বিশ্ববিখ্যাত অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস হোয়েন দ্য ওয়ার্ল্ড শুক সমুদ্রযাত্রায় গিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ল তিন ইংরেজ বন্ধু। জাহাজডুবির পর ভাসতে ভাসতে গিয়ে উঠল নরখাদকে ভরা এক রহস্যময় দ্বীপে। বিপদের শেষ সেখানেই নয়, কারণ দ্বীপের মাঝে এক গুহাতে রয়েছে অদ্ভুত এক সমাধি, আর সেখানে কাচের কফিনে শুয়ে আড়াই লক্ষ বছর ধরে ঘুমাচ্ছেন প্রাচীন এক রাজা ও তাঁর অপরূপা মেয়ে! ওদেরকে হতভম্ব করে দিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন তাঁরা। একজন খেপে উঠলেন পৃথিবীকে ধ্বংস করার নেশায়, অন্যজন বাড়িয়ে দিল ভালবাসার হাত। প্রেম আর প্রতিহিংসার দোলাচলে কেঁপে উঠল ধরণী।
প্রিয় পাঠক, কিংবদন্তির নায়ক অ্যালান কোয়াটারমেইনের স্মৃতিকথায় আপনাকে আরও একবার স্বাগতম। তিনি এবার শোনাচ্ছেন তাঁর কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনিÑ‘রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার তারার ভিড়ে আজও ওকে খুঁজি আমি। তখন ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি একটা ছায়াকে–মেরি ম্যারাইস, আমি ছাড়া যে-ছায়ার কথা ভুলে গেছে সবাই।’ কে এই মেরি? কী তার কাহিনি? ওর কথা বলতে এত বছর পর কেন মুখ খুলেছেন অ্যালান কোয়াটারমেইন? এই উপন্যাসে আছে কেপকলোনির সংঘাতময় ইতিহাসের কথা। ইংরেজ, বোয়া আর আফ্রিকান আদিবাসীদের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির মাঝে জন্ম-নেয়া নিখাদ ও পবিত্র এক প্রেমের বর্ণনা দিচ্ছে এই উপন্যাস। আত্মত্যাগ যদি হয় ভালোবাসার অন্যতম প্রতিশব্দ তা হলে স্যর হ্যাগার্ডের এ-উপন্যাস সেই শব্দের সার্থক প্রতিরূপ। অ্যাডভেঞ্চার আর অ্যাকশনে ভরপুর এই প্রেমকাহিনিটি সত্যিই সংগ্রহে রাখার মতো।
হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর নাডা দ্য লিলি রূপান্তর: ইসমাইল আরমান পাঠক, চলুন আপনাদের নিয়ে যাই অন্ধকার মহাদেশ আফ্রিকার অভ্যন্তরে, পরিচয় করিয়ে দিই বৃদ্ধ এক জুলু ওঝার সঙ্গে। তার নাম যুয়িটি। অদ্ভুত এক গল্প শোনাবে সে আমাদের। পদ্মকুমারী নাডা আর কাঠঠোকরা আস্লোপোগাসের গল্প। জলু জাতির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে আর দুর্ধর্ষ এক যোদ্ধার অসামান্য প্রেম-কাহিনী। কিন্তু এ-প্রেমের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে নৃশংসতা; রয়েছে রক্তের উৎসব আর মৃত্যুর মিছিল। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে আপনার বুকে, প্রেম আর প্রতিহিংসায় হবেন উদ্বেলিত। হাসি, কান্না, আনন্দ, উত্তেজনা… কী নেই সেই কাহিনীতে? তা হলে আর দেরি কেন, চলুন বসে পড়ি যুয়িটিকে ঘিরে। শুনি সেই অত্যাশ্চার্য কাহিনী।
দ্য ইয়েলো গড হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/সাইফুল আরেফিন অপু আমি আসিকি জাতির মানুষ। আসিকি শব্দটার অর্থাত আত্মা। আমাদের দেবীর এত স্বর্ণ আছে যে, স্বর্ণের কোনও মূল্যই নেই তাঁর কাছে। দেবীর কাছে মূল্যবান হচ্ছে রক্ত… মেহেমানদেরকে শব্দ শোনাচ্ছিল অ্যালান ভার্ননের খাস ভৃত্য জিকি। অ্যালান ভার্নন একজন প্রাক্তন মেজর। নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে, লোক-ঠকানো