গ্রেটই থাকবে। তিনি চেয়েছেন অন্যদের নিয়ে কাজ করতে। মূলত, তিনি চেয়েছেন এভ্যারেজ একটা কম্পানি কিভাবে হঠাৎ করেই শেয়ার মার্কেট দখল করে ফেলেন। এবং গ্রেটে পরিণত হয়। গ্রেট রেজাল্ট পাওয়ার জন্য একটা কম্পানিকে অবশ্যই ১৫ বছর একইভাবে এবং একনিষ্টভাবে কাজ করে যেতে হবে। যারা ১৫ বছর স্টক মার্কেট দখল করে আছে মানে ১৫ বছরে অন্তত ৭ বার তারাই বেটার পজিশনে চলে যায়। যেমন: কোকাকোলা, জিই, ইনটেল ইত্যাদি। ৫ বছর গবেষণায় তারা ২৮টি কম্পানির ইতিহাস ঘেটেছে। অনেক তথ্য-উপাত্ত যোগার করতে হয়েছে। এবং তারা সফল হয়েছে।
নান্দনিক উপস্থাপনা ও সাফল্য লাভের উপায় - তরুণ প্রজন্মের উৎকর্ষতার লক্ষ্যে: অধ্যায় : ১ নান্দনিক উপস্থাপনা ও কথা বলার সুকৌশল কি? নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা রোমাঞ্চ সৃষ্টিকারী ভাব ইতিবাচক চিন্তা জাগিয়ে তোলা প্রভাব বিস্তার করা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা বলা সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত শ্রোতা দর্শকদের ধরে রাখা শ্রোতা দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করা অধ্যায় : ২ নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে উপস্থাপনা কীভাবে শুরু করবেন? কেমন উপস্থাপক হতে চান? মঞ্চে বক্তৃতা বিবৃতি যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জ্ঞান অধ্যায় : ৩ শ্রোতা বা দর্শকদের মন জয় করার কৌশল জানতে হবে শ্রোতাদের হাসিমুখে প্রাণের কথা বলুন ভালো কাজের প্রশংসা করুন শ্রোতাদের আপনজন হয়ে উঠুন নিন্দনিয় বাক্য উচ্চারণ করবেন না
উত্তরণ (হার্ডকভার) - আল্লাহর গুণগান এবং সমাজের বাস্তবতা ভিত্তিক কাব্যগন্থ: আসসালামু আলাইকুম, কবিতা নদীর তীরে নতুন এক ছাত্র আমি, সবেমাত্র কবিতার বর্ণমালা শিখছি। আর এই শেখার প্রারম্ভেই আমার কাছে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কবিতার প্রতি মানুষের অনীহা। যে কবিতা মনের ভাব প্রকাশ করে, যে কবিতা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, যে কবিতা কপাট ভাঙ্গতে জানে, আমরা শুধু সেই কবিতাকে নগ্ন কবিতা বলেই জানি। আমরা জানি না যে এই কবিতার মাধ্যমেই রবের গুণগান গাওয়া যায়। আমার নিকটস্থ এই সমস্যা হয়ত আমার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয় তবে মনের কিছু অব্যক্ত চরণদ্বয়ের মাধ্যমে একটি প্রতিবাদ লিপি ঠিকই লেখা যায়। যেখানে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ হবে, সত্যের গুণগান হবে এবং বুঝানাে হবে কবিতা আসলে কি। কবিতার ভালােবাসাটা আসলে কি? কবিরা আসলে কেমন। এই সকল চিন্তা-ভাবনা থেকেই আমি লিখেছি আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ ‘উত্তরণ'। যার পাতায় আমি পাঠকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা দিতে যাচ্ছি। যেখানে থাকবে রবের গুণগান সহ সমাজের বাস্তবতাকে তুলে ধরার মতন কিছু চরণ যাতে করে কিছু মানুষ উপকৃত হতে পারে এবং সহজেই বুঝতে পারে সত্যটা আসলে কি। আর উন্নয়নের পথটাই বা কি হবে। আমি মনেকরি এক আরিফ আজাদ যদি এতবড় ভূমিকা রাখতে পারে তবে আমি কেন নয়! আমিও আমার গন্ডিতেই সমাজ তথা দেশ তথা ইসলামের সত্য বলনে নিজের লেখার কলমকে এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে উৎসর্গিত করলাম। “লিখবাে আমি সত্যের দ্বারে " ফুটবে আলাের ঝর্নাধারা, মিথ্যেরা সব লুকিয়ে রবে, কলমেতে চলবে সত্যরা।” পরিশেষে এটাই বলব যে, এ লেখাই বইয়ের মূলভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ করে না, তবে আপনারা আগ্রহী হয়ে যদি আমার বইটি বিশ্লেষণ করেন এবং বইয়ের মূল কথন উপলদ্ধি করতে পারেন তবেই হবে সার্থকতার উত্তরণ'।
এই ছােট গ্রন্থটি (গভীর চিন্তা ও অভিজ্ঞতার ফসল) চিন্তাশক্তির বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখিত সামগ্রিক কোন প্রবন্ধ নয়। এটি বিশ্লেষণধর্মী নয়, বরং ইঙ্গিতমূলক; এর বিষয় হল‘তারা নিজেরাই নিজেদের তৈরি করে’ এই সত্যকে আবিষ্কার ও গ্রহণের জন্য পুরুষ ও নারীদেরকে উজ্জীবিত করা, যাতে তারা উৎসাহিত হয় ও বুঝতে পারে যে মন মানুষের চরিত্র ও পরিস্থিতি দুটোরই নির্মাতা এবং তারা জ্ঞান ও আনন্দের মাধ্যমে অজ্ঞতা ও কষ্টকে দুরে রাখতে পারে।
আনলিমিটেড মেমোরি - দ্রুত শিখতে উন্নত কৌশল ব্যবহার করুন স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে হোন পারদর্শী: স্মৃতিশক্তি' মানুষের জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যবহার চমকপ্রদ। জ্ঞানার্জন থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবনের যাবতীয় তথ্য আমরা মনে রাখি কেবল স্মৃতিশক্তির জোড়ে। স্মরণশক্তির একটা প্রভাব মেধার ওপর পরে। মেধাবী মানুষ মাত্রই তুখোড় স্মরণশক্তি সম্পন্ন। স্মৃতিশক্তি কম থাকলে সব কাজেই পিছিয়ে পড়তে হয়। একই কারণে ছোটো বয়স থেকেই অনেকে পিছিয়ে পড়ে। যার উদাহরণ আমরা দেখতে পাই ক্লাসের ছোটো ছোটো বাচ্চাদের মাঝেও। এসব মাথায় রেখে স্মরণশক্তিকে আরো ক্ষুরধার করার জন্য লেখক কেভিন হোর্সলি গবেষণা করে বের করেছেন বেশকিছু উপায়। পাঠকদের জন্য রচনা করেছেন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দুর্দান্ত সহায়ক এক বই 'আনলিমিটেড মেমোরি'। স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে আরো বেশি তথ্য ধারণ করার জন্য 'আনলিমিটেড মেমোরি' বেশ কার্যকরী একটা বই। বইটাতে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে আগের তুলনায় আরো বেশি তথ্য মনে রাখার এবং সেগুলো ধারণ করার সহজ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন লেখক। বর্ণনা করেছেন বেশকিছু কৌশল যা ব্যবহার করে খুব সহজেই ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারবে যে কেউ। ফলে আগের চেয়েও যেকোনো কিছু খুব সহজে ধারণ করা যাবে এবং তা মনেও থাকবে বেশিদিন। মানব মস্তিষ্ক এক হলেও, মানুষ ভেদে স্মৃতিশক্তি সবার এক থাকে না। কেউ কেউ খুব সহজে সবকিছু মনে রাখতে পারে, কেউবা পারে না। তবে সবার জন্যই এটা সহায়ক একটা বই। যা পাঠককে সহজেই পাঠ্যবস্তু অথবা যেকোনো তথ্য সব মনে রাখার কৌশল শেখাবে। লেখক কেভিন হোর্সলি সুকৌশলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা, কিভাবে তা কাজ করে, স্মরণশক্তি বাড়িয়ে অধিক তথ্য মনে রাখার সব উপায় তুলে ধরেছেন বইটিতে। হতাশ না হয়ে সঠিক উপায়ে এগিয়ে যাবার কথাটিও সচেতনভাবে বলেছেন তিনি। সেই সাথে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত জ্ঞানীগুণীর মূল্যবান সব উক্তি। যা পাঠককে করবে অনুপ্রাণিত। বিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট ম্যারিয়াস ভ্যালগিমোর বইটা সম্পর্কে বলেছেন : 'এই বইয়ের মাধ্যমে জীবনের সব উপাদান পাঠকের সামনে এনেছে কেভিন, যা জীবনকে বদলে দেবার মত। এই কথাটা আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, কারণ আমি বইটা পড়েছি এবং কৌশলগুলো নিজ জীবনে প্রয়োগ করেছি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করতে পারেন। যখন আপনি এসবের প্রয়োগ করবেন, আমি নিশ্চিত এতে কেবল আপনাদের স্মৃতিশক্তিই বাড়বে না, বরং জীবনেরও উন্নতি ঘটবে।'
ইউ আর আ ব্যাডঅ্যাস (হার্ডকভার) - হাউ টু স্টপ ডাউটিং ইয়োর গ্রেটনেস অ্যান্ড স্টার্ট লিভিং অ্যান অসাম লাইফ: কোনো সহায় সম্বল কিংবা কোনো উপায় থাকলেও তুমি শূন্য থেকেই শুরু করো। পথ একটা হয়েই যাবে। (রেভারেন্ড মাইকেল বের্নার্ড : মাদকাসক্ত থেকে) এসব হয়তো খুব সুন্দর কথা। তবে এসব আপ্তবাক্য, উদ্ধৃতি কিংবা মহাজন বাণীর কোনো মূল্য আমার কাছে কখনোই ছিল না। এধরনের কথাবার্তাকে স্রেফ আবর্জনা মনে হতো। এসব কথাবার্তা দিয়ে আসলে কোন ঘোড়ার ডিমটা বোঝানো হতো, তাও বুঝতে পারতাম না। তবে এর মানে এই নয় যে, আমি এসব কথা শুনে বিরক্ত হতাম। আসলে এসব কথাকে পাত্তাই দিতাম না আমি। আমার মনে কোনোই ভাবান্তর হতো না। নিজেকে নিজে সাহায্য করা/আধ্যাত্মিক জগৎ এসব সম্পর্কে আমার জ্ঞান ছিল শোচনীয়ভাবে কম। মনে হতো নৈরাশ্যবাদী আর হতাশাগ্রস্ত লোকেরাই এসব বিশ্বাস করে। তারা গির্জায় গিয়ে ধরনা দেয়। ভক্তির আতিশয্যে মাত্রাজ্ঞান হারায়। কিন্তু একজন অপরিচিত লোক আপনাকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরলে আপনি যেরকম অস্বস্তিকর অনুভূতিতে আক্রান্ত হতে পারেন, এসব কিছু আমার কাছে সেরকমই মনে হতো। ঈশ্বর নিয়েও আমার তেমন কোনো চিন্তা বা মাথাব্যথা ছিল না। একই সঙ্গে আমি যেভাবে আছি সেটাও ভাল লাগত না। আমি চাইতাম জীবনে পরিবর্তন আসুক। মনে হতো, চারপাশের ভণ্ডামি কিংবা ন্যাকামিগুলোর মূলোচ্ছেদ করতে পারলে সে পরিবর্তনটা হয়তো আসবে। আমি এমনিতে কিছু ভাল কাজ করতে পেরেছি। আমার কিছু প্রকাশিত বই আছে, ভাল কিছু বন্ধু আছে, একটা নিবিড় পরিবার আছে। আমি একটা ভাল অ্যাপার্টমেন্টে থাকি, গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াই। শক্ত দাঁতে ভাল করে চিবিয়ে খেয়ে স্বাদ অনুভব করার ভাল খাবার খাই। পরার জন্য ভাল পোশাক আশাক আছে এবং বিশুদ্ধ পানি খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারি। এ গ্রহের সিংহভাগ মানুষের চেয়ে ভাল অবস্থায় জীবন যাপন করি আমি। আসলে আমার জীবনটা মাখনের মতো স্বচ্ছ আর নরম।