অখণ্ড অবসরে অনেক কাল্পনিক ঘটনা ও চরিত্র পড়তে গিয়ে পাশাপাশি নিজের বাস্তব জীবনের কথা প্রায়ই মনে পড়ত; গল্পের ছলে অনেক সময় সেগুলো অনেককে শোনাতামও। যাদের ভাল লাগত তাদেরই একজন হঠাৎ একদিন প্রস্তাব দিল—এ নিয়ে একটা বই লিখলে কেমন হয়। গল্প বোধহয় ভালই করতাম; কিন্তু লিখতে গেলে কিছু বেরুবে কি? এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতাও ফিট অন্তরায়। ভাগ্নে রনজু বলল, আপনি বলে যান, আমি লিখব। তারপরেই চলল দু’জনের প্রাণান্তকর চেষ্টা। অনেক ঘাম ঝরিয়ে, অনেক স্মৃতি রোমন্থন করে যা বের হলো, সেটাই হচ্ছে এই ‘হেল কমাণ্ডো’ ।
এরা সব যায় কোথায়? কাল্পনিক কিছু নয়-আটলান্টিকের একটা বিশেষ এলাকায় পৌঁছলেই আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে নাবিকেরা, সেই কলম্বাসের সময় থেকে, আজও। হারিয়ে যায়। গোটা জাহাজ, সাবমেরিন বা বিমানের কোন চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায় না আর। ইদানীং পাশ্চাত্য বিশ্বে এ নিয়ে মহা হৈ-চৈ হচ্ছে। সবাই জানতে চায়, কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই ত্রিভুজে। ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড, নাকি গ্রহান্তরের বা সাগর গর্ভের কোন বুদ্ধিমান জীবের কারসাজি, নাকি অন্য কোন ডাইমেনশন, নাকি টাইম ডিসটরশন, নাকি অন্য কিছু?
আত্ম-উন্নয়ন সাইলেন্স ডা. রেজা আহমদ পৃথিবীতে সবকিছু সাম্যাবস্থায় থাকতে চায়। আর সাইলেন্স বা নীরবতায় প্রকৃতি তার আসল রূপ প্রকাশ করে। আপনি যদি নিজেকে জানতে চান, তাহলে আপনাকে ভেতরে-বাইরে নীরব হয়ে যেতে হবে। আমি আপনার এ নীরবতার সঙ্গী হয়ে কিছু পথ, কিছু পরীক্ষা দেখিয়ে দিতে পারি। সেগুলো নিজে হাতে-কলমে পরীক্ষা করে আপনি লাভ করতে পারেন আত্মজ্ঞান। শুধু একটু সাহসী হতে হবে। নিজের ভেতর, নিজের সাথে থাকার ইচ্ছা থাকতে হবে। আর সর্বদা বর্তমান সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে। আপনি নিজে যা দেখতে পাচ্ছেন, তাতে আস্থা রাখতে হবে। আপনি কি প্রস্তুত? তাহলে আসুন, আমার সাথে ডুব দিন এ নীরবতায়।
হাদীস শরীফ বাংলা মর্মবাণী নবীজীর (স) পবিত্র বাণীর শাব্দিক অনুবাদ নয়, তাঁর কিছু বাণীর বাংলা মর্মান্তর। সহজ, সাবলীল এই মর্মান্তর আপনার অন্তরে সৃষ্টি করবে এক অভাবিত অনুরণন। ক্ষণে ক্ষণেই আপনি শিহরিত হবেন আপনার জীবনে এ বাণীর প্রাসঙ্গিকতায়। মনে হবেÑযেন আপনাকেই কথাগুলো বলছেন তিনি। পড়া শুরু করুন যে-কোনও পাতা থেকে। ডুবে যান বাক্যের গভীরে। আপনি পাবেন পথের দিশা। জীবন বাঁক বদলাবে। আপনার উত্তরণ ঘটবে উচ্চতর মানবে।
এক এঞ্জিনিয়ার মারা যাওয়ার পর ভুল করে দোজখে চলে গেছেন। দোজখের পরিবেশ পছন্দ না হওয়ায় অচিরেই তিনি ওখানে এয়ার কন্ডিশনার, এস্কেলেটার, ফ্লাশ-ট্যালেট ইত্যাদি সমস্ত সর্বাধুনিক আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করে ফেললেন। একদিন স্যাটানকে ফোন করলেন গড, জানতে চাইলেন দোজখের হালচাল। ‘ওহ, অপূর্ব।’ বলল শয়তান, “সব অসুবিধা দূর করে দিয়েছেন আমাদের এঞ্জিনিয়ার সাহেব।” “অ্যা?” চমকে গেলেন গড। তারপর গর্জে উঠলেন, ‘এভিনিয়ারটা আবার ওখানে গেল কি করে? ওর তো বেহেস্তে আসার কথা। এক্ষুণি ওকে এখানে পাঠিয়ে দাও, নইলে তোমার নামে মামলা ঠুকব আমি!” “তাই নাকি? ফিক ফিক করে টিটকারীর হাসি হাসল শয়তান, “মামলা যে ঠুকবেন, স্যার, উকিল পাবেন কোথায়?? এমনি আরও পাঁচ শতাধিক কৌতুক নিয়ে এক কৌতুক সংকলন) বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় কি পারিবারিক মজলিশে এগুলো বলতে পারবেন নির্মল আনন্দের খোরাক হিসেবে। পরিবারের সবাই উপভোগ করতে পারবেন, লজ্জিত বা বিব্রত হতে হবে না। সংগ্রহে রাখার মত নির্দোষ একটি কৌতুক সংকলন।
মাদকাসক্তি যে একটা রোগ, সেটা এখন আধুনিক বিশ্বে স্বীকৃত। এই বইয়ে মাদকাসক্তি রোগের ধরন, লক্ষণ, সমস্যা ও তার সমাধান সম্পর্কে বিশদ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই বই যাদের কাজে আসবে, তাঁরা হচ্ছেন: শিক্ষিত আসক্ত ব্যক্তি নিজে; তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব; যেসব প্রতিষ্ঠানে এই রোগের চিকিৎসা করা হয় সেখানকার চিকিৎসক, পরামর্শদাতা ও রোগী, এবং বুদ্ধিজীবী মহলের লোকজন, যাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের অগ্রগতির up-to-date খবরাখবর জানতে আগ্রহী। শুভাকাঙ্ক্ষী লোকজনও প্রয়োজনবোধে তাঁদের কোন প্রিয়জনকে এই বই উপহার দিতে পারেন।