শেয়ার ব্যবসা করে নিজের পকেট ভারী করা তার দ্বাধা সম্ভব হয়নি। ওদিকে প্রচুর টাকা হাতে না এলে ওর বাড়ি ইয়ার্লিজ তো হাতছাড়া হবেই, সঙ্গে প্রেমিকা বারবারাকেও হারাতে হবে। কাজেই সোনার খোঁজে রহস্যময় আসিকিদের দেশে চলল ও। দ্য উইজার্ড হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/তারক রায় অলৌকিক ঘটনার যুগ কি পুরোপুরি গত হয়েছে? নাকি মাটির বুকে দাঁড়িয়ে বিশ^াসী যদি ঠিকভাবে ডাকতে পারে, তবে বোবা আকাশের কাছ থেকে তার প্রার্থনার শ্রবণযোগ্য উত্তর এখনও আদায় তরা সম্ভব? বাইবেলের সর্বশক্তিমান ঈশ^র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যারা তাঁর এবং তাঁর কাজের উপর বিশ^াস রাখবে, তাদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবেন তিনি। সেই প্রতিশ্রুতি কি আজও অটুট রয়েছে? যাঁদের গরজ রয়েছে, তাঁদেরকে রেভারেন্ড টমাস ওয়েনের ইতিহাস পড়তে দেয়া গেল। যাঁরা তাঁর এই কাহিনী পড়বেন, যাঁর যাঁর নিজস্ব বোধ-বুদ্ধি ও বিচার-বিশ্লেষণ ব্যবহার করে উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নেবেন।
পাঠক, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর অ্যাডভেঞ্চারের ভুবনে আরেকবার আপনাকে স্বাগতম। চলুন, ভাগ্যাহত যুবক লিওনার্ড অট্রাম আর অনিন্দ্যসুন্দরী জুয়ানা রডের সঙ্গে বেড়িয়ে পরা যাক অভিযানে। হারানো একটা সভ্যতা খুঁজে বেড়াচ্ছে ওরা অন্ধকার মহাদেশ আফ্রিকার বুকে। ওখানে কুয়াশা মানব বলে রহস্যময় একদল মানুষ বাস করে। অবিশ্বাস্য এক রত্নভান্ডার আছে ওদের কাছে ; আর সেটা পেতে হলে পাড়ি দিতে হবে হাজারো বিপদ, লড়তে হবে দৈত্যাকার এক কুমির দেবতার সঙ্গে, বেঁচে ফিরতে হবে নরবলির হাত থেকে, ছিন্ন করতে হবে রাজা আর পুরোহিতের মধ্যকার ষড়যন্ত্রের জাল…তারপর? পালাতে হবে প্রাণ হাতে নিয়ে! যদি রাজি থাকেন তবে সঙ্গী হন ওদের !হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই এটি। পড়লে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।
মর্নিং স্টার রানী নেতের-তুয়া প্রাচীন মিশরীয় দেবরাজ আমেন-এর কন্যা। ছেলেবেলার খেলার সাথী রামেসকে ভালোবাসি বড় হলো, বাবা ফারাওয়ের ইচ্ছায় হলো রানী। রামেসের দেহে রাজরক্ত থাকলেও তুয়া আর রামেসের মিলনের পথে বাধা দুস্তর মরুভূমি সম কিন্তু কোন বাধা মানতে রাজি নয় আমেনের ভােরের তারা নেতের-তুয়া । এদিকে নাফিসের কুমার আবি বিয়ে করতে চায় তুয়াকে। থিবি থেকে বাবা ফারাওয়ের সাথে মেম্ফিস বেড়াতে এসেছিল তুয়া, ঘৃণ্য কৌশলে তাদের বন্দি করল আবি। ফারাওকে হত্যা করল জ্যোতিষী কাকুর জাদুর সহায়তায়, নেতের-তুয়া আর তার দাই মা আসতিকে করল না খাইয়ে মারার ব্যবস্থা। স্নেহধন্য কন্যাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন দেবরাজ আমেন। চাইল্ড অভ স্টর্ম এ কাহিনি আপনাদের চেনা সেই দুর্ধর্ষ শিকারী অ্যালান কোয়াটারমেইনের তরুণ বয়সের। প্রথমে মনে হবে শিকার কাহিনি, আফ্রিকার দুর্গম বনে অভিযানের কাহিনি, অথবা হাসির উপন্যাস। কিন্তু আরও কয়েক পাতা এগোলে পাঠক বুঝবেন প্রেম, বিরহ, চাতুরি, বিশ্বাসঘাতকতা, যুদ্ধ, স্নেহ, ভালবাসা আর আশাভঙ্গের এক অপূর্ব উপাখ্যান লিখে গেছেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড।