নান্দনিক উপস্থাপনা ও সাফল্য লাভের উপায় - তরুণ প্রজন্মের উৎকর্ষতার লক্ষ্যে: অধ্যায় : ১ নান্দনিক উপস্থাপনা ও কথা বলার সুকৌশল কি? নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা রোমাঞ্চ সৃষ্টিকারী ভাব ইতিবাচক চিন্তা জাগিয়ে তোলা প্রভাব বিস্তার করা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা বলা সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত শ্রোতা দর্শকদের ধরে রাখা শ্রোতা দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করা অধ্যায় : ২ নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে উপস্থাপনা কীভাবে শুরু করবেন? কেমন উপস্থাপক হতে চান? মঞ্চে বক্তৃতা বিবৃতি যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জ্ঞান অধ্যায় : ৩ শ্রোতা বা দর্শকদের মন জয় করার কৌশল জানতে হবে শ্রোতাদের হাসিমুখে প্রাণের কথা বলুন ভালো কাজের প্রশংসা করুন শ্রোতাদের আপনজন হয়ে উঠুন নিন্দনিয় বাক্য উচ্চারণ করবেন না
এই ছােট গ্রন্থটি (গভীর চিন্তা ও অভিজ্ঞতার ফসল) চিন্তাশক্তির বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখিত সামগ্রিক কোন প্রবন্ধ নয়। এটি বিশ্লেষণধর্মী নয়, বরং ইঙ্গিতমূলক; এর বিষয় হল‘তারা নিজেরাই নিজেদের তৈরি করে’ এই সত্যকে আবিষ্কার ও গ্রহণের জন্য পুরুষ ও নারীদেরকে উজ্জীবিত করা, যাতে তারা উৎসাহিত হয় ও বুঝতে পারে যে মন মানুষের চরিত্র ও পরিস্থিতি দুটোরই নির্মাতা এবং তারা জ্ঞান ও আনন্দের মাধ্যমে অজ্ঞতা ও কষ্টকে দুরে রাখতে পারে।
আনলিমিটেড মেমোরি - দ্রুত শিখতে উন্নত কৌশল ব্যবহার করুন স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে হোন পারদর্শী: স্মৃতিশক্তি' মানুষের জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যবহার চমকপ্রদ। জ্ঞানার্জন থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবনের যাবতীয় তথ্য আমরা মনে রাখি কেবল স্মৃতিশক্তির জোড়ে। স্মরণশক্তির একটা প্রভাব মেধার ওপর পরে। মেধাবী মানুষ মাত্রই তুখোড় স্মরণশক্তি সম্পন্ন। স্মৃতিশক্তি কম থাকলে সব কাজেই পিছিয়ে পড়তে হয়। একই কারণে ছোটো বয়স থেকেই অনেকে পিছিয়ে পড়ে। যার উদাহরণ আমরা দেখতে পাই ক্লাসের ছোটো ছোটো বাচ্চাদের মাঝেও। এসব মাথায় রেখে স্মরণশক্তিকে আরো ক্ষুরধার করার জন্য লেখক কেভিন হোর্সলি গবেষণা করে বের করেছেন বেশকিছু উপায়। পাঠকদের জন্য রচনা করেছেন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দুর্দান্ত সহায়ক এক বই 'আনলিমিটেড মেমোরি'। স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে আরো বেশি তথ্য ধারণ করার জন্য 'আনলিমিটেড মেমোরি' বেশ কার্যকরী একটা বই। বইটাতে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে আগের তুলনায় আরো বেশি তথ্য মনে রাখার এবং সেগুলো ধারণ করার সহজ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন লেখক। বর্ণনা করেছেন বেশকিছু কৌশল যা ব্যবহার করে খুব সহজেই ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারবে যে কেউ। ফলে আগের চেয়েও যেকোনো কিছু খুব সহজে ধারণ করা যাবে এবং তা মনেও থাকবে বেশিদিন। মানব মস্তিষ্ক এক হলেও, মানুষ ভেদে স্মৃতিশক্তি সবার এক থাকে না। কেউ কেউ খুব সহজে সবকিছু মনে রাখতে পারে, কেউবা পারে না। তবে সবার জন্যই এটা সহায়ক একটা বই। যা পাঠককে সহজেই পাঠ্যবস্তু অথবা যেকোনো তথ্য সব মনে রাখার কৌশল শেখাবে। লেখক কেভিন হোর্সলি সুকৌশলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা, কিভাবে তা কাজ করে, স্মরণশক্তি বাড়িয়ে অধিক তথ্য মনে রাখার সব উপায় তুলে ধরেছেন বইটিতে। হতাশ না হয়ে সঠিক উপায়ে এগিয়ে যাবার কথাটিও সচেতনভাবে বলেছেন তিনি। সেই সাথে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত জ্ঞানীগুণীর মূল্যবান সব উক্তি। যা পাঠককে করবে অনুপ্রাণিত। বিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট ম্যারিয়াস ভ্যালগিমোর বইটা সম্পর্কে বলেছেন : 'এই বইয়ের মাধ্যমে জীবনের সব উপাদান পাঠকের সামনে এনেছে কেভিন, যা জীবনকে বদলে দেবার মত। এই কথাটা আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, কারণ আমি বইটা পড়েছি এবং কৌশলগুলো নিজ জীবনে প্রয়োগ করেছি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করতে পারেন। যখন আপনি এসবের প্রয়োগ করবেন, আমি নিশ্চিত এতে কেবল আপনাদের স্মৃতিশক্তিই বাড়বে না, বরং জীবনেরও উন্নতি ঘটবে।'
টাইম ম্যানেজমেন্ট - কার্যকরভাবে ব্যবসা করার জন্যে সময় ব্যবস্থাপনার পরামর্শক গাইড: এই বইটা আপনার সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারে আপনাকে সাহায্য করবে, এবং এর মধ্যে দিয়ে আপনার উৎপাদনশীলতা আর কার্যকারিতাও বাড়িয়ে তুলবে। এ বই পড়লে আপনি চিনে নিতে পারবেন কোন্ কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোন্টা কম, এবং অগ্রগণ্যতা বিবেচনায় কোন্ কাজটা আগে আর কোন্টা পরে করতে হবে। দক্ষ হয়ে ওঠা আর কার্যকর হয়ে ওঠার মধ্যেকার পার্থক্যের মূল্যায়ন করতে শিখবেন আপনি। আর সময় নষ্টকারী বিষয়গুলো এড়িয়ে গিয়ে কিভাবে সবচেয়ে জটিল কাজগুলোতে আপনার সময়কে নিবদ্ধ করা যায়, তার উপায়ও আপনি বের করে নিতে পারবেন এ বইয়ে অধীত জ্ঞানের মাধ্যমে। সূচিপত্র: লক্ষ্যকে দিকনির্দেশক বানাও তোমার ব্যক্তিগত কার্যকারিতার কম্পাস লক্ষ্য নির্ধারণ লক্ষ্যের শ্রেণীবিন্যাস লক্ষ্য বাছাই জরুরি-বনাম-গুরুত্বপূর্ণ নিয়ে উভয়সঙ্কট লক্ষ্যকে কাজে রূপ দেয়া একক লক্ষ্যগুলো সারসংক্ষেপ ২. তোমার সময় কীভাবে কাটাও ওটা কোথায় যায়? একটা কার্যসারণী বানাও এবং ব্যবহার করো কার্যসারণী বিচার-বিশ্লেষণ করো বিচার-বিশ্লেষণ থেকে পরিবর্তনে সারসংক্ষেপ ৩. সময় নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা কোন্টা আগে করা দরকার ভেবে শুরু করো হাতিয়ারের পূর্বপরিকল্পনা পূর্বপরিকল্পনা তৈরি করা করণীয়ের তালিকা বানিয়ে কাজ করা পূর্বপরিকল্পনা পদ্ধতিগুলোর দুর্বলতা সারসংক্ষেপ
দ্য অ্যালকেমিস্ট - জাদু আর জ্ঞানের পূর্ণ এক এ্যাডভেঞ্চার, মানুষের পরিপূর্ণতা পথে যাত্রার কাহিনি: দ্য অ্যালকেমিস্ট’ বইটির লেখকের কথাঃ পাওলো কোয়েলহো ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট ব্রাজিলে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক এবং গীতিকার। কোয়েলহো পড়াশোনা শেষ না করেই ১৯৭০ সালে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। মেক্সিকো, পেরু, বলিভিয়া, চিলি সহ ইউরোপ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়ান। তারপরই শুরু করেন লেখালেখি। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’ এ পর্যন্ত ৮০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং ১৫০ মিলিয়ন কপির অধিক বিক্রি হয়েছে। দ্য অ্যালকেমিস্ট’ এমন এক জাদুকরী বই যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। কোয়েলহোর লেখা কাব্যমণ্ডিত এবং বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি এ পর্যন্ত বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। পাওলো কোয়েলহোর লেখার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো তাঁর লেখা পড়ে গণমানুষ তার ভাগ্য পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা খুঁজে পায় । প্রচ্ছদ :: অমর্ত্য আতিক । অনুবাদকের পরিচিতিঃ রাকিবুল রকি ১৯৮৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন। আ. আউয়াল এবং রানু বেগমের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। পড়াশোনা করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। স্কুলে পড়াকালীন সময় লেখালেখি শুরু। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রয়েছে সমান পদচারণা। ইদানীং অনুবাদ সাহিত্যেও তার উপস্থিতি লক্ষণীয়। এই লেখকের অন্যান্য অনুদিত গ্রন্থগুলো হলো ‘কাজুও ইশিগুরোর গল্প’ এবং ‘দি পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাইন্ড। ফটোক্রেডিট :: মারজান আক্তার
থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো - মনের সাথে অন্তর্জ্ঞান সম্পর্কিত মাস্টারপিস আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার বই - বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: যদি প্রশ্ন করি কি ভাবছেন আপনি, সহজেই উত্তর দিতে পারবেন। কারণ আপনার বিশ্বাস মনের মধ্যে কি আছে, আপনি তা জানেন। অথচ সেটাই একমাত্র সত্য নয়। মনের মধ্যে হাজারো পথ ধরে বিচিত্র চিন্তা ঘুরে বেড়ায়। আর সেসব বুঝতে হলে আপনার জানার পরিধি আরেকটু বাড়িয়ে নিতে হবে। কেবল সেটাই বা বলবো কেন, চোখের সামনে আমরা যা দেখি, চট করে নিজের মতো বিচার করে ফেলি। অথচ আমরা বুঝতেই পারি না যে আপাতঃ গ্রাহ্য বিষয়ের সবটুকু একই রকম নয়। ভালোভাবে রোগ নির্ণয় করতে হলে একজন ডাক্তারের যেমন অনেক ধরনের রোগ সম্পর্কে জানতে হয়, ভাবনাকে সুবিচারের সাথে একই মঞ্চে দাঁড় করাতে হলে আপনাকেও জানতে হবে আপনি কিভাবে ভাবছেন। এটা অনেকটা রোগের প্রতি মনোযোগ দেয়ার মতই। আর মনস্তত্বের এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাইকোলজিষ্ট ড্যানিয়েল কাহনমান। সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত গবেষণার উজ্জ্বল নক্ষত্র অ্যামোস ভার্সকির মূল্যবান সঙ্গ কাহনমানের গবেষণাকে মর্যাদার উঁচু আসনে পৌঁছে দেয়। দীর্ঘ ১৪ বছরের গবেষণায় সমৃদ্ধ ‘থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো’ বইটিতে কাহনমান মানুষের ভাবনার প্রকৃতির সাথে অন্তর্জ্ঞানের একটি আনুপাতিক সম্পর্ককে পাকাপোক্ত করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, আমাদের দ্রুত ভাবনা যখন হাল ছেড়ে দেয়, তখন মন্থর ভাবনা রাশ টেনে ধরে। যুক্তি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। আর এরপর ...... নাহ্, বাকীটুকু জানতে হলে আজই কিনে নিন ড্যানিয়েল কাহনমান রচিত ‘থিংকিং, ফাস্ট অ্যান্ড স্লো’বইটি। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার সুচিন্তিত মতামত ও যুক্তিপূর্ণ বিচারশক্তি জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলবে।
হুকড - হাউ টু বিল্ড হ্যাবিট ফর্মিং প্রোডাক্টস: কীভাবে সফল কোম্পানিগুলো এমন সব পণ্য বা সেবা নির্মাণ করে যা মানুষজন ছাড়তেই পারে না? কেন কিছু কিছু পণ্য আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পায় আবার কিছু পণ্যের ব্যাপারে কেউই অবগত থাকে না? কীভাবে আমরা পণ্যের সাথে নিজের জীবনকে জড়িয়ে ফেলি? কীভাবে সেই পণ্য হয়ে ওঠে আমাদের অভ্যাসের অংশ? যেভাবে প্রযুক্তি আমাদের নানা বাঁধনে জড়িয়ে ফেলে তার কি কোনও নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে? নির ইয়াল এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হুক মডেল ব্যাখ্যার মাধ্যমে। হুক মডেল মূলত চার ধাপের একটি প্রক্রিয়া যা নিজ নিজ পণ্যে প্রয়োগ করেছে অসংখ্য সফল কোম্পানি। এই মডেল অনুসরণ করেই বদলে দেয়া হয়েছে কোটি কোটি মানুষের অভ্যাস, জীবন আচরণ। হুক মডেলে ক্রমাগত চক্র সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বারবার একটি পণ্যের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। তখন ব্যয়বহুল বিজ্ঞাপন কিংবা শক্তিশালী মার্কেটিংয়ের কোনও দরকার পড়ে না।
এই গ্রন্থটি রচিত হয়েছে সেইসব পদ্ধতি ও উদাহরণ স্থাপনের জন্য যা আপনাকে পরামর্শ দেবে যে কোন কাজেই হারতে নেই আর মানসিক শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও অদম্য শক্তি বজায় রাখুন। সংক্ষেপে বলা যায়, আপনার জীবন পরিপূর্ণ হতে পারে আনন্দ ও সন্তুষ্টি দ্বারা। এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই কারণ আমি অসংখ্য মানুষকে দেখেছি যারা খুব সহজ পদ্ধতি শিখে ও প্রয়োগ করে তাদের জীবনে এনেছে ব্যাপক সম্ভাবনা। এই দাবীগুলো দৃশ্যত : অযৌক্তিক মনে হলেও মূলত : এর মূলভিত্তি হল প্রকৃত অভিজ্ঞতার সরল আলোকপাত। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ নিত্যদিনের সমস্যায় জর্জরিত থাকে। তারা কষ্ট পায়, এমনকি দিনের পর দিন এটাও ভাবতে থাকে যে কি ভেবেছে আর জীবন তাদের কি দিয়েছে। ওভাবে ভাবতে গেলে জীবনের কিছু ‘ব্যাঘাত’ আছে বৈকি, কিন্তু সেসব বিঘœকে নিয়ন্ত্রণের শক্তিও পদ্ধতিও রয়েছে। এটি কেবল করুণাই নয় যে মানুষ জীবনের নানারকম সমস্যা, উদ্বেগ আর সংঘাতের কাছে হার মানে, এটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। এসব বক্তব্যের অর্থ এই নয় যে পৃথিবীর কষ্ট আর যন্ত্রণাকে আমি তাচ্ছিল্য করছি বা ছোট করে দেখছি, তবে সেসবকে আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ দেই না আমি। সমস্যা যখন চূড়ান্ত হয়, তখন আপনি তাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবনার রূপরেখা তৈরি করতে পারেন। যে সকল বাধা আপনাকে হারাতে পারে। সেসব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে আপনি নিজেকে বাঁচাতে পারেন মন থেকে দুশ্চিন্তা তাড়ানোর পদ্ধতি শিখে, মানসিক দাসত্বকে অতিক্রম করে আর আত্মিক শক্তিকে বৃদ্ধি করে। ধাপে ধাপে আমি জানাতে চাই যে বাধা যেন আপনার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে নষ্ট করতে না পারে। একমাত্র আপনি নিজে চাইলেই হারবেন। আর এই গ্রন্থ আপনাকে শেখাবে কিভাবে আপনি হারতে ‘চাইবেন’ না। এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য খুব সহজ-সরল। কোন ধরনের সাহিত্যিক উৎকর্ষতা বা অস্বাভাবিক বিশিষ্টতার ভান এতে নেই। এটি খুব সাধারণ, সরল, আত্মোন্নয়নমূলক একটি সারগ্রন্থ। এটি রচিত হয়েছে পাঠকদের সাহায্য করার জন্য যাতে তারা অর্জন করতে পারেন সুখী, পরিতৃপ্ত ও সমৃদ্ধ একটি জীবন। আমি সম্পূর্ণরূপে আর প্রবল উৎসাহের সাথে বিশ্বাস করি যে, সোচ্চার আর কার্যকরী পদক্ষেপ স্থান আর সময়োপযোগী গ্রহণ করলে মানুষ জয়লাভ করতে পারে। আমার উদ্দেশ্য হল এই গ্রন্থে সেইসব পদক্ষেপকে যুক্তিসঙ্গত, সরল ও বোধগম্য করে উপস্থাপন করা যাতে পাঠক সেসবের ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে স্রষ্টার সাহায্যে নিজের পছন্দমতো জীবন গড়ে তুলতে পারে।
শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে অধ্যয়নের বিষয় নির্বাচন করে থাকেন। অনেকেই বেছে নেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা ব্যবসায় প্রশাসন। একটা সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে অথবা ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে এ বিষয়টি বেছে নেন তারা। বর্তমান বিশ্বে চাকরির ক্ষেত্রটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। ব্যবসায় প্রশাসনে অধ্যয়ন করে ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি- এমন ধারণা অনেকেরই। সুতরাং ক্যারিয়ার গড়ার ভাবনায় বিবিএ/এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের প্রবণতা দেখা যায়। এজন্য ব্যয় করতে হয় কাড়িকাড়ি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত দেশেও এমবিএ প্রোগ্রামের বার্ষিক খরচ (২০১১ সালের হিসাবে) ৪০ হাজার ৯৮৩ থেকে ৫৩ হাজার ২০৮ ইউএস ডলার। এটা শুধু টুইশন ফি। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ তো আছেই। কিন্তু বিপুল অর্থ ব্যয় করে শেষ ফলাফলটা কী দাঁড়ায়? আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারেন না সবাই। জশ কাউফম্যানের ‘দ্য পার্সোনাল এমবিএ’ বইটিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ে সফলতা কিংবা পেশায় উন্নতির জন্য অবশ্যই এমবিএ অধ্যয়ন করবেন, কিন্তু সেজন্য বিজনেস স্কুলে ভর্তি হওয়া আবশ্যক এমন ধারণা ঠিক নয়।
ভালোবাসা এক ঐশ্বরিক শক্তি; যার আকর্ষণকে কেউ অতিক্রম করতে পারে না। খরস্রোতা নদীর প্রবহমান ধারার মতই এর প্রবল গতি। মানুষ ভালোবাসার প্রথম পাঠ গ্রহণ করে মায়ের কাছ থেকে। প্রচণ্ড আদর, ভালোবাসার একটি শিশু যখন বেড়ে ওঠে, সেসব কোমল সুকুমার বৃত্তি তার মধ্যেও সৃষ্টি হয়। আর বঞ্চনা তাকে বৈরি করে তোলে। তার বেড়ে উঠার প্রতিটি ধাপে ভালোবাসার অবদানকে কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। একজন মানুষের কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য কোন না কোনোভাবে ভালোবাসার হাতে বাঁধা। কাজেই একে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই, বরঞ্চ নিয়মিত এর পরিচর্যা করতে হয়। ফসল ফলাতে যেমন পরিমিত সার ও পানির প্রয়োজন হয়, ভালোবাসার গোড়ায়ও ঢালতে হয় অনেক কিছু। পরম উষ্ণতায় তাকে জড়িয়ে ভরিয়ে রাখতে হয়। বৈচিত্রতায় ভরিয়ে তুলতে হয় প্রেমের আঙিনা। পারস্পরিক সুসম্পর্কের জন্য সমঝোতায় আসতে হয়, প্রিয়জনের মানসিকতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। উপহারের আদান-প্রদান ভালোবাসার ভিত্তিকে মজবুত করে তোলে। আত্মকেন্দ্রিকতা ভালোবাসার পথে বিরাট অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রায়ই দেখা যায় প্রিয়জনদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা একটি যুক্তি উপস্থান করি যে, সেতো কাছের মানুষ, তাকে ভালোবাসা প্রকাশের প্রয়োজন কি! আমাদের এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সম্পর্ক তথা পরিবারে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। আসুন আমরা সেই ভাঙন রোধ করার নিয়মগুলো জেনে নেই। গেরি চ্যাপম্যানের ‘দ্য ফাইভ লাভ ল্যাংগুয়েজস’ পড়ে ভালোবাাসর বন্ধন মজবুত করি।
জীবন যাপনে আমূল পরিবর্তন আনতে কীভাবে সাজাবেন আপনার বাসা, অফিস এবং চারপাশের অন্যান্য অনুষঙ্গ? জীবনে পরিপাট্যতা আনয়নের পুরো প্রক্রিয়াটিই এই বইয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। আসলেই কী চারপাশ গুছিয়ে রাখার মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব? সোজা সাপটা জবাব হলো, সম্ভব। কিন্তু চারপাশে পরিপাট্যতা ধরে রাখাটাই যে মুশকিল ব্যাপার! সবকিছু সুন্দরভাবে গোছানোর পর পুনরায় অগোছালো হয়ে পড়েননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বারবার না হলেও জীবনে অন্তত একবার আমরা এমন জটিলতায় পড়েছি। এবার আপনার কথায় আসি। বলুন তো, কখনো কী এমন হয়নি, আপনি বাসার সবকিছু খুব যতœ সহকারে গুছিয়ে পরিপাটী করে রেখেছেন আর খুব দ্রুতই সেগুলো অগোছালো হয়ে পড়েছে? যদি তেমনটিই হয়ে থাকে, তবে এই বিষয়ে সফলতা লাভের গোপন মন্ত্রটি হলোÑ শুরুতেই চারপাশের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো একত্রিত করে সেগুলোকে আপনার জীবন থেকে বিদেয় করে দিন। তারপর মাত্র একবারের কর্ম প্রচেষ্টায় আপনার চারপাশকে সাজান সুশৃঙ্খলভাবে, সম্পূর্ণ নতুন করে নতুন উদ্যমে।
‘এ বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা হচ্ছে স্টার্টাপ ঘটে বর্তমানেই- অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যকার সেই গোলমেলে জায়গাটায়, যেখানে পাওয়ারপয়েন্টের মতে কিছুই ঘটে না। এই খেলায় রিসের ‘পড়া ও প্রতিক্রিয়া’র নীতি, যাথার্থ্য শিক্ষার ওপর তার কঠোর মনোযোগ, ‘অধ্যবসায়ী’ ও ‘কেন্দ্রবিন্দু’র মধ্যে ভাসমান থাকার অনিঃশেষ উদ্বেগ, সবকিছুই বাণিজ্যিক উদ্যোগের গতিবিদ্যায় তার আগ্রহের সাক্ষ্য বহন করে’ ‘দ্য লিন স্টার্টাপ হচ্ছে প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বুনিয়াদী গ্রন্থ। তারা পণ্যের ব্যর্থতা হ্রাস করতে পারেন এ বইয়ে বর্ণিত গঠন ও বিজ্ঞানের সাহায্যে। পণ্য-উৎপাদনের ভুলভ্রান্তি এড়ানোর কার্যকর পন্থাপদ্ধতি, বাজারের প্রাথমিক সংকেতের মূল্যায়ন এবং অধ্যবসায়ী বা কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এ বই সাহায্য করবে শিক্ষকের মত। উদ্যোক্তাদের ব্যর্থ হওয়ার যেসব কারণ থাকে সেসব পরিহার করার পথ রয়েছে এ বইয়ে’ ‘ব্যবসায়ে একটা “লিন” এন্টারপ্রাইজ হচ্ছে ক্রিয়াশীল টেকসই কর্মদক্ষতা। এরিক রিসের বৈপ্লবিক প্রণালী আপনার নতুন ব্যবসায়িক আইডিয়াকে সফল ও টেকসই করে তুলতে সাহায্য করবে। নিজের স্টার্টাপ তৈরি ও ব্যবস্থাপনার জন্য আপনি উদ্ভাবনীমূলক ধাপ ও কৌশল খুঁজে পাবেন, পাশাপাশি অন্যদের বাস্তব জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। এ বইটি উদ্যোক্তাদের জন্য অবশ্যই পাঠ্য যারা বাস্তবিকই বিশাল কিছু আরম্ভ করতে প্রস্তুত’ ‘দ্য লিন স্টার্টাপ বইটি শুধু অধিক সফল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিষয়েই নয়, দৃশ্যত আমাদের সব কাজেই উন্নতি করতে হলে সেইসব ব্যবসা থেকে যা শিখতে পারি সেই বিষয়েও।
দ্য মিলিয়নেয়ার নেক্সট ডোর - বিশ্বসেরা ধনীদের বিস্ময়কর রহস্য: ধনী হতে চান? বিশাল বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি ও প্রাচুর্যে গা বাচিয়ে জীবন কাটানোর স্বপ্ন আপনার? সত্যি হাসালেন। একটিবার নিজের চোখ বন্ধ করে মনের গভীরে ডুব দিন আর নিজেকে প্রশ্ন করুন যারা এভাবে বেঁচে থাকে তারা কি আসলেই ধনী? মনের তর্কবাগীশ সত্তাটি হয়তো বলবে বারে ধনী না হলে এত অর্থ ওরা কোথায় পায়? না এই সত্তাকে কখনো তুচ্ছ মনে করবেন না। যুক্তিসহকারে জেনে নিন যে এই অর্থের উতস কি। দুটো অপশন রয়েছে আপনাদের জন্য। হয়তো বাপ দাদার টাকা উড়াচ্ছে, নয়তোবা লোন নিয়ে অপব্যয় করছে। কারণ বিশ বছরের সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রকৃত ধনীদের বৈশিষ্ট্য একেবারেই অন্যরকম। তারা অর্থ আয় থেকে শুরু করে সঞ্চয়ের মাধ্যমে কিভাব কিভাবে ধনী হয়, সে ইতিহাসের আলাদা কিছু গল্প কাহিনি রয়েছে। আমেরিকান ধনীদের সেইসব চমকপ্রদ তথ্য জানতে হলে ‘দ্য মিলিয়নেয়ার নেক্সট ডোর’ পড়তে দেরি করবেন না। বলাতো যায় না এই বই আপনাকে হয়তো পরবর্তী ধনীদের তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করার কাজে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে পারে।
মাইন্ড হ্যাকিং - হাউ টু চেঞ্জ ইয়োর মাইন্ড ইন 21 ডেইজ: আপনি কি কখনো ভেবেছেন কম্পিউটারের মতই আপনার ব্রেইনকে রিপ্রোগ্রামড করা সম্ভব? এমন কাজ আসলে একজন হ্যাকার করে থাকে। যদি বিষয়টি জেনে না থাকেন, তাহলে 'মাইন্ড হ্যাকিং' বইটি আপনার জন্য। তিনটি ভিন্ন স্টেপে নিজের মনকে পরিপূর্ণভাবে গুছিয়ে নেবার বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হয়েছে বইটিতে। কম্পিউটারেরই বিভিন্ন টার্মের মত শব্দ ব্যবহার সকল বিষয় সম্পর্কে লেখা হয়েছে। এজন্য বইটি বেশ ইন্টারেস্টিং। বিশেষ করে, প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করা ব্যক্তিদের কাছে বইটি অনেক ভালো লাগবে। গতানুগতিক সেল্ফ হেল্প বইয়ের চেয়ে আলাদা স্বাদ দেবে 'মাইন্ড হ্যাকিং'। বইটিতে বর্ণিত একুশ দিনে মানসিক অবস্থা উন্নয়নের তিনটি কার্যকরী পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে মনকে সুশৃঙ্খল করে সাজানোর জন্য। মাইন্ড হ্যাকিং বইটির লেখক উদ্যোক্তা এবং কমেডিয়ান স্যার জন হারগ্রেভ। তিনি এই বইয়ে মানসিক অবস্থাকে উন্নতকরণের নানা উপায় বর্ণনা করেছেন। লেখক নিজেও একসময় দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং জটিল মেন্টাপ সেটাপ নিয়ে ভুগছিলেন। সেখান থেকে তিনি নিজেকে মুক্ত করে আনেন। নিজেকে শুদ্ধতার পথে নিয়ে আসার পুরো অভিজ্ঞতাই তিনি তার বইয়ে বর্ণনা করেছেন। সেইসাথে তার নিজের উদ্ভাবিত বেশকিছু পদ্ধতি পাঠকের জন্য লিখেছেন তিনি। সবশেষে বলতে চাই, মাইন্ড হ্যাকিং বইটি সবার জন্যই সুপাঠ্য। মাইন্ড হ্যাকিং পড়ার মধ্যে দিয়ে নিজের মস্তিষ্ককে সুশৃঙ্খল করে সাজাতে পারেন আপনি। মানসিকতাকে ইতিবাচক রাখার বেশকিছু পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে নিজেকে করতে পারেন সমৃদ্ধ। তাই বইটি পড়ুন। নিজেকে সমৃদ্ধ করুন। আপনার জীবনের সকল ক্ষেত্রে নিজেকে জেতানোর লক্ষ্যে এগিয়ে যান আরও একধাপ।
দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি - মিলিয়ন কপি বেস্টসলার এই বই আপনার চিন্তাধারা বদলে দেবে: মানুষ যা ভাবে, সে ঠিক তা-ই। অর্থাৎ যে কোন বিষয়কে মানুষ যেভাবে ভাবে, বিষয়টি তার কাছে সেভাবেই ধরা দেয়। ভাবনা হল মানুষের মনের দর্পন। কাজ হল মানুষের ভাবনার প্রকাশ। আর কাজের ধরণ অনুযায়ী মানুষ সুখ বা দুঃখ পেয়ে থাকে। ভাবনা যেহেতু মানুষের একান্ত বিষয়, সে ইচ্ছে অনুযায়ী ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে সকলেই একাজে পারদর্শী নয়। কারণ ভাবনার যে নিজস্ব কিছু ব্যর্থতা আছে, সেটা অনেক মানুষই জানেনা। এই ব্যর্থতা বা ত্রুটিগুলো মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে আর মানুষ ভাগ্যের দোষ দেয়। পরিচ্ছন্ন চিন্তার এইসব ব্যর্থতা নিয়ে রফ দোবেল্লি রচনা করেছেন ‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি।’ গবেষণামূলক, বিজ্ঞানসম্মত ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন এই বইয়ে পরিস্কারভাবে চিন্তা করার বিভিন্ন উপায়গুলো বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আমাদের নিত্যজীবনে বিভিন্ন বিষয়কে কত ভুলভাবে আমরা চিন্তা করি, এই বইটি না পড়লে সেসব বুঝার কোন উপায় নেই। যেমন ধরুন, আমরা নিজেদেরকে সবসময় অতিমূল্যায়ন করি, নায়ক, নায়িকার বীরোচিত জীবন কথায় মুগ্ধ হই আর ভাবি যে আমিও বা কম কি? আমরা কিছু পেয়ে যতনা খুশি হই, তার চেয়ে বেশি মর্মাহত হই কিছু হারিয়ে গেলে। আমরা অন্যের মানসিক আবস্থার বিচার না করেই তার সাময়িক নীরবতা বা স্বত:স্ফূর্ততার অভাবকে অসদাচরণ ধরে নেই। চলার পথের এইসব ভ্রান্ত ধারণা অনেক সময় আমাদের জীবনকে যথেষ্ঠ জটিল করে তোলে। আর এর জন্য পুরোপুরি দায়ী আমাদের বিভ্রান্ত চিন্তাধারা। রফ দোবেল্লি তাঁর ‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’ বইকে ৯৯টি অধ্যায়ে বিভক্ত করেছেন। এই অধ্যায়গুলোতে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাগত জীবনের বৈচিত্র্যময় ভুল চিন্তাকে যথাসম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এইসব ভ্রান্তি যেকে উত্তরণের সরল প্রক্রিয়াগুলো উপস্থাপন করেছেন বিভিন্ন ঘটনা, সংলাপ ও হাস্যরসের উপভোগ্য সংমিশ্রনে। যদিও অত্যন্ত বিনয়ের সাথে তিনি স্বীকার করেছেন যে এই প্রক্রিয়াগুলোই শেষ কথা নয়, প্রতিদিন আরো নতুন ভ্রান্তি ও তা সংশোধনের প্রক্রিয়া আবিস্কৃত হতে পারে। তথাপি তার তথ্যবহুল বইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। এই বইটি আমাদেরকে চিন্তাধারার ভুলগুলো চিনতে ও তাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। নির্দ্বিধায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যতের দিকে।
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড - ধনীরা তাদের সন্তানদের টাকা পয়সার ব্যাপারে কি শেখায়, যা গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী শেখায় না: প্রয়োজনীয়তা স্কুল কি বাস্তব দুনিয়ার জন্য ছেলেমেয়েদের তৈরি করে? আমার বাবা-মা বলতেন, “পড়াশুনা কর, ভালো গ্রেড পাও, দেখবে তুমি অনেক বড় চাকরি পাবে।” তাদের। জীবনের লক্ষ্য ছিল আমাকে ও আমার বড় বোনকে কলেজে পাঠাননা, যাতে জীবনে সফল হওয়ার সবচেয়ে বেশি সুযোগ পাই। ১৯৭৬ এ আমি যখন ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে একাউটিং এ সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে অনার্স গ্রাজুয়েট হলাম, আমার বাবা-মা তাদের লক্ষ্যে পৌছে গেলেন। তাঁদের জীবনের চূড়ান্ত আনন্দের ছিল এই অর্জন। বিগ এইট’ নামক এক একাউন্টিং ফার্মে আমি যোগ দিলাম এবং ক্যারিয়ার গড়লাম ও দ্রুত রিটায়ার করলাম। আমার স্বামী মাইকেল খুব সহজ পথ বেছে নিয়েছিলেন। আমরা দুজনই ভদ্র অর্থে পরিশ্রমী পরিবারের সন্তান, কিন্তু কাজের ব্যাপারে নীতিগতভাবে আমরণ সিরিয়াস, মাইকেলও অনার্স গ্রাজুয়েট ছিল, প্রথমবার সে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ও দ্বিতীয়বার ল’ স্কুল থেকে ডিগ্রি নিয়েছে। ওয়াশিংটন ডি.সি ল ফার্মে সে যুক্ত হয়ে গেল, ফলে তার পেশা ও ভবিষ্যত উজ্জ্বল ছিল ও দ্রুত রিটায়ার মেটের নিশ্চয়তাও ছিল। যদিও আমাদের ক্যারিয়ার সফল ছিল, কিন্তু সবকিছু আশানুরূপ হলো না, নানা কারণে আমাদের দুজনকেই পদ বদলাতে হয়েছে আর আমাদের জন্য কোন পেনসনের ব্যবস্থা ছিল না। ব্যক্তিগত অবদানই রিটায়ারমেন্ট ফান্ডের পুঁজি হয়ে রইল। তিন সন্তান নিয়ে আমার ও মাইকেলের সুখী সংসার। এই লেখা যখন লিখছি, তখন আমার দুই সন্তান কলেজে ও অন্যজন হাই স্কুলে পড়ছে। বাচ্চারা যাতে সর্বোত্তম শিক্ষা পায়, সে ব্যাপারে আমরা খুব সচেতন ছিলাম। ১৯৯৬’এর একদিন আমার এক সন্তান খুব বিরক্তি নিয়ে স্কুল থেকে ফিরল। সে পড়াশুনার বিষয়ে খুব ক্লান্ত ও একঘেয়ে হয়ে উঠল। সে জানতে চাইল, “কেন আমি ঐসব বিষয় পড়ে সময় নষ্ট করছি যেগুলো আমার জীবনে কোন কাজে আসবে না?” কিছু না ভেবেই আমি বললাম, “কারণ তুমি ভাল গ্রেড না পেলে কলেজে যেতে পারবে না।” সে জবাব দিল, “কলেজে না গেলেও আমি ধনী হতে পারব।” কিছুটা ভয়ার্ত স্বরে আমি বললাম, “কলেজে না গেলে তুমি ভালো চাকরি পাবে না।
ম্যানস সার্চ ফর মিনিং - দ্য ক্লাসিক ট্রিবিউট টু হোপ ফ্রম দ্য হলোকস্ট: এই বইটিতে যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনা করা হয়েছে, তা লক্ষাধিক বন্দীর অসংখ্যবার সম্মুখীন হয়ে আসা পরিস্থিতির আখ্যান। একজন ভুক্তভোগীর লেখনীতে, তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, বন্দীশিবিরের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বিবরণী এখানে তুলে ধরা হয়েছে। শিবির সংক্রান্ত যে ধরনের ত্রাসের কথা আগেও অনেকবার বিভিন্ন রচনায় উঠে এসেছে, তা এখানে বলা হয়নি; বরং প্রতিদিনের অসংখ্য তুচ্ছ পীড়নের প্রেক্ষাপটে এই লেখা। অর্থাৎ এখানে একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হবে ।
লাইফ উইদাউট লিমিটস - হাস্যকরভাবে ভালো একটি জীবনের অনুপ্রেরণা: হাত-পা ছাড়া জন্ম নেওয়া নিক একটি স্বাধীন, স্বাবলম্বী, পরিপূর্ণ ও "হাস্যকরভাবে ভালো" জীবন গঠনের জন্য তার অক্ষমতাকে জয় করেছেন। একই সাথে প্রকৃত সুখের সন্ধানকারী প্রতিটি ব্যক্তির জন্য রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে একজন আন্তর্জাতিকভাবে সফল মটিভেশনাল ¯িপকার হয়ে উঠে, নিক উৎসাহের সাথে প্রচার করেন তার জীবনের মূল বার্তাটিকে: সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো, জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করা এবং চলার পথে অসম্ভব মনে হওয়া প্রতিবন্ধকতা এলেও হার না মানা। এই বইটিতে নিক তার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনে শারীরিক অক্ষমতা ও মানসিক যুদ্ধের সম্মুখীন হওয়া এবং সেগুলোর সাথে লড়াই করার গল্পটি ব্যক্ত করেছেন। "একটা দীর্ঘ সময় ধরে, আমি নিজেকে একাকীত্বে মুড়িয়ে নিয়ে শুধু এটাই কল্পনা করেছি, এই পৃথিবীতে আদৌ আমার মতো কেউ আছে কীনা এবং আমার জীবনে কষ্ট ও লাঞ্ছনা ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য আছে কীনা।" নিক বলেছেন যে, কীভাবে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা তার শক্তির মূল উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও, তিনি বর্ণনা করেছেন যে, একবার যখন তিনি জীবনের উদ্দেশ্য- মানুষকে আরও ভালো জীবন গঠনের জন্য অনুপ্রাণিত করা- স¤পর্কে ধারণা লাভ করলেন, তখন তিনি সীমাবদ্ধতাহীন, পুরস্কৃত ও উৎপাদনক্ষম জীবন গঠনের জন্য আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেলেন। আপনিও যাতে একটি সীমাবদ্ধতাহীন জীবন গড়ে তুলতে পারেন, সেজন্য নিকের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করুন।
ডীপ ওয়ার্ক - রুলস ফর ফোকাসড সাকসেস ইন আ ডিস্ট্রাক্টেড ওয়ার্ল্ড: ডীপ ওয়ার্ক বইয়ে মানুষের যে কোনো কাজে গভীর মনোযোগ দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। মূল বক্তব্য হলো মানুষের মনের গভীরে রয়েছে এক বিশাল বিশ্ব। কিন্তু বাইরের বিশ্বে অতিরিক্ত জোর দেয়ার কারণে মানুষ তার মনের বিশ্বটাকে ঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে না। মনের বিশ্বটাকে মন দিয়ে অনুভব করতে পারলে যে কোনো মানুষ বাইরের বিশ্বকে চমকে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। বাইরের বিশ্বে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে হাজারটা উপকরণ রয়েছে। নিউপোর্ট বিশেষ করে ইন্টারনেটের কথাই বলেছেন। ই-মেইল চেক এবং ইনবকসে সারাক্ষণ ব্যস্ত থেকে মানুষ তার মনোযোগের বিশাল অংশ ব্যয় করছে। কিন্তু সত্যিকার সাফল্যের জন্যে উচিত নিজের কাজটাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করা, যা আপনাকে স্বল্প সময়ে নিশ্চিত সাফল্য এনে দেবে। নিউপোর্ট তাই নিজের জীবনের গভীর কাজগুলোর কথাই বার বার টেনেছেন এই বইয়ে।