ঘটনা প্রবাহ: রাতের যেমন সৌন্দর্য আছে, তেমনি আছে তার কদর্যতা। কোনো কোনো রাত থাকে রহস্যময়তায় ভরা। রাত যত গভীর হয়, ততই রহস্যময় হয় তার গভীরতা। একদিকে ঘুমিয়ে পড়ে শহর। অন্যদিকে জেগে ওঠে আরেকটি শহর। আঁধারে ঢেকে থাকা সে শহরের কথা আমরা অনেকেই জানি না। যা থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। রাতের গভীরতার সাথে বাড়তে থাকে আঁধারের ঘনত্ব। তার সঙ্গে বৃদ্ধি পায় পৃথিবীর রহস্যময়তা! রাতের নগরীতে গন্তব্যহীন পথ চলায় ক্রনিক ইনসমনিয়ার রোগী রাতুলের পরিচয় ঘটে রাফিদ, নীরা, রিয়া, শর্মি, আরমান, ওসি মাশরুফ সহ আরো অনেকের সাথে। মুখোমুখি হয় এক একটা ঘটনাবহুল অধ্যায়ের। উন্মোচিত হতে থাকে রহস্য। সেই সাথে জানা হয় অজানা-অচেনা মানুষ ও জীবনের গল্প। আর এইসব ঘটনার খণ্ডচিত্র নিয়েই বিস্তৃত হয়েছে এই উপন্যাসের পটভূমি।
‘নীল ধ্রুবতারা’ একটি পত্রোপন্যাস। গল্পটি ফাহিম আর সিমির। একজন থাকে আমেরিকায়, অন্যজন বাংলাদেশে। একটা অনাকাঙ্খিত ই-মেইলের কারণে দুজনের পরিচয়—ভুল থেকে পরিচয়, তারপর বন্ধুত্ব, তারপর বিচ্ছেদ। এর মাঝে ই-মেইলে দুজন আদান-প্রদান করে অসংখ্য পত্র। সেইসব পত্রে ফুটে উঠেছে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ-অপছন্দ, মনস্তত্ত্ব—সবই। সম্পূর্ণ অপরিচিত দুটি মানুষকে চিঠি কীভাবে আত্মিক সম্পর্কে বেঁধে দিতে পারে - এসবই উঠে এসেছে এই উপাখ্যানে।
রিয়া বাংলাদেশে ফিরে যাবে—একথা শুনে রিয়ার খালাতো ভাই অনীক হিউস্টন থেকে দেখা করতে এসেছে। উদ্দেশ্য জয়েস আর রিয়ার সঙ্গে কিছু সময় কাটানো। রিয়ার খালু হিউস্টনের পৃথিবী বিখ্যাত এমডি অ্যান্ডারসন ক্যানসার সেন্টারে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। রিভার ওকস নামে হিউস্টনের শহরতলিতে রয়েছে মিলিয়ন ডলারের প্রাসাদের মতো বাড়ি। অনীক মাঝেমধ্যে ছুটিছাটায় কিংবা ইচ্ছা হলে চলে আসে ডালাসে। দুদিন থেকে আবার চলে যায়